Subrata Ghosh দাদা জিজ্ঞাসা করলেন
- A Walk in the Clouds সিনেমাটা দেখছো?
আমি বল্লাম, নাহ দাদা দেখি নাই।
সুব্রত দা কিছুক্ষণ অবাক হয়ে আমার দিকে তাকায়ে রইলেন। ততোধিক অবাক হয়ে বল্লেন
- করছো কী তুমি! এ্ই সিনেমা যে দেখে নাই, তার তো জীবনের ৯০% বৃথা।
তিনি ডিভিডিটা অর্ডার দিলেন। কিন্তু মানিব্যাগে সম্ভবত টাকা তেমন একটা নাই। তিনি মানিব্যাগের চিপা চাপায় দেখা শুরু করলেন। টাকা অবশ্য না থাকাটাই স্বাভাবিক। তিনি আমাকে নিয়ে এসেছিলেন আইডিবিতে কম্পিউটার কিনতে। আমি একে একে ইউপিএস, স্পিকার, প্রিন্টার ইত্যাদি যোগ করে করে বাজেট দ্বিগুন করে ফেলেছি। বল্লাম
- দাদা বাদ দেন, পরে নিবো নে।
দাদা তার মানিব্যাগ থেকে ভাংতি সমস্ত টাকা গুনে গুনে দেখলেন ১৫০ টাকা হয়। এই দিয়ে ডিভিডিটা কিনলেন। আমার হাতে ডিভিডিটা দিয়ে বল্লেন
- পকেট খালি করে তোমারে এই ডিভিডিটা কিনে দিলাম। এতে তুমি নিশ্চয়ই বুঝবা তোমারে আমি কত পছন্দ করি। আমারও সারা জীবন মনে থাকবো, তোমারে কত পছন্দ করি।
বল্লাম, দাদা বাসায় যাবেন কিভাবে? আমার কাছ থেকে টাকা নেন।
দাদা হাসলেন। বল্লেন, বাসায় বেবি (তখন সিএনজি ছিলো না) করে চলে যাবো। তোমার বৌদিকে বলবো উপর থেকে টাকা ফেলতে, ব্যাস।
আমি বল্লাম, দাদা ধার নেন! পরে আমি এই টাকা নিয়া আসবো আপনার অফিসে গিয়ে।
দাদা আহামরি টাইপ সুদর্শণ, সুপুরুষ। সুন্দর করে একটা হাসি দিলেন। যে হাসির অর্থ হলো, এবার থামো।
দাদা এখন লন্ডনে। পরিবার সহ চলে গেলেন বহু বছর আগে। মাঝে একবার এসেছিলেন। দেখাও হলো, কিন্তু তেমন কথা হলো না। আবেগী কিছু বিষয় থাকে, যা মানুষ সবার সামনে বলতে বিব্রত বোধ করে। অথবা এমন কিছু আবেগ থাকে, যা মানুষের ব্যাস্ততায় চাপা পড়ে যায়। তাই বলে আবেগগুলা মিথ্যা হয়ে যায় না। এইগুলা থাকে স্মৃতিতে, এইগুলা থাকে ভালোবাসায়।
লাভ ইউ সুব্রত দা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:০১