মানুষের গড়া সমাজ তার পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মানুষের চলন-বলন দেখলে মনে হবে মানুষ অনিশ্চয়তা মধ্যে দিনযাপন করছে, একটু দৃষ্টি দিয়ে দেখলে মনে হবে অশুভ শক্তির হাতে সমাজ জিম্মি।বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের কারায়াত্বে। নষ্ট-ভ্রষ্টদের আধিপত্য অনিয়ান্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ নষ্টদের নষ্টামী সাধারণ মানুষ মনে করে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি দুর্নীতিবাজ। দেশের অধিকাংশ মসজিদ মন্দিরের টাকা পয়সার হিসাব থাকে ধনী, লোভী ও পারসেন্টিজ খেয়ে যারা জীবন ধারণ করে তাদের হাতে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণ(!) এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সিংহভাগ গাড়ল, অল্প শিক্ষিত ও কুশিক্ষিতদের হাতে। রাজনীতি অনেক আগেই চলে গিয়েছিল মূর্খদের কাছে। এখন ওরা টেন্ডারবাজি, থানার দালালীর বৈধ লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে। সংস্কৃতি চর্চার দায়ীত্ব চলে গেছে অপসংস্কৃতদের অধিকারে, অবশেষে যেটুকু ছিল তাও চলে যাচ্ছে, শুনতে খারাপ লাগলে তবুও শুনতে হবে তা হল সংবাদ ক্ষেত্র। সংবাদক্ষেত্রের সার্বিক ক্রিয়াকলাপ এখন নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে। সম্ভবত এই ক্ষেত্রে আর আগের মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। যদি না আসে তাহলে এ দেশের কি হবে! ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তাশীলদের ভাবা প্রয়োজন। ভয় হচ্ছে এরকম একেক করে সকল নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি নষ্টদের অধিকারে চলে যায় তা হলে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে। নষ্টদের পরিবৃত্তের স্পষ্ট চিত্র আমরা একটি কবিতায় দেখেছিলাম যার নির্মম বাস্তবরূপের বর্ণনার সাথে কি মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে?
“অদ্ভুদ আঁধার এ এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোন প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া
যাদের গভীর আস্থা আছে আজও মানুষের প্রতি
এখনো যাদের স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শিয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়”