
গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। সারা দেশেকে নাড়িয়ে ঘটনার পরেও যদি একই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তবে একে কী বলা যায়? একটি ইঁদুরের বাচ্চা মুড়ির খোঁজে যখন মেঝেতে নামে, সেও এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখে নেয় কোনও বিপদ হতে পারে কি না। আর আমাদের মেয়েরা এতটাই আত্মবিশ্বাসী(!) হয়ে উঠেছে যে আগ-পাছ কোনও কিছু ভাববার প্রয়োজন বোধ করে না। যে বলে আয় রে, তার সাথেই যাই রে!
সেই একই কাহিনী!! বনানীতে জন্মদিনের কথা বলে আবারও তরুণী ধর্ষণ। বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বনানী ২ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর বাড়িটিতে (ন্যাম ভিলেজ) জন্মদিনের দাওয়াতের কথা বলে ডেকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় বাহাউদ্দিন ইভান নামে এক শিল্পপতির ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। গত চার মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মঙ্গলবার জন্মদিনের কথা বলে খালি বাসায় ডেকে এনে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর রাতেই বাসা থেকে বের করে দেয়া হয় তাকে।
একজন মেয়েকে বড় হবার পর তার নিজেকে রক্ষা করার ব্যাপারটিও ভাবতে হয়। এটি নারী-পুরুষ নির্বিশেষেই সতর্ক থাকতে হয়। একজন পুরুষ রাতের নির্জন রাস্তায় চলতে একবার কি ভাবে না, চোর-বাটপার, ছিনতাইকারীর কথা? তাহলে মেয়েরা দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছে কেন? আমাদের কি পারিবারিক শিক্ষার ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে, নাকি আমারা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছি।
অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে। দুদিন হয় পরিচয়, একটু প্রেম তাতেই প্রেমিক যেখানেই যেতে বলে একাকী চলে যাচ্ছে সে। মেয়েটির প্রতি যে অত্যাচার হয়েছে তার বিচার কতটুকু হবে সময়েই দেখা যাবে। তবে এসব ঘটনা থেকে যদি মেয়েরা, তার অভিভাবকের সতর্ক না হন, তাহলে কপালে দুঃখ আসতে সময় লাগবে না।
ছবি: গুগল থেকে
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



