somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এডভেঞ্চার সিপ্পি আরসুয়াং শেষ পর্ব।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে সিপ্পি আরসুয়াং বনপাহাড়ে চির অম্লান স্মৃতি লিখতে শুরু করেছিলাম নভেম্বর মাসে। ১ম পর্বঃ Click This Link
২য় পর্বঃ Click This Link ৩য় পর্বঃ Click This Link
৪র্থঃ Click This Link

আলসেমী করে শেষ পর্বটা দেয়া হয় নি। এখন একদম না পেরে দিলাম। কারন আগামী কাল আবার ট্রেকিং এ বেরুচ্ছি থানছির দিকে। শেষ পর্বটা না লিখার মুল কারন ঐ পর্বগুলোর মত বৈচিত্রময় ছিল না। ভয়ঙ্কর জঙ্গল, ভাল্লুক আর বন্য শুকরের ভয় আর প্রচন্ড খাড়া দুর্গম চুড়াটায় উঠতে সক্ষম হওয়া ৩য় গ্রুপ (নেচার ক্লাব একাই ২ বার উঠেছে) হয়ে যাবার পরে বাকিটা রসকস হীন হয়ে যাচ্ছিলো।

৪র্থ পর্বে আমরা খাবার আর পানিতে মুমুর্ষু হয়ে একটা ভ্যালিতে আটকে পরলে আরাম বম আমাদের জন্যে জঙ্গল থেকে মারফা কেটে আনে। পাহাড়ি ফল, শষার মত, একই সাথে খাবার আর পানির প্রয়োজন মেটায়। ক্ষুধার জ্বালায় ছোকলা শুদ্ধ খেয়ে ফেললাম। এর আগে পাইখং পাড়া থেকে রনীন পাড়া যাবার পথে শখ করে বুনো আমলকি কয়েক কেজি হজম করে দেবার ফলে বুনো ফল সম্পর্কে সাহস বেড়ে যায়।

আমরা ভালোয় ভালোয় রনীন পাড়ায় পল বমের (গত মাসে যখন আমি সিরিজটা লিখছিলাম তখন পল বম, তার ভাই গ্রামের কারবারী তথা সর্দার মীনক্ষুপ বম এবং আরেকজন তঞ্চংগ্যা কারবারীকে সন্ত্রাসীরা কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে)। বাড়িতে ফিরে এলাম। সুর্য ডুবে গেছে। গ্রামের লোকজন রাতের খাবারের আয়োজন করছে কিছুক্ষনের মধ্যেই চার্চে ঢুকবে। শ্রান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছিল, ধুলোধুসরীত দেহ। সবাইকে গোসলে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি আর রাহাত ভাই গেলাম আর্মি ক্যাম্পের দিকে। রনীণ পাড়া বললেও মুলত এটা বম পাড়া আর ফিয়াং বিদান পাড়ার মধ্যবর্তী। আগে পাশের পাহাড়ে রনীন পাড়া ছিল। স্ট্র্যাটেজিক্যাল গুরুত্ব পুর্ন স্থান এবং একমাত্র যোগাযোগ ব্যাবস্থা হেলিকপ্টার নামার মত ভ্যালি থাকায় আর্মিরা ওখানে ক্যাম্প করলে তারা এখানে চলে আসে। কিন্তু ভ্যালিতে ঢোকার আগে লম্বা ঘাস বন আর সারি সারি বাঁশের ক্রস লাগানো কবরস্থান পর্যন্ত আসতেই ঘোর অন্ধকার হয়ে গেল। প্রথম দিন এই ঘাস বনেই বিশাল দেহী গয়ালের দেখা হয়। অন্ধকার বেশী হয়ে যাওয়া ঘাস বনে পথ হারানোর ভয়ে আমরা ক্যাম্পে না গিয়ে ফেরত এলাম। এসে দেখি সবাই, গোসল করে চা-খেয়ে ফিটবাবু। আমরা ঝর্নার ঠান্ডা পানিতে হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে গোসল করে নিলাম। ঠান্ডা প্রচন্ড কিন্তু গা জুড়িয়া এল। কোন কাজ না থাকায় সাতটা আটটার মধ্যেই আমরা মারফা মিষ্টি কুমড়া, আরেকধরনের পাহাড়ী আচার আর পাহাড়ী লাল চালের খিচুড়ী (বরবটির একটা বিকল্প পাওয়া যায়, কিন্তু খেতে হেভি শক্ত) দিয়ে মজা করে ডিনার করলাম। কিন্তু ঘুমানো মুশকিল। আমি ঘুমুতে না পেরে বারান্দায় এসে হাসিবকে বললাম, দোস্ত চোখ বন্ধ করলেই দেখছি, তিনহাজার ফিট উপরে জমির আইলের মতো চিকন রাস্তায় আছাড় খেয়ে পড়ছি। সে জানালো তার চোখ বন্ধ না করলেও সেই দৃশ্য ফ্ল্যাস ব্যাক করছে। কানপেতে শুনলাম একই সমস্যায় ইশতি আর রাব্বি ভাইও ঘুমাতে পারছে না। ঐ রাস্তায় পাছা লাগিয়ে স্লিপারের মত করে নামা, বিভতস। একটু পড়েই চার্চ থেকে ঢোলের আওয়াজ থেমে গেল। দূরে বম পাড়ায় শুকর গ্রীল করার আগুনটাও নিভে গেল। চারপাশে শুনশান নিরবতা। আর বন পাহাড়ের নিজস্ব শব্দ জীবন্ত হয়ে উঠলো। পাগল করে দেয়া চাঁদ সিপ্পির চুড়ার কোল থেকে বেড়িয়ে এসে মাথা খারাপ করে দিল।

ছাড়া ছাড়া ভাবে ঘুমিয়েছি।সকালে খুব দ্রুত আমরা রেডি হয়ে গেলাম। ব্যাগ গুছানোই ছিল। দু গাল চিড়া গুড় দিয়ে মেখে ব্রেক ফাস্ট করে নিলাম। বের হবার সময় আরাম দা আমাদের ওদের জুম-উতসবের সিডির একটা কপি দিল আমাদের গিফট হিসাবে। এত ভোড়ে গ্রামের অনেকেই দেখি আমাদের বিদায় জানাতে এসেছে। প্রচন্ড ভালোবাসা দিয়েছিল আমাদের রনীনপাড়ার আশ্চর্য ভালোমানুষ গুলো। আরাম দা, মীনক্ষুপ দা, গাল ভাঙ্গা আরেকজন কাটার (নাম মনে নেই, আমাদের ভাল্লুক আর চিতাবাঘের ভয় দেখিয়ে আধমরা করলেও অনেক সাহায্য করেছিল), গল্প করে খাতির জমানোর জন্যে বাংলা অথবা বম ভাষা না যানা যে গুরত্বহীন সেটা প্রমান করে দেয়া সেই দুজন কাটার। জুম পথের দিকে গোলগাল পরীর মতো মেয়েটা যে, শরীফকে দেখলেই দাত বের করে হাসতো। সবাই বাই জানালো। সবচেয়ে সমস্যা হলো আরাম দায়ের ছেলেটাকে নিয়ে। তার দুবাচ্চা একেতো বাংলা জানেনা, ইশারায় কথা বলতেও আপত্তি। ছেলেটা ভয়ঙ্কর দুষ্টু আমরা তাই ডাকতাম টারজান, আর মেয়েটাকে মিলিয়ে ফারজান। টারজান ভয়ঙ্কর কান্না শুরু করলো, সেও আমাদের সাথে যাবে।

ভালোবাসার বন্ধন ছিড়ে আমরা বম পাড়া হয়ে আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে জানালাম আমরা ফিরে যাচ্ছি। দির্ঘদিন বাঙ্গালী না দেখে থাকতে থাকতে হতাশ লোকগুলো আমাদের সাথে দির্ঘ গল্প শুরু করছিল। আমরা কোনরকমে তাড়া তাড়ি ঘাস বন দিয়ে রওনা হলাম। আজকে গয়ালের দলকে পেলাম না ঘাসের বনে। সমস্যা হলো নামার দিন ওয়েলকাম সিপ্পি থেকে ঢালটা খাড়া ৫০০ফিটের মতো নেমে গেছে। একদম দেয়ালের মতো । নামতে তেমন সমস্যা হয়নি। ওঠার সময় জান বেড়িয়ে যায়। ভ্যালি থেকে উপরে উঠে আমরা যখন হাফাচ্ছি তখন দেখি পাহাড়ি মহিলারা বিশাল সাইজের বোঝা নিয়ে সহজেই উঠে যাচ্ছে। তবে এই জায়গাটা ট্রেন জাংশানের মতো। সবাই এখানে ব্রেক নেয়, একদম খাড়া আরোহনের ফলে। স্কুলের বাচ্চা, ভবঘুরে তরুন, কঠোর পরিশ্রমী মহিলা, সবাই মিলে একসাথে সিগারেট ফোকা হলো (বাচ্চা বাদে) আমরা একই ভাবে আগের পথে জঙ্গলে ঢুকে গেলাম। এখন মুলত নামছি। তাই খুব দ্রুতই এসে গেলাম। লম্বা মালভুমিটায় আসতে আসতে রোদের তেজ বেড়ে গেল। বারোটা নাগাদ ক্লান্ত দেহে আমরা পাইখং পাড়ায় এসে পৌছে গেলাম। আমি আর শরীফ জোড়ে আসার ফলে মুল দল থেকে অনেকটা দুরত্ব হয়েছে। আমরা লালতুয়ার ছেং এর বাড়ি আর খুজে পাই না। রবিবার। সবাই চার্চে, একটা লোককেও পাই না জিজ্ঞেস করার জন্যে। এক লম্বা চুলের কিশোরকে দেখে ডাক দিলাম, ও দাদা। সে এন্সার দেয় না। অনেকবার ডেকেও উত্তর না দিলে ঘারে হাত দিয়ে ডাকলাম। মুখভঙ্গি দেখেই বুঝলাম বাংলা শব্দ কিছু জানে না। তাও জিজ্ঞেস করলাম, এখানে লালতুয়ার ছেং এর বাড়ীটা কই?
হুম লালতুয়ার ছেং।
লালতুয়ার ছেং এর বাড়ী কই?
সে সবজান্তার মত মাথা ঝাকিয়ে বলে লালতুয়ার ছেং লালতুয়ার ছেং।

একে দিয়ে লাভ হবে না বুঝে ঢাল বেয়ে শেষ মাথায় লালতুয়ারের বাড়ী পেলাম। গ্রামে জনপ্রানী কেউ নাই, সবাই গেছে চার্চে। পাহাড়ে চুরি বা অন্যের জিনিস না বলে নেয়াটা কি জিনিস কেউ জানেনা। তাই সবার দরজা জানালা, এমনকি দোকানদারবিহীন দোকান খোলা। আমরা সোজা লাল দার ঘরে ঢুকে দেখি আরেকটা দল আসছে। ওরা অবশ্য এখানেই শেষ। কালকে ফেরত যাবে, আর এগুবে না। ওরা আসছে পাহাড়ী ভেষজ সম্পর্কে জানতে। লাল দা আসতেই নুডলস বসানো হলো, নুডলস, কাজী পেয়ারা, তেতুল, (পাহাড়ি খুব টক খেতে পছন্দ করে) সব দিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম। সময় নাই। সাথে সাথে দৌড়।

পাইখং পাড়া থেকে বেড়িয়ে বাশের জঙ্গলে ঢোকার পর হাসিব আর শরীফের ঝগরা লেগে গেল। শরীফ রেগে গিয়ে বললো, আমি থাকুম না তোদের সাথে। এই খানে কই যাবি? দুচোখ যেদিকে যায় বলে সে দৌড় দিল ট্রেইল ধরে। হাসিব অপমানিত বোধ করায় তাকে পেটাতে পিছে পিছে দৌড়। ওদের সামলাতে আমিও দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে কেওক্লাং পাড়ার সামনের পাহাড়ে যখন আসলাম তখন আমরা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে। ঝগড়া মিটিয়ে আমরা রেস্ট শেষ করে যখন বেরুচ্ছি তখন বাকিটিম আসলো।

রোয়াং ছড়ি-কেওক্লাং পাড়ার ঢালটা খুব কষ্ট ছিল উঠতে। নামতেও কষ্ট হয়েছিল। পাহাড়ের একদম গায়ে, রোদটা প্রচন্ড কাহিল করে দিল।
ঝিরির পথে নুড়ির মালা দলে আমরা রোয়াংছড়িতে পৌছে গেলাম চারটার ১৫মিনিট আগে। প্রচন্ড গরমে শান্ত বেহেস্তি ঝিরির পথ থেকে কেউ বেড়ুতে চাইছিল না। আমি ঘোষনা দিলাম প্রথম তিনজন যারা রোয়াংছড়িতে হাজি সাহেবের দোকানে পৌছাতে পারবে তাদেরকে আমি প্রান ম্যাঙ্গো জুস খাওয়াবো। ব্যাপক আলোড়ন তুললো। ফ্রিজের জুস আমরা জীবনেও খাইনি মনে হলো। সবাই ঠান্ডা জুসের লোভে দৌড়।

চটপট ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে নিলাম। ৫ মিনিটের মধ্যে তড়ীঘড়ি করে খাওয়া। চান্দের গাড়ীর ছাদে। রাব্বি ভাইর আগামী কালকেই অফিস ধরা লাগবে। সবারই কাজ আছে, কত তাড়া তাড়ী ঢাকা পৌছানো যায়। ৬টার মধ্যেই বান্দারবান পৌছালাম। সময় নষ্ট না করে বান্দারবান বাস স্ট্যান্ডে হাজির। রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ির বাস আছে কিন্তু ঢাকা যাবার বাস নেই। চিটাগাং থেকে ভেঙ্গে যেতে চাইলাম। সে উপায়ও নেই। শুনলাম চকোরিয়াতে এক ছাত্র বাসের চাপায় মারা গেলে গেঞ্জাম লাগছে। সব বাস বন্ধ। অনেক খুজে দলনেতা রাহাত ভাই ডলফিনের ৩টা মাত্র টিকেট পেল। ঠিক হলো রাহাত ভাই, রাব্বি ভাই আর ইফতি চলে যাক ঐ গাড়িতে। আমি, হাসিব আর জ্যাজ সিএনজি নিয়া রওনা হলাম কেরানীর হাটের দিকে। কক্সবাজার লাইনের কিছু পেলে চিটাগাং ঢুকতে পারবো।

কেরানীর হাট গিয়ে হয়রান। ধু ধু মরুভুমি। কিচ্ছু নাই। একটা খালি সিএনজি যাচ্ছিলো, চিটাগাং এর দিকে সিএনজি নেবে। আমরা রিকোয়েস্ট করে ওটাতেই উঠে পড়লাম। শাহ-আমানত ব্রিজ পর্যন্ত আসতে আড়াইঘন্টার মতো লাগলো। সিএনজিতে নিয়ে ঢাকা কক্সবাজার হাইওয়েতে এতটা রাস্তা আসলেই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। শাহ-আমানত ব্রিজ থেকে নেমে চলে এলাম অলঙ্কার মোড়ে। এখানে কিছু না কিছু পাবোই।

অলঙ্কারে ঢাকার বাস কাউন্টারে যখন ঢুকলাম, নিজেদের চেহারা নিয়ে কোন ধারনা ছিল না। বাস ওয়ালাকে যখন স্ক্যানিয়ার টিকেটের কথা বললাম সে বললো, ভাই আমাদের টিকেটের দাম তো একটু বেশী, আপনারা কি এতে যাবেন? ব্যাপারটা খটমটে লাগলো, হাসিব বেসিনে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হচ্ছিলো, আমি ফ্রেস হতে গেলাম, আয়নায় দেখি আমার পিছে এক গুন্ডা টাইপ ছেলে। কয়েক সেকেন্ড লাগলো, আসলে এটা আমি নিজেই। স্ক্যানিয়ার কাউন্টারম্যান কেন অবাক হইছে বুঝলাম। রোদে পোড়া চামড়া, এক গাল, দাড়ি, গেঞ্জির জায়গায় জায়গায়, ধুলা, কাদা, নোংড়া, আর বনের কাটায় ছেড়া, হাতের কবজিতে বিছুটি পাতা আর ধারালো বাশের খোচায় কাটা মনে হয় ড্রাগ এডিক্ট। লাল চোখ, সানগ্লাস কপালে, গলায় গামছা বাধা, কেডসের মোজার সাথে নোংড়াতম প্যাণ্ট ইন করা, কোমড়ে সাদা একটা ইলাস্টিকের ফিতা বাধা। দেশের সবচেয়ে সুন্দর নগরী চাঁটগার সভ্যতম স্থানে এই সাজ নিলে যে কাউকে আমি একই ভাবে চিন্তা করতাম।

বাসের দেরি আছে। আমরা ঢুকে গেলাম চিটাগাং এর বিখ্যাত জামান হোটেলে বিরিয়ানী খেতে।

ছবিঃ
সিপ্পির পথে






ঘাসের জঙ্গল, এখানে বিলুপ্তপ্রায় বন্যগয়ালের মুখোমুখি হবার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমি জানতাম এই প্রানীটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।


আমলকির বনে বিরতি, বাম থেকে (একলা) আমি, হাসিব, শরিফ, ইফতি, রাব্বি ভাই। ফটোগ্রাফার রাহাত ভাই।


রনীং পাড়ায় আমাদের আশ্রয়দারা পল বমের কন্যা।


বিদায় বেলায় পল দার ছেলে (ভাষা সমস্যায় নাম জানতে পারি নি, আমরা ডাকতাম টারজান বলে) শুরু করলো কান্না।


অতিপ্রিয় আরাম বম। জুমক্ষেতে আরসুয়াং আরোহনের আগের দিন টিম মিটিং এ।


সিপ্পির ১ নাম্বার পিক আর আরসুয়াং (২নাম্বার এবং সবচেয়ে উচু পিক) এর মাঝের অংশে জমাট মেঘ। ছবিটা দুপুর ১১টার দিকে তোলা। মেঘের স্তর, ঘন জঙ্গলকে সবসময় পিচ্ছিল করে দেয়, আরো দুর্গম কিন্তু রোমাঞ্চকর করে তোলা ক্লাইম্বিংকে।


বনপাহাড়ের নির্জনতায় মাতাল করা চাঁদ।


তঞ্চংগ্যাদের জুমঘর। বন্যশুকর কিংবা ক্ষতিকর প্রানীদের থেকে ক্ষেত রক্ষায় রাতে পাহাড়া দেয় এখান থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৩
১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×