কোন কষ্ট না থাকাটা বড় কষ্টের কারণ।কষ্টহীন মানুষের কষ্টের তীব্রতা ভয়াবহ।যারা একথা শুনে এর মধ্যে হেসে উঠেছেন কিংবা ভ্রু কুঞ্চিত করেছেন কিংবা বিরক্ত বোধ করছেন আমার লেখা তাদের জন্য উৎসর্গীকৃত।
অর্থ নয় কীর্তি নয় স্বচ্ছলতা নয়
আরও এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের মাঝে খেলা করে........
লাইন গুলো আমার খুব প্রিয় একটি কবিতা জীবনানন্দ দাশের আট বছর আগের একদিন কবিতার লাইন।প্রথম যখন পড়ি তখন এর অন্তর্নিহিত অর্থ কিছুই আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়ে অনুধাবন করা সম্ভব হয়নি।অবাক হয়ে ভেবেছি কী এই বিপন্ন বিস্ময়?আবার পড়ি পুরো কবিতা।বারবার পড়ি।যতই পড়তে থাকি ততই এই কবিটা আমার কাছে নতুন অর্থ লাভ করতে থাকে।এই এক কবিতা আমি আজও সুযোগ পেলে পড়ি এবং তা কখনও পুরাতন হয় না।অদ্ভুত সব রূপ নিয়ে সে নতুন করে হাজির হয় আমার সামনে কিন্তু আজও আমি বুঝিনি কবি বিপন্ন বিস্ময় বলতে ঠিক কী বুঝাতে চেয়েছেন।
বুঝি আর নাই বা বুঝি এই বিপন্ন বিস্ময় নামক জিনিসটি আমার মনোজগতকে আলোড়িত করে গেছে সব সময়।কী সেই চরম প্রাপ্তির পরম পুলক যার সন্ধানে একগাছা দড়ি হাতে অশ্বথের দিকে ছুটে গিয়েছিল সেই যুবক যার জীবনে কোন পার্থিব অপুর্ণতা নেই,জানি না, বুঝিনি কভু।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমার মাঝে বোধ জাগে সে যুবকের স্বত্তাকে আমিও তো ধারণ করি নিজের মাঝে। তাই তো অপুর্নতাহীন এ জীবন খোজ করে অপুর্নতার।আর তাই তো আমি হয়েছি দু্ঃখবিলাসী।
বিপন্ন বিস্ময় আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় আমার সব প্রাপ্তির মধ্যে।কোন এক
জোছনা ভেজা বিষন্ন রূপালি পূর্নিমার কোন এক একাকী মূহুর্তে আমি নিজেকে খুজে পাই সে কবিতার যুবকের মধ্যে।আর আমার অপ্রাপ্তি ঐ বিপন্ন বিস্ময় আমাকে তাড়া করে বেড়ায় সন্যাসব্রতের আহবান নিয়ে এই জীবন সংসারের নিরর্থকতাকে সদম্ভে ঘোষনা করে।আমার মন হারিয়ে যেতে চায় নিরর্থক জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে।
আর এ সময় আমার দুঃখবিলাসী মন বিলাসদুঃখগুলিকে হাজির করে আমাকে জানান দেয় জীবনের গূঢ় অর্থের।সে বিপন্ন বিস্ময়কে দুরে সরিয়ে দেয় সে সময়ের জন্য অনেক সময়ের জন্য।তাই তো আমি দুঃখবিলাসী। আমার দুঃখগুলো তাই আমার বন্ধু।আর আমার দুঃখবিলাসী মন তাই খুব সহজেই মানুষের কষ্টকে নিজের করে নিতে চায় আর নিজের কষ্টকে ছড়িয়ে দিতে চায় আমার মত কোন বিলাসদুঃখীর তরে।
......(আপনাদের ভালো লাগলে এই লেখাকে বর্ধিত করব।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




