ভারত বধের জন্য দরকার ২ রান। হাতে বোল আছে ৩টি। উইকেটও আছে ৩টি। সোজা হিসেব ছিলো এই ম্যাচ আমাদের। জিত আমাদেরই। ম্যাচের পরিসংখ্যানও বলছে তাই। পুরো বিশ্ব নিশ্চিত ছিলো ভারতের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।
কিন্তু পরক্ষণে কি দেখলাম? যে ম্যাচ শেষে জয়োল্লাস করার কথা ছিলো আমাদের। সে ম্যাচ শেষে ভারত হাসছে, উল্লাসে মাতছে! পুরো বিশ্বই যেন কিছুক্ষণের জন্য থমকে গিয়েছিলো। আর বাঙালি? চিরকালই আবেগ প্রবণ বাঙালি শোকে স্তব্ধ। কি হলো?
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না এখনও। আমার মাথায় আসছে না ব্যাপারটা কি ঘটলো! মুশফিক রহিমকে বরাবরই আমি একজন দায়িত্বশীল খেলোয়াড় হিসেবেই জানি। দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। শেষ মুহূর্তে তিনি ছিলেন ক্রিজে। তাই নিশ্চিত ছিলাম আমরা, দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন রহিম।
কিন্তু তিনি তা না করে ১৬ কোটি বাঙালির স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন! কি দরকার ছিলো তার ওভার বাউণ্ডারি হাঁকানোর? যেহেতু রান দরকার ২। বোলও আছে ৩টি। তাহলে তার কি ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর খুব বেশি দরকার ছিলো?
বেশ মেনে নিলাম রহিম ভুল করেছে। ভুল হতেই পারে। তাই বলে একই ভুল মাহমুদুল্লা রিয়াদও করবেন! রিয়াদ যখন ক্রিজে। তখন রান ওই ২-ই দরকার। বোল ছিল তখন ২টি। ছোট্ট করে টুকে দিয়ে অনায়াসে ২টি রান দুই বলে তুলে নিতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেই রিয়াদও রহিমের মতো হাঁকাতে চাইলেন বাউন্ডারি! আদৌ কি তার কোন দরকার ছিলো।
এরপর মুস্তাফিজ। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যেহেতু স্বেচ্ছায় আত্মাহুতি দিয়েছে, সেহেতু মুস্তাফিজুর এর থেকে ভালো কিছু করবে আশা করাটা ঠিক হয়নি। কেন না, সে ব্যাটসম্যান না। আবার এমন পরিস্থিতির সাথে সে আগে পরিচিত ছিলোও না। তাই ম্যাচের ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো। কিন্তু এমন হওয়ার কি কথা ছিলো?
টাইগাররা ভালো খেলেছে। আবারও ভালো খেলবে। এমন কিছু একটা বলে হয় তো নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারি। খেলোয়াড়দেরও সান্ত্বনা দিতে পারি। কিন্তু একই ভুল পরপর! এটা কি করে মেনে নিই? ভারতের সাথে সহজ জেতা ম্যাচ হারের কষ্টটা বাঙালিকে অনেকদিন পোড়াবে। তবে আমার মনে হয়, ১৬ কোটি বাঙালির স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেয়ার অপরাধে রহিম ও মাহমুদুল্লাকে শাস্তি দেয়া উচিৎ। তা না হলে এমন ভুল তারা আবারও করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫