
বাই পোলার ডিসঅর্ডার আক্রান্ত জাতি কেবল আমরাই এমনটা হয়ত সত্য নাও হতে পারে। তবে মোটামুটি দশকের পর দশক ধরে এই মহামারিকে সযত্নে লালন করার বিষয়ে আমরা যে বিশ্বে প্রথম তা নিয়ে কোন "দ্বিমত" নেই। (মানে আমরা নিজেরা বিচার করতে গেলেই দ্বিমত শুরু হবে, ফলে অন্যদের দিয়ে করানোই ভালো।) জাতির জনক, নোবেল প্রাইজ, এভারেস্ট জয়, বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার সকল বিষয় নিয়ে আমরা ক্লান্তিহীনভাবে বাই পোলারিটির চর্চা করে চলেছি। ফলে আমরা দেখতে পাই জাতীয় চরিত্রে ভয়াবহ বৈপরীত্যের কোন্দল এবং সহাবস্থান। ফলে একদিকে এই জাতি যেমন এক্সট্রিম বাই পোলার ডিজঅর্ডারগ্রস্ত তেমনি সমমাত্রায় ভয়াবহ বৈপরীত্যের সহবস্থানের কেন্দ্রবিন্দুও বটে। ফলে এখানে যেমন দাস ও জমিদারী, ধর্ষক ও ধর্ষিত, এক্সট্রিম গরীর ও এক্সট্রীম ধনী ইত্যাদি যেমন দেখতে পাওয়া যায়। তেমনি পাওয়া যায় এদের সহাবস্থানও যেমন, স্বৈরশাসকের পুনঃস্থাপন, রাজাকারের পুনর্বাসন, খুনীর রাষ্ট্রীয় আশ্রয় ইত্যাদি।
এই হাইপার রিয়েলিটিতে জনগণের মধ্যে তৈরি করেছে এক ভয়াবহ "হাইপারবাইপোলারসহাবস্থান" সিনড্রোম। এই তারা আত্মত্যাগী, এই তারা ভীষণ ভোগী, এই তারা মা মাটি বোন বলে চিৎকার করছে, এই তারা ধর্ষণ করছে। এই তারা দেশের সম্পদ দিয়ে লংমার্চ করছে এই তারা সোনা চোরাচালান, অস্ত্রবাজী করছে। এই তারা ভীষণ রক্ষণশীল, এই তারা ভীষণ প্রগতিশীল। ফলে যে কোন বিষয়ে দ্রুত হাইপ হওয়া এবং দ্রুত এক্সসস্ট হওয়া তাদের কমন চরিত্র। জগতের সবকিছুর পেছনে, কাউন্টার তৈরি করার বিষয়ে তারা ভয়াবহ ওস্তাদ, আকাশে তুলতে এবং নরকে নামাতে তাদের একটুও দেরী হয়না। জমিদার, ঈশ্বর এবং দাস এই তিন ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তারা যে কোন মুহুর্তে ঝাপ দিতে প্রস্তত। কিন্তু নিজেদের "ভয়াবহ রোগ" থেকে মুক্তি পেতে অক্ষম। এদেশের জনপ্রিয়তা এদেশের ঘৃণার মতই সমান অবিশ্বাস্য। মোদ্দা কথা হল এই এক্সট্রিম বাই পোলারিটি এবং সহবস্থানের ফলে আমরা নিজেদের সঠিক বিচার করতে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ক্রমশ আরো আরো অযোগ্য হয়ে উঠছি। অনেক মানুষের মধ্যে এক নায়কতন্ত্রের প্রতি যে মোহ দেখি তা এই ক্রমাগত সিদ্ধান্তহীনতা সৃষ্ট একটি প্রতিক্রিয়াও বটে। এই এক্সসস্ট মানুষেরা আসলে কি চায়? তারা এক্সরশন থেকে মুক্তি চায়। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সকল তর্কই এক সময় ঠান্ডা হতে বাধ্য। কারণ এক্সরশনের পর ক্লান্তিই একমাত্র ধাপ। একদিকে ভয়াবহ বাই পোলারিটি এবং আরেকদিকে এক্সট্রিমের সহাবস্থান মানুষকে আসলে এজিটেটেড রাখে সবসময়। তার বিবেচনা বোধ নষ্ট করতে থাকে। মুনাফা লোভীদের, শোষণকারীদের, নিয়ন্ত্রণকারীদের সবার জন্যই এটা আরামদায়ক একটা পরিস্থিতি। সকল কিছুর ইন্টারভেনশনের জন্য এটা এক চমৎকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে তাদের পছন্দ ও প্রয়োজন মাফিক নানান রকমের ডিসপিউট তারা তৈরি করতে থাকে। এবং মাঝে মাঝে জনগণও ক্ষমতাবান এই বোধও দেয়া হয়। তবে ভয়, অবিবেচনা, অনিয়ন্ত্রণ বা দারিদ্র দিয়ে "হাইপারবাইপোলারসহাবস্থান" সিনড্রোম থেকে উদ্ধার পাবার কোন আশা দেখিনা। পুরো জাতির, (যেহেতু সকল জাতিই কল্পিত), মাথা ঠান্ডা হওয়া দরকার। বিবেচনা বোধ সচল হবার জমিন তৈরি হওয়া দরকার।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




