সারা বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে। যে দেশটাকে বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী চিন্তা-ভাবনার প্রতি হুমকি বলে মনে করছে, সেই দেশের একজন নাগরিক আমি, আপনি। আমাদের দেশের সীমান্তে ইঁদুর মায়ানমারের জান্তাশক্তির আস্ফালনে তাই সেনাবাহিনী দিয়ে মোকাবেলা না করে, র্যাবকে দিয়ে ধকম দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সাথে সাথে কয়েক দিনের জন্যে সীমান্তে মিয়ানমারের নড়া-চড়া বন্ধ ছিলো।
আলেকজান্ডার বাংলা জয় করতে পারেন নাই
মিয়ানমার হয়তো জানে না, বাংলাদেশের এই শক্তিমত্তা নতুন কিছু নয়। কয়েক হাজার বছর আগে, আলেকজান্ডার যখন বিশ্বত্রাস হয়ে দেখা দিয়েছিলেন, তখন তিনি গঙ্গারীড বা বাঙ্গালীদের যুদ্ধ প্রস্তুতির খবর পেয়ে আমাদের বাংলার দিকে অগ্রসর হন নাই। ইতিহাসে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশের যুদ্ধ-সম্ভার ছিলো এই রকম - "পদাতিক বাহিনী ২লক্ষ, অশ্বারোহী সৈন্য ২০ হাজার , রথ ২ হাজার এবং ৩-৪ হাজার হাতি।"
বাঙ্গালিরা কামান চালনায় সিদ্ধ ছিলো
মোগল সম্রাট বাবর তাঁর 'বাবরনামা'-তে উল্লেখ করেছেন - "বাঙ্গালীরা কামান চালনার নৈপুণ্যের জন্যে বিখ্যাত। আমরা এখন তার পরিচয় পেলাম। তারা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ স্থির করে কামান চালায় না, যথেচ্ছ ভাবে চালায়।"
আমাদের বাংলায় সোনার ও হীরার খনি ছিলো
সিসিলির ঐতিহাসিক ডায়োডরাস তাঁর বিবলিওথেকা হিস্টোরিকা বইতে উল্লেখ করেছেন যে, সারা ভারতের মাঝে গঙ্গারিডরা ছিলো শ্রেষ্ঠ। এদের ৪ হাজার হস্তিবাহীনী আছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে জানা যায় পুন্ডক (উত্তরবঙ্গ) ও ত্রিপুরা (কুমিল্লায়)-তে হীরার খনি ছিলো। টলেমী লিখেছেন, গঙ্গে বন্দরের কাছে সোনার খনি ছিলো।
বাংলাদেশ আস্তে আস্তে করে আবারো সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। ২০২১ সালে, বাংলাদেশের জিডিপি যেখানে ৪৫৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মিয়ানমারের ছিলো ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশকে তাই এগিয়ে যেতে হবে, ছিঁচকে চোর মায়ানমারকে পাত্তা না দিয়েই।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৪