ইজরাইলের পক্ষে আমেরিকার আনা পস্তাবে অ্যামেরিকা ছাড়া আর কেউ সমর্থন করেনাই। অন্যদিকে ইজরাইলের রিরুদ্ধে কুয়েতের আনা প্রস্তাবে অ্যামেরিকা ছাড়া আর সবাই সমর্থন দিয়েছে।
প্রথমে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে ইউরোপের সাথে দূরত্ব তৈরি করেন ট্রাম্প। এরপর গত মাসেই ইরানের সাথে হওয়া ৫ বিশ্বশক্তি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানির পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় ট্রাম্পের অ্যামেরিকা কিন্তু এবার আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে বরং সবাই ইরানের সাথে চুক্তি চালিয়ে যাবার প্রত্যাশা করে। সর্বশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপর অতিরিক্ত কর চাপাতে গিয়ে অ্যামেরিকাকে এক ধরণের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে ফেলে দিয়েছে ট্রাম্প। সুতরাং নিশ্চিত ভাবেই বলে দেওয়া যায় এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই অ্যামেরিকার অর্থনীতি সোভিয়েত ইউনিয়নের মত ধ্বসে পরবে।
আসলেই পুতিন ট্রাম্পকে আমেরিকার ক্ষমতায় এনেছেন প্রতিশোধ নেবার জন্য। পুতিন খুব কাছ থেকে দেখেছেন সোভিয়েত যুগের পতন কিন্তু তখন কিছুই করবার সক্ষমতা ছিল না তার। তবে এখন তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়েই দাবার চাল চেলে চলেছেন। এর মধ্যে রাশিয়ান S-400 প্রতিরক্ষা বাবস্থা ক্রয় নিয়ে ভারত ও তুরস্কের সাথে আমেরিকার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তুর্কিকে F-35 না দিতে মার্কিন পার্লামেন্টে পস্তাব পাশ হয়েছে ফলে তুরস্ক রাশিয়ার তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের Su-57 কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি সৌদি আর দুই বন্ধু দেশ সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত সবাই এখন রাশিয়ার পিছে ছুটতে শুরু করেছে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাবধানে জার্মানি, ফ্রান্স,ইজরায়েল, উত্তর কোরিয়া, জাপান, আরব আমিরাত, সৌদি রাজা সবাই মস্কো সফরে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪