আগের পর্বঃ আমার ছোট্ট বাবুটা (৫)
এভাবে স্বপ্নের মত দিন কেটে যায়। সে সময় আমি শপিংয়ে গেলেও বাবুকে নিয়ে যেতাম। সে স্ট্রলারের (দেশে যেটাকে প্র্যাম বলে) উপর বসে থাকতো, মাঝে মাঝে দোকানে ঢুকে সেলস গার্লের কোলে চড়ে বসতো। রিতিমত কাড়াকাড়ি পরে যেত ওকে নিয়ে। কাপড়ের দোকানের পাশ দিয়ে গেলে সে প্র্যাম থেকে ঘুরে ম্যানিকিন গুলোকে দেখতো। আমি প্রথমবার যখন ওকে ম্যানিকিনের কাছে নিয়ে যাই, তখন সে ভয় পেয়ে আমাকে শক্ত করে চেপে ধরেছিলো। তারপরেই ম্যানিকিন হয়ে গেল তার সব চাইতে প্রিয় জিনিস। দোকানে ঢুকলেই সে ম্যানিকিন দেখে হাসতো।
বাবুকে কোলে নিয়ে হাটার বা রিক্সায় করে যাবার সময় সে কখনই আমার ঘাড়ের উপর দিয়ে দেখতে পছন্দ করতোনা। ওকে আমার বা হাতের উপর বসিয়ে ডান হাত দিয়ে ধরে থাকতাম, যাতে ওর মুখ থাকে সামনের দিকে, হাত পা ফ্রি থাকে। সে তো মুখে কথা বলতে শেখেনি তখনও, কাজেই হাত পা মাথা নেড়ে আমার সাথে ওভাবে গল্প করতো।
একটা সময় আমরা সবাই খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে বাবু একেবারেই আমার দাদুর মত। দাদু চলে গেছেন ১৯৮৫ সালে, কিন্তু দাদী আছেন। বাবুটা একদম দাদুর কার্বন কপি ছিলো, শুধু আকারে ছোট। আমার খুব মজা লাগতো ওকে দাদুর গল্প শোনাতে, সে চুপ করে শুনতো।
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি। জন্ম থেকেই সে আঙ্গুল চোষে, আমাদের নীল-দর্পণ এর মত
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




