somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃভ্রম কিংবা মিথ্যে

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিনি বিছানার এক কোণায় ঘুমাচ্ছে। চুল গুলো এলোমেলো। বিনি চুল বেধে ঘুমায়। বড় চুল থাকা, সব মেয়েই চুল বেধে ঘুমায়। কিন্তু বিনির চুল বেধে ঘুমালেও কিভাবে কিভাবে যেন, চুল গুলো খুলে যায়। মুখের উপর পড়ে থাকে, এলোমেলো হয়ে। তাই দেখে, অনেকটা সময় নিয়ে দেখে নূর। দেখতে ভাল লাগে। ঘুম ভেঙে যায় অনেক আগে নূরের। এরপরের সময়টা কাটে বিনিকে দেখে দেখে। বিয়ে হল, প্রায় তিন মাস। এই তিন মাস ধরে একই কাজ করে যাচ্ছে নূর। বিনি টের পায় না। বিনির ঘুম অনেক বেশী। ঘুম থেকে উঠবে বেলা ১০ টায়। নূর উঠে সকাল ৬ টায়। এই চার ঘণ্টা বিনিকে দেখা ছাড়া কিছুই করে না। বিনি যখন ঘুম থেকে উঠবে উঠবে, তখন চুপ করে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকার ভান করে নূর। বিনি উঠেই টেনেটুনে তুলে নূরকে।
" এই উঠো, কত ঘুমাও? উঠো না।"
নূর চোখ কচকে উঠে, বিনির দিকে তাকায়। এতোটা সময় তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল, বিনি বুঝতেও পারে না। বিনি উঠেই তাড়া লাগায়, মুখ ধোও, খেতে চল। ক্ষুধা লাগছে।
নূর ঠিকঠাক সব করে। মেয়েটার কথার বাহিরে যেতে ইচ্ছা করে না। সারাদিন বাসায় বসে থাকে, বিনির পাশে। গল্প কর দুজন। গল্প করার ফাঁকেও বার বার বিনিকে দেখে, নূর। খাবার টেবিলে বসে, বাবার কিছুক্ষণ কথা শুনতে হয়।
- বিয়ে করেছ। বউ আছে। বাচ্চা হবে। এখন তো কিছু একটা কর। চাকরি বাকরি করতে তোমার এতো সমস্যা কেন বুঝি না। বাবার টাকায় কতদিন চলতে চাও?

নূর মাথা নিচু করে থাকে। টেবিলের নিচ দিয়ে, পাশে বসা নূরের শরীরে আস্তে করে বিনি হাত রাখে। বুঝিয়ে দেয় ওসব কিছু না। বাবা মা অমন বলেই। নূর কিছু করতে চেয়েছিল। আসলেই বিয়ে হয়েছে। বাবার ঐ ডিমের আড়তে বসার ইচ্ছা নূরের নেই। যত বড় ব্যবসাই হোক। কয়েকদিন চেষ্টা করল চাকরি নেবার একটা। কয়েক জায়গায় সিভি জমা দিল। ঘটনা ঘটল সেই সময়টাতেই। সারাদিন চাকরির ইন্টারভিউ নিয়ে ব্যস্ত থেকে , সেদিন ঘরে এসে বিনিকে খুঁজে নূর। কয়েকবার ডাকে। ঘরে নেই বিনি। মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে। বাবার কাছে জিজ্ঞেস করে। উত্তর পায় না। তাদের কথা, বউ ঘর থেকে বের হয় না। ঘরেই থাকে সারাদিন। বারান্দায় বসে থাকে। এটা নূরও জানে। তবুও এখন ঘরে নেই। অস্থির লাগে নূরের। তবে বাবা মায়ের ভিতর তেমন একটা চিন্তার ছাপ দেখা গেল না। তারা পছন্দ করে বিয়ে করালেও, এই বাসায় আসার পর থেকে, বিনিকে যে খুব একটা ভাল লাগছে না তাদের, বেশ বুঝতে পারে নূর। বুঝতে পারে, বিনির উপর বিরক্ত তারা। ঘরে আরেকবার যায় নূর। আস্তে করে শুনতে পারে কেউ ডাকছে নূর কে। ঘরের ভিতর থেকে কেউ। ঘরে ঢুঁকে বুঝতে চায় শব্দটা কোথা থেকে আসছে। বাথরুম থেকে। আস্তে করে অর্ধেক চাপিয়ে রাখা, বাথরুমের দরজা খুলে দেখে বিনি শাওয়ারের নিচে বসে আছে। ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছে বিনির শরীরে। আস্তে আস্তে ডাকছে নূরকে। ভয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে থাকা বিনির কাছে গিয়ে, নূর তুলে বলে, তুমি এখানে কি করছ?
বিনি নূরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে, তুমি আমাকে রেখে চলে গেছ কেন?
- কোথায় গেছি আমি? এই তো। আসো কাপড় পাল্টাবে। ভেজা কাপড়ে বসে আছ এখানে।

কাপড় পাল্টিয়ে নূর ধীরে সুস্থে জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছিল বিনি? আমাকে বল এখন।
- না বলব না।
- বল। ভয় পাবার কিছু নেই। আমি এইতো পাশে আছি তোমার।
- হাত ধর তাহলে।
- হ্যাঁ এই যে ধরলাম।

বাচ্চা মেয়ের মত, নূরের হাতগুলো নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরে বিনি। নূরের অনেক কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে বলে, জানো, আমাদের খাটের নিচে কে যেন থাকে।
- কি বল?
- হ্যাঁ। সত্যি।
- আরে পাগলী, কেউ নেই। দেখবে?
- না দেখব না।
- এসব মনের ভুল।আসো আমার সাথে। আমি দেখাচ্ছি।

বিনি নূরের সাথে, নিচে নামে খাট থেকে। নূরের শার্টের কোণা ধরে, খাটের নিচে তাকায় ভয়ে ভয়ে। কেউ নেই। নূর দেখিয়ে দেয় কেউ নেই।
কিন্তু বিনি বলে, না আমি সত্যি কাউকে দেখেছি। একটা ছোট বাচ্চা। তুমি না থাকলেই আসে। আমি সেদিন খাটের উপর বসে ছিলাম। আমার মোবাইলটা হঠাৎ হাত থেকে পড়ে যায়। মোবাইল তুলতে গিয়ে দেখি, কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ছোট একটা বাচ্চা। সত্যি কথা, বিশ্বাস কর।
- বিনি।
- তুমি আমাকে বিশ্বাস কর না? আজ কি হল শোন? তুমি তো নেই সকাল থেকে। আমার খুব ভয় করছিল। আমি ভয়ে নিচে নামিনি। মা এসে ডেকে গেছেন। খাবার জন্য। যাই নি। পরে তোমাদের কাজের মেয়েটা খাবার দিয়ে গেছেন। আমি তাও নিচে নামিনি। আমার মনে হচ্ছিল, নিচে কেউ আছে। মা, মাঝে তিন চার বার ডেকেছেন, আমি যাই নি। মা রাগারাগি করেন তার জন্য। সন্ধ্যার পর আরও ভয় লাগছিল। একা একা। বার বার মনে হচ্ছিল, ছোট বাচ্চাটা বেরিয়ে আসবে। আমাকে ভয় দেখাবে। বিরক্ত হচ্ছ তুমি?
- না, বল। শুনছি।
- সত্যি কথা। জানো তারপর কি হল? আমি খাটের নিচে শব্দ শুনছিলাম। খাট উপর দিকে ধাক্কা দিচ্ছে মেয়েটা। আমি তখন ভয়ে বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে চলে যাই। বাথরুমে বসেও শুনতে পাচ্ছিলাম, খাটটা কেউ ধাক্কা দিচ্ছে। সেই বাচ্চাটা। নূর, তুমি আমাকে একা রেখে যেও না। আমি মরে যাব। তুমি থাকলে ঐ বাচ্চাটা আসবে না। আমি একা থাকতে পারব না।

বিনি জড়িয়ে ধরে কাঁদে। অনেক শক্ত করে জড়িয়ে বলে, আমি অনেক একা। নূর আমার খুব একা লাগে। আমি একা থাকলে, ঐ বাচ্চাটা আমাকে মেরে ফেলবে।
নূর দ্বিধায় পরে যায়। এভাবে কেঁদে কেঁদে কেউ মিথ্যা বলে না। মিথ্যা বলার মত মেয়ে বিনি না। কিন্তু যা বলছে তা সত্য হতে পারে না। বিনি অনেক চুপচাপ মেয়ে। সবার সাথে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না। বিনিকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার প্রিয় কোন বান্ধবী বা বন্ধু নেই?
বিনি গম্ভীর হয়ে বলে, আমার কখনও কোন, বান্ধবী বা বন্ধু ছিল না।
যখন নূর জানতে চায়, তোমার বাবা মা কাকে বেশী পছন্দ কর?
বিনি বলে দেয়, দুজনকেই আমার অসহ্য লাগে।
- কেন?
- দুজনের কেউ আমাকে ভালবাসে না।
- তাহলে তোমার সবচেয়ে কাছের মানুষ কে?
- তুমি?
- আমার সাথে বিয়ে হল, এই কয়েকদিন। আমাকে চিন তুমি এই কয়েকদিন। আমি কি করে কাছের মানুষ হলাম, এতো তাড়াতাড়ি?
- তাও তুমিই কাছের মানুষ। তুমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমি তোমাকে ভালবাসি।

কথাটা শুনে থমকে থাকে নূর। বেশ কিছু সময়। বিয়ে করা বউ ভালবাসবে এটাই স্বাভাবিক। তবুও কথাটা কেমন যেন, বুকের ভিতর কোথায় যেন বিঁধে। এই মেয়েটাকে একা রাখতে পারবে না, নূর। হারাতে পারবে না নূর। এই মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়েও কাটিয়ে দেয়া যায় অনেকটা সময়।
সেই থেকে, বিনির সাথেই থাকা। দুজন ঘরের মধ্যে বসে থাকে। গল্প করে। মাঝে মাঝে বের হয় বিকেল বেলা। বাসার সামনের লেক ধরে হাঁটে অনেকটা সময়। যেদিন বের হয় বিনি, সাজে অনেক সুন্দর করে। সাজলেই বিনি, নূরের কেন যেন ভয় লাগে। কিসের ভয় জানেনা নূর। সব কিছু হয়ত সবসময় জানা যায় না। কিছু অজানা কারণ থাকে। এই যে খাটের নিচে বিনি, কি দেখল সেসবের কোন কারণ নেই। নূর এখন সারাক্ষণ পাশে থাকে। এখন আর কখনও অমন কিছু দেখে না বিনি। সারাদিন হাসে, নূরের হাত ধরে। আবার মুখ গম্ভীর করে থাকে, বাবা মায়ের সামনে গেলে। নূর বুঝতে পারে,খুব একা থাকা মেয়েটা নূরকে হঠাৎ করেই আপন করে নিয়েছিল। খুব কাছের কেউ, বানিয়ে ফেলেছিল। চাকরি করবে নূর। সারাদিন থাকবে দূরে। এটা মানতে পারছিল না বিনি। খুব কাছের মানুষটাকে দূরের কেউ করতে চাচ্ছিল না। চাচ্ছিল না একা হয়ে যেতে। তাই অবচেতন মন অমন কিছু তৈরি করেছে। নূর বাহিরে থাকলেই, একা থাকলেই, ভয় পাবার ব্যাপারটা। কিংবা সবটাই মিথ্যে, নূরকে কাছে রাখার জন্য। এতো সহজ সরল মেয়ে, মিথ্যা বলতে বলতে পারে না। আবার পারেও, হয়ত একাকীত্বে ডোবার সময়টাতে মনের ভিতর সৃষ্টি করেছিল, কিছু মিথ্যা, নূরকে কাছে রাখার জন্য।
সে যাই হোক। নূর এখন বুঝতে পারছে, নিজেও শুধু বিনি কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। বিনিকে ছাড়া থাকা অসম্ভব। বিনিকে খোলা চুলে ঘুমাতে দেখা, হাত ধরে হাঁটা, কিংবা সারাদিন চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়া, হারাতে চায় না নূর। এটাই করে নিয়েছে নিজের সব। বাবা প্রতিদিন বলে, কিছু একটা কর।
নূর কিছু একটা করতে পারে না। ভালবাসার মায়া অন্য কিছু। হয়ত কিছুর বিনিময়েই সেটার বিনিময় হয় না।
নূর বিনির হাত ধরে বসে আছে, বারান্দায়। বাহিরে হাঁটা মানুষগুলো দেখছে। দূরে বসে থাকা, জোড়া জোড়া পাখি দেখছে, চড়ুই পাখি। গল্প বুনছে। স্বপ্ন বুনছে।
নূরের মা এসে ডাক দিলেন, বিনিকে। বিনির মা এসেছেন। তিন মাসের ভিতর একবারও বিনি বাড়িতে যায় নি। হয়ত দেখতে এসেছেন বিনিকে। কিংবা কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে।
বিনি নিচে চলে গেল। নূরের যেতে ইচ্ছা করছে না। নূর বারান্দায় বসে আছে। বিনি চলে যাবে না তো আবার, বাবার বাড়ি? বারান্দা থেকে, খাটের নিচে তাকাল নূর। ছোট একটা বাচ্চা সেখানে। নূর এখন দেখতে পাচ্ছে। বিনি যেমন বলেছিল, ঠিক তেমন। তাকিয়ে আছে নূরের দিকে। সত্যি দেখছে তো নূর? হয়ত এটা মনের ভুল। কিংবা নিজে নিজে বানিয়ে ফেলা কোন মিথ্যা। বিনিকে আটকে রাখার জন্য। বিনিকে ছাড়া ওভাবে থাকা সম্ভব না নূরের। বাচ্চাটা দেখে, বিনিকে ডাকছে নূর।
" বিনি, এই বিনি। ঘরে আসো একটু তাড়াতাড়ি। "
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×