সবাইকে প্রথমে পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানাই। অতঃপর ঈদে-মিলাদুন্নবী পালন করা-নাকরা বিষয়ক একটি পোস্ট দিলাম। আশাকরি তর্ক করবার ইচ্ছা থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
বর্তমানে নিজের জন্মদিন পালন করতে কাহারও বাঁধে না। তখন বিদাতের প্রশ্নও আসে না কিন্তু যখন দিনটি হয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মদিন তখন কথিত মুসলিম (নামধারী, পড়ুন ওহাবী অথবা সালাফি যাদের কাজই হল মসুলমানদের ভেতর বিভেদ তৈরি করা) তাদের মুখ থেকে একটি কথা শোনা যায় বেদাত!! মজার লাগে এদের কাজ কর্ম দেখতে।
অমুক নেতা, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিবাহ বার্ষিকী, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সারাবছর ধরে চলে আসছে। আসলে এই সময়ে বিদাত কোথায় যায় এটাই আমার প্রশ্ন। এমনকি আজকের দিনে খ্রিস্টানদের যখন উৎসব করতে দেখছি কই তখন এসব ফতোয়াবাজ বিদাতিদের তো দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এসব কথিত নবী প্রেমিকরা আবার কথায় কথায় হাদিস হাদিস করে আর মিলাদ কে হারাম বলে আবার মরার পর ৩ দিন থেকে চল্লিশা মৃত্যুবার্ষিকী কোনটাই বাদ রাখে না। দুদিন পর-পর সৌদি থেকে নতুন নতুন ফতোয়া নাজিল হয় আর কাওমি পন্থী আলেমরা মাইক নিয়ে এসব নিয়ে প্রচারনা চালায় কিন্তু একটি বারও ভেবে দেখে না কি করছি কেন করছি সত্যি কথা হল ছোট বেলা থেকে এরা বুঝে শুধু হুজুর বলেছেন কিন্তু হুজুর রাও কখনও এদের চিন্তা বা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন নাই বা করতেও দেন নাই। ফলাফল তালেবান, বকোহারাম,
আল-কায়েদা, আইএস।
আসলে একটি বিশেষ দিন আসলে ওই দিন সম্পর্কে অনেক আলোচনা হয়, অনেক কিছু জানা যায়। কিন্তু এভাবে যদি আস্তে আস্তে সব পবিত্র দিন গুলোকে এক একটি কারন দেখিয়ে দূর করে দেওয়া যায় তবে আর কেউ এসব দিন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকবে না। হয়ত একসময় বলা হতে পারে নামাজ রোজা বলে কিছু নাই, হজ্জের ইতিহাস ভুল ভাবে লেখা হবে আর সেটাই অনেকে মেনে নেবে। এক কথায় অনেক বড় ধরনের চক্রান্ত চলছে ইসলাম নিয়ে।
আসলে লিখতে বসলে অনেক কথাই লেখা যায়। তবে সময়ের অভাবে এতটুকু দিয়েই শেষ করলাম নিজের জন্মদিন আমি পালন করি সুতরাং সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটির(যাকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবী- ই সৃষ্টি হত না) জন্মদিন পালন করা আমার কাছে খারাপ কিছুই নয় বরং পবিত্র দায়িত্ব।