আমাদের গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটা নদী, নাম তার ডাকাতিয়া। এই ডাকাতিয়া নদীর তীরেই আমার বেড়ে ওঠা। অনেক স্মৃতি লুকিয়ে আছে এই নদীকে ঘিরে, যা অবসরে মনের জানালায় উঁকিঝুঁকি মারে। নদীর ওপারের ছেলেদের সাথে আমাদের বিরোধ সব সময় লেগে থাকত। সেটা ঘুড়ি, পায়রা কিংবা নদীতে মাছ ধরা নিয়ে হোক। সংখ্যায় ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল । তাই আমরা ওদের সাথে শক্তিতে কখনোই পেরে উঠতে পারতাম না। বুদ্ধি দিয়েই ওদের সাথে আমাদের লড়তে হতো। রোজ বিকেলে আমরা নৌকায় করে নদীর বুকে ঘুরতে বের হতাম। আমাদের দেখাদেখি ওপারের ছেলেরাও নৌকা নিয়ে বের হতো এবং আমাদের উদ্দেশ করে নানা কূটকথা বলত। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাহস ছিল রকিবের। ও একদিন সাহস করে ওপারে গেল, নদীর কূলেই বাঁধা ছিল ওদের নৌকা। রকিব সুযোগ বুঝে ওদের নৌকায় ছোট্ট একটা ছিদ্র করে দিয়ে আসে। ব্যস সেখান দিয়ে অল্প অল্প করে পানি উঠতে থাকে। কেউ দেখার আগেই রকিব খেয়া পার হয়ে আমাদের কাছে এসে খবরটা জানায়। ওর এ কাণ্ড দেখে আমরা তো অবাক। বিকেলে আমরা নৌকা নিয়ে বের হলাম। ওপারের ছেলেরাও বের হলো এবং প্রতিদিনের মতো আমাদের কূটকথা বলতে লাগল। আমরা চিৎকার করে বললাম, সাহস থাকলে মাঝ নদীতে এসে কথা বল। আমাদের কথা শুনে ওরা নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে চলে এলো এবং বড় বড় লেকচার ছাড়তে লাগল। আমরা কেবল অপেক্ষা করছি কখন টাইটানিকের মতো নৌকাটি ডুবে যাবে। সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময় ওরা টের পেল ওদের নৌকা পানি উঠে ভরে যাচ্ছে। তাতে ওরা ভয় পেয়ে নড়াচড়া করতেই নৌকা গেল ডুবে, সবাই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমরা তো হেসে খুন ওদের কাণ্ড দেখে। কিন্তু হাসি আর বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। ওদের নৌকা ডুবে যাওয়ার পর আমাদের নৌকা ডুবানোর জন্য এদিকে আসতে লাগল। আমরা তাড়াতাড়ি নৌকা চালাতে লাগলাম। কিন্তু পারলাম না। ওরা আমাদের নৌকা ডুবিয়ে দিল। আমরাও ঝাঁপিয়ে পড়লাম পানির মধ্যে। নদীর পাড়ের বাজারের লোকজন আমাদের কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। সাঁতরে আমরা নদীর কূলে এসে উঠলাম, নৌকা ভেসে গেল স্রোতে। ঘটনাটা মনে পড়ল এখনো হারিয়ে যাই শৈশবে।
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন