ছবি- নেট থেকে নেওয়া।
জীবন, বহমান নদীর মত চলছে, চলছেই-------।
জানিনা, কোথায় এই চলমান ধারার অন্তিম প্রান্ত। অবশ্য আমার জীবনের গল্পটুকু ভিন্ন। আমার জীবন নদীতে অনেক আগেই বালুচর জেগে উঠেছে, যে দিকে তাকাই শুধু ধুঁ-ধুঁ বালুচর। এই সমাজ সংসারে আমি বড্ড বে-মানান, সভ্যতার প্রজ্জলিত শিখা আমি ছুঁতে পারিনি তাই অমাবস্যার গাঢ় অন্ধকারে আমার পথচলা।
এই সমাজ সংসারে আমার দিকে ভালবাসা নিয়ে কেউ হাত বাড়ায়নি তবে করুণার দৃষ্টি পেয়েছি অনেকের। আমি যে একদম অপদার্থ তা কিন্ত নয়, কারোর একটু সহযোগিতা পেলে হয়তো সভ্যতার আলোয় নিজেকে রাঙাতে পারতাম কিন্তু কেউ হাত বাড়ায়নি বরং সবার উপহাসের পাত্র হয়েছি বারবার।
যদি কখনো স্রষ্টার সাথে কথা বলার সুযোগ হয় তাহলে তাকে বলব- "গতির এই জগতে সবাইকে সমান শক্তি দিতে হয় তাহলে প্রতিযোগিতা জমে উঠে"। এই সমাজ সংসারে কেউ দু'মুঠো অন্নের জন্য অন্যের দুয়ারে হাত বাড়াচ্ছে আবার কেউ ভোগ বিলাস উৎসব করে সহস্র রুপি দিদাচ্ছে উড়াচ্ছে, অসম এই ব্যাবস্থায় জগতে গতির এই প্রতিযোগিতা আয়োজন অনর্থক, অযেীক্তিক।
জাদুকর কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ একবার বলেছিলেন- পৃথিবীতে সবাই আলাদ্দিনের চেরাগ নিয়ে জন্মে, যারা চেরাগ থেকে দৈত্য বের করতে পারে তারাই সাফল্যের শিখরে। লেখকের কাছে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করেছিল- চেরাগ থেকে দৈত্য বের করার মন্ত্র শক্তি সবাই কি সমান নিয়ে জন্মায়?
যাদের আলোয় পথচলা অভ্যাস, অন্ধকারে পথচলার কষ্ট তারা উপলদ্ধি করতে পারবে না। হতাশার চুরাবালিতে বন্ধী মানুষদেরও স্বপ্ন থাকে, আলোর শিখা জ্বালতে তারা ছুটতে থাকে দিগন্ত থেকে দিগন্তরে পথে-----।
সবার দু'চোখ থাকে- "একটি ভোরের খোঁজে"।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫১