somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি যেন ভাবে। হিসাব মিলাতে পারে না

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অফিসের অলি ভাই নতুন জামা পরে অফিসে এসেছেন। প্রশংসা করতেই বললেন দামতো মাত্র তিনশ' টাকা। এ কথাটা বলার কি দরকার ছিল? এ যুগে এতো সহজ সরল হলে কি হয়? কিন্তু আমাদের অলি ভাই এতটাই সহজ সরল। বয়স হয়ে গিয়েছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সবাইকে তিনি ভালবাসেন। স্নেহ করেন। ইনকিলাবে বহুদিন কাজ করেছেন। এখনও সংবাদ এডিট করেন নিরন্তর।
ভালই পড়ালেখা হচ্ছে্। চাকরির বয়স শেষ। তাই শেষ চেষ্টা। আজ সারাদিন স্টাডি করেছি। পড়াশুনা করতে কষ্ট হয়। কিন্তু ছোট হলেও একটা সরকারি চাকরির আশা। তাই নিরন্তর সাধনা। হয়তো হতেও পারে আবার নাও পারে। অাল্লাহ ভরসা। অনেক কিছু ভাবনায় চলে আসে। ঢাকায় যদি সেটলড হতে হয়, তবে ইনকাম বাড়িয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে ফ্যামিলি নিয়ে কষ্ট হবে। হয়তো চলে যাবে। কিন্তু ছেলেটাকে একটু ভাল করে মানুষ করতে হবে। এজন্যই চিন্তা। ভাল স্কুলে পড়াতে গেলে বেশি খরচ। কিন্তু জেলা শহরে থাকলে এ চিন্তাটা আর অাসে না। জিলা স্কুল, পরে সরকারি কলেজ, পরে ভার্সিটি। তাছাড়া জেলা শহরে অনেক স্বস্তিতে জীবন কাটানো যায়। সেখানে ঢাকা শহরের মতো এতো হাঙামা নেই। যানজট। খুন ছিনতাই সারাদেশে থাকলেও ঢাকা শহর অনেক ভয়ঙ্কর মনে হয়। এজন্য শেষ চেষ্টা। বলা যায় জান প্রাণ দিয়ে। বিসিএস, ব্যাংক, হাইস্কুল শিক্ষক অথবা প্রাথমিকরে প্রধান শিক্ষক। সাংবাদিকতার কোনো সিকিউরিটি নেই। এজন্যই তো ভয়। আল্লাহ নিশ্চই মানুষের একান্ত বাসনাকে অপূর্ণ রাখেন না।
মাঝে মাঝে অনেক কষ্ট হয় ছেলেটার জন্য। কতদিন দেখা হয় না। বাবার প্রতি অভিমান তা বুঝতে পারি। কিন্তু চোখে জল আসে। ছোট্ট ছেলেটা এতো বুঝে কি করে? মায়ের কোলে ঝাপানোই ওর এখনকার প্রধান কাজ। কার্টুন আর রেসিং দেখতে দারুণ অভ্যস্ত। চ্যানেল চেঞ্জ করলেই রাগ করে অন্যদিকে হাটা দেয়। সব মিস করছি। শুধু শুনি। মনটা খারাপ হয়ে যায়।
ছোটকালেও এমন মন খারাপ হতো। যখন বাবার কাছে কোনো কিছু চেয়ে পেতাম না। কিংবা অযাচিত কেউ কোনো কথা বলে কষ্ট দিতো। লাইফটা এতো সহজ সরল ছিল যে কাউকে কিছু বলতাম না অভিমানে। আমার ছেলেটাও সেরকম। আমি কাছে গেলে ওর দুনিয়া যেন পাল্টে যায়। সমস্ত বাসা যেন আলোয় ভরে ওঠে। মায়ের মুখে বাবার কথা শুনলেই আনমনে তাকিয়ে থাকে। কি যেন ভাবে। হিসাব মিলাতে পারে না। বাবা একদিনের জন্য আসে আবার কোথায় চলে যায়।
সেই ছোট বেলায় ফিরে যায় মন। প্রাইমারি স্কুলের মাঠে কত খেলা করতাম। সোনালী দিনগুলো এখন স্মৃতির পাতায়। ক্লাস ফাইভেই ভাবতাম কবে হাইস্কুলে ভর্তি হবো। মনটা উশখুস করতো। সিক্সে ভর্তি হলে দুবছর পরে মনে হতো কবে ম্যাট্টিক পাস করবো। শুধু নানা চিন্তা হতো। কবে বড় হবো। সেই হাইস্কুলও পার করলাম। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের সময় মতো হতো বিশ্ববিদ্যারয় হাতছানি দিচ্ছে। কবে পাড়ি দেব স্বপ্নের পথে। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×