somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন মূকের জবানবন্দি-২

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১.
আমি সবকিছু ফিরিয়ে দিয়েছিলাম নিঃসংকোচে। বিদায় সম্ভাষনের সময় আমার ঠোঁটজোড়া এতটুকু কাঁপেনি। আমার দৃষ্টি একটুও ঝাপসা হয়নি। আমি ছুটে যায়নি অতীতের শিয়রে, সেখানে হয়ত ব্যগ্র অপেক্ষায় ছিল কোন রোমন্থন, আমাকে পিছুটানে জড়াবে বলে। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার হৃদযন্ত্র খেটে যাচ্ছিল অন্য দশটা দিনে যেমন করে খেটে যায় তেমন করেই। এটাই নিয়ম। এভাবেই ফিরে যেত হয়। যেভাবে বালুকাবেলার অনেক কাছে চলে আসা ঢেউদের বিদায় নিতে হয় এক পশলা জলের পরশ রেখে। নিশ্চল অসার বালুকাবেলা কখনও আশ্রয় দিতে পারে না একবিন্দু জলকে। নিজেকে পুরোপুরি সিক্ত করে যতটুকু ধরে রাখা যায় তাও একসময় সূর্যের রোষানলের শিকার হয়। তারপর আবার সেই নিশ্চল দিনযাপন রাতযাপন। কোন ক্রন্দন থাকেনা, থাকেনা কোন অনুযোগ।


২.
পথ ভুলে অন্ধকার প্রকোষ্ট অব্দি পৌঁছে যাওয়া আলোদের ফিরে যেতে হয়। কারণ সুর্যাস্ত অমোঘ সত্য। তারপর আবার অন্ধকারের সাম্রাজ্যে অদৃশ্য ধোঁয়ার কুন্ডলী আর নিকোটিনের দুঃশাসন চলে। সাম্রাজ্যপতির করুণ চাহনি ঠেকে দেয়ালের গায়ে। অন্ধকারে সেই দৃষ্টি সবার চোখ এড়িয়ে যায়। নিষ্পাপ সেই চাহনীর তীব্রতায় খসে পড়ে পলেস্তারা। তবুও অমসৃণ শরীর নিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকে কৃত্রিম প্রাচীর। আবেগহীন, মানবিকতাহীন পাষান প্রাচীর। নিজ সৃষ্ট বিভেদের চোখরাঙ্গানীর দর্প একসময় মাটিতে মিশিয়ে দেয় প্রকৃতি। কিন্তু কৃত্রিম বিভেদ ঘুচায় না কখনো। এপাশে আমি দেয়ালে পিঠ হেলানে বসে থাকি, ওপাশে কেউ হেঁটে যায় দেয়াল পেছনে রেখে।



৩.
ঠিক মধ্যরাতের স্বপ্নরা নাকি অনেক সময় সত্য হয়। তাহলে রাতজাগাপাখিদের কি হয়? তাদের তো কোন মধ্যরাতের স্বপ্ন নেই। অন্ধকার, দিবাস্বপ্ন আর অপ্রাপ্তি ভর্তি তাদের হিসাবের খাতাটা যেন একটা কৌতুক পত্র। তবুও তারাই ডেকে আনে প্রহরের প্রসবকাল। তারাই চাক্ষুষ করে আলোর জন্ম।



৪.
সান্ত্বনা দিয়োনা। তোমাদের সহানুভুতির ফুলঝুরির অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকে পরিহাস আর ব্যঙ্গ। ফিরে যাও অন্ধকার নামার আগেই, যেখান থেকে এসেছিল সেখানে। এই অন্ধকারে তোমাদের মানায় না। এই অন্ধকার পরম পবিত্র। এখানে মুখোশ নেই, কাল্পনিক অবয়ব নেই। তবু শ্বাসের শব্দ শুনে বিশ্বস্ততার হাত বাড়ানো থাকে এখানে, হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার আগে তুমি ঠিকই অবলম্বন খুঁজে পাবে।
উজ্জ্বল দীপ্তির মধ্যে বাস করার অহংকার তোমাদের মিথ্যা। এত আলোর মাঝেও তোমরা অন্ধ। মুখোশটা ছিনিয়ে নিলে বের হয়ে পড়বে তোমাদের কদাকার মুখ। গাঢ় অন্ধকারেও সেই মুখ লুকোতে পারবে না।










তোমাদের দ্বৈত সত্তার লড়াই ধ্বংস ডেকে আনবে তোমাদের অস্তিত্বের। তোমাদের কুৎসিত অস্তিত্ববিহীন অন্ধকার পৃথিবী অনেক বেশি আলোকময়, অনেক বেশি উজ্জ্বল।







I did my time and I want out, so abusive
Fate, it doesn't cut, the soul is not so vibrant
The reckoning, the sickening
Back at you, subversion, pseudo-sacred, psycho virgin

Go tell your classes, go dig you graves
Then fill your mouth with all the money you will save
Sinking in, getting smaller again
Undone, it has begun, I'm not the only one

And the rain will kill us all
If we throw ourselves against the wall
But no one else can see
The preservation of the martyr in me











একজন মূকের জবানবন্দি-১



** নিদ্রাতুর কিছু সময়ের পর ইচ্ছে করে আমি আমার জন্য লিখি।
**লিরিকটি Slipknot এর Psychosocial এর।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×