শান্তির ভগবান!
মিথ্যে তোমার শান্তির ইশতেহার-
লিটল বয়, ফ্যাটম্যান,
ওরা তো তোমার মগজে নিষিক্ত অগ্নি দানব,
টমাহক, ক্রুজ, স্কাড;
দুরপাল্লা থেকে স্বল্প পাল্লা-
ক্রেমলিন থেকে সাদা ঘর
বারুদের দর্পাঘাতে কেঁপে উঠে জ্বালামুখ।
তবুও তুমি,
অথবা তোমরা
শান্তির খই ছড়াও বিরাণ জনপদে,
স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের চালান পত্রে
লিখে দিয়েছো শান্তির মটো।
বলকান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে আফ্রিকা-
সমস্ত ধরিত্রী তুমি দাঁপিয়ে বেড়াও
মুক্তির সনদ নিয়ে,
শিকারী ঈগলের সুপারসনিক ডানায়।
সে কেমন মুক্তি !
সে কেমন শান্তি !
জানে শাতিল-ই-আরবের রক্ত স্রোত
যেখানে মিশে আছে অজস্র চোখের জল
পিতা হারা সন্তানের,
সন্তান হারা জননীর,
স্বামী হারা কুল রমণীর।
কাবুল থেকে বাগদাদ হয়ে ডেমাস্কাস
জয়তুন সুশোভিত প্যালেষ্টাইনের সবুজ মাঠ
শান্তির বাজ পাখি ওড়ে ধ্বংসস্তুপের ভেতর।
আর কত ?
আর কত দজলা ফোরাত
ভারী হবে আপন ভাইয়ের রক্ত স্রোত মিশে?
তোমার আশীর্বাদে
আর কত সুরম্য নগরী মৃত্যুকুপ হলে
আর কত তেলের জাহাজ হরমুজ পাড়ি দিলে
তবে শান্ত হবে রক্ত মাখা পৃথিবীর বুক?
জবাব দাও-
মুখোশধারী বিশ্ব ভগবান।
কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আর কেউ লিখবেনা
কোনদিন মরনাস্ত্রের চালান।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২