অভিজিৎ রায়কে হত্যা করেছে ইসলামী জঙ্গিরা, চারিদিকে এই বিষয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তবে লক্ষণীয় বিষয় মডারেটর মুসলিম ও ভেক ধরা অনেক কথিত সুশীল এই হত্যাকে সমর্থন করছে এবং হত্যা হওয়ার জন্য উল্টা অভিজিৎকেই দায়ী করছে।
তারা মিনমিনাইয়া এক লাইনে বলছে কোন হত্যা সমর্থন যোগ্য নয় ইসলামও এটাকে সমর্থন করে না! এবং তারপরেই ইসলাম যেটাকে সমর্থন করে না বলছে সেই কাজ করা জঙ্গিদের পক্ষেই সাফাই গেয়ে পেজ ভরে ফেলছে।
এদের কথা অভিজিৎ নাস্তিক হতেই পারে সে তার নিজের বিশ্বাস নিয়েই থাকত কিন্তু লেখার মাধ্যেমে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মানুভূনিতে আঘাত করে অন্যয় করেছে অতএব তাকে হত্যা করায় অন্যায় কিছু দেখছে না! অর্থাৎ এদের সাথে জঙ্গি মানুষিকতার খুব একটা পার্থক্য নেই।
জাকির নায়েক মুসলিম হয়ে হিন্দু খ্রীস্টান ধর্মের সমালোচনা করে কোরআন বিশ্বাসী হয়ে বাইবেল গীতার নিজ ইচ্ছা মত ব্যাক্ষা করে হিন্দু খ্রিস্টান ধর্মাবল্মী দের ধর্মানুভূনিতে আঘাত করে তখন কোনো অন্যায় হয় না।
আর অভিজিৎতেরা নাস্তিক হয়ে ধর্মের সমালোচনা করলেই তাকে হত্যা পর্যন্ত করা জায়েজ হয়ে যায়!
নিম্ন বুদ্ধির নেড়ী কুকুর শ্রেণীর প্রাণীরা বুদ্ধিহীনতার কারণে যেমন সামান্যতেই কামড়া কামড়ি করে একই রকম মৌলবাদী ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্টি সমালোচনার জবাবে সমালোচনা করে জ্ঞানতাত্বিক লড়াই করার জ্ঞান না থাকায় পারে শুধু ঐ কুকুরদের মত কামড়ে দিতে।
আজ যারা এই হত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গাইছেন তাদের বলছি ইরাক আফগানিস্থানের সাধারণ মানুষ এখন জীবন নিয়ে পালিয়ে বাচার চেষ্টা করছে ইসলামী শরিয়া শান্তির শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করা জঙ্গিদের হাত থেকে।
বাংলাদেশে এই জঙ্গিদেরই সমর্থন যে ভাবে বাড়ছে একদিন এমন সময় আসবে যেদিন আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইরাকি আফগানীদের মতই জীবন নিয়ে পালিয়ে বেড়াবে ।
সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা যাদের নাই তারা পালন করে শান্তির ধর্ম! কোনো ধর্ম যদি মানবিকতা সহিষ্ণুতার শিক্ষা না দেয় সেটা কোনো মানুষের ধর্ম হতে পারে না সেটা হয়ে যায় শয়তানের ধর্ম।
নাস্তিক হত্যার প্রতিবাদে প্রতিশোধ নিতে কোনো নাস্তিক আজ চাপাতি বোম হাতে বেড়িয়েছে?