somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাখে আল্লাহ মারে কে !!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ। জানা যায় ইরানের মাজদারানের উত্তর প্রদেশের ছোট শহর রোয়ানে সাত বছর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলাল নামে এক লোক ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন ১৮ বছর বয়সী আবদুল্লাহ হুসেইন জাদেহকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু আবদুল্লাহর হয় ।

ইরানের ধর্মীয় আইন অনুযায়ী ফাঁসির রায় হয় হত্যাকারী বেলালের। যথা সময়ে চোখ বেঁধে আসামি বেলালকে দাঁড় করানো হলো ফাঁসির বেদিতে, ফাঁসির দড়িও পরানো হলো গলায়, আসামি বেলাল ভেবেছিলেন তিনি হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন। কিন্তু তার আগেই ঘটল এক বিস্ময়কর ঘটনা।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিহত আবদুল্লাহর পরিবারকেও অংশ নিতে হয় ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায়। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্যকে আসামির পায়ের নিচের চেয়ারকে সরিয়ে দেয়ার নিয়ম । নিহত আবদুল্লাহর মা এগিয়ে এসে আসামী পায়ের চেয়ার না সরিয়ে বেলালকে এক চড় মেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। নিহতের বাবা এগিয়ে গিয়ে বেলালের চোখের বাঁধন মুক্ত করে দিলেন।

সন্তান হারা এক মা এভাবেই তার সন্তানের খুনির জীবন বাঁচালেন। ইরানে ফাঁসির রায় কার্যকর করার সময় সম্প্রতি এমনই এক ‘বিরল’ ঘটনা ঘটে।

যেখানে মৃত্যুই ছিল বেলালের একমাত্র পরিণতি সেখানে প্রাণ ফিরে পেল সে। আবেগে ভেসে গেল উপস্থিত জনতা।

সন্তানের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়ে যখন আবদু্ল্লাহর মা ফাঁসির বেদি থেকে নেমে আসলেন, তখন বেলালের মা এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন। দুজনই ডুকরে কেঁদে ফেলেন। দুই মা-ই কেঁদে যাচ্ছেন। একজন কাঁদছেন তার সন্তানকে হারানো শোকে আর অপরজন তার সন্তানের প্রাণ ফিরে পাওয়ার সুখে।

আবদুল্লাহর মা বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহর আগে আরেক সন্তান আমির হুসাইনকেও হারিয়েছি। মাত্র ১১ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় সে নিহত হয়।’

আবদুল্লাহর বাবা হুসেইন জাদেহ বলেন, ‘একটি স্বপ্নই আমার স্ত্রীকে এই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’

তিনি বলেন, ‘তিনদিন আগে আমার স্ত্রী বড় সন্তান আবদুল্লাহকে স্বপ্নে দেখে। আবদুল্লাহ তাকে বলছে, মা, আমরা খুব সুখে আছি, তুমি (বেলালের ওপর) প্রতিশোধ নিও না। ফলে আমাদের মন পরিবর্তন হয় এবং আমরা বেলালকে ক্ষমা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
আমার দেশ পত্রিকা
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×