পিতা- মোঃ আব্দুল হালিম' সাত সন্তানের জনক তিনি ।
পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের পিতা মোঃ আব্দুল হালিম।
একদিন হটাত করে আব্দুল হালিমের স্ত্রী ইন্তেকাল করেন ।
ছেলে মেয়েরা মোটামুটি সবাই বড় ছিল যখন তাদের 'মা' ইন্তেকাল করে।
কিছুদিন যাওয়ার পর মোঃ আব্দুল হালিম আবার বিবাহ করেন।
সেখানে মোঃ আব্দুল হালিম আবার পাঁচ সন্তানের জনক হন ।
মোটামুটি ভালোই যাচ্ছে তাদের দিনকাল সব কিছু মিলিয়ে ।
একদিন আব্দুল হালিমের প্রথম ঘরের চার নাম্বার পুত্র উনার কাছে আসেন।
বাবাকে অনেক কিছু বুঝিয়ে শুনিয়ে বলেন, কিন্তু পিতা অসুস্থতার কারনে
সব কিছু বুঝে উঠতে পারতেন না, ছেলে যা বল্য পিতা হু হু করে করলো।
ছেলে পিতাকে ফাঁকিয়ে দিয়ে সম্পদের অর্ধেকের বেশি নিজের নামে লিখে নেয় ।
পরে ধীরে ধীরে সবাই সব কিছু জানতে পারে।
ধরা খাওয়ার পরে সে বলে বাবা আমাকে বলেছে ছোট ভাই বোনদের দেখতে।
আমি তাদের দেখা শুনা করবো তাই বাবা আমাকে সম্পদ লিখে দিয়েছেন
যতদিন পিতা জীবিত ছিল ততদিন খোঁজ খবর নিতো, টাকা পয়সা দিতো ।
পিতা মরে যাওয়ার পর আর কোন খোঁজ খবর নিতো না ।
এর পরে....
আব্দুল হালিমের ছেলে (মোঃ শফি উল্লাহ্) কোটিপতি হয়ে গেছে ।
নিজের সন্তানদের নিয়ে এখন চিন্তা ভাবনা করেন। মোঃ শফি উল্লাহ্
যেই সন্তানদের জন্য পিতাকে ফাঁকি দিয়েছে একদিন সেই সন্তাদের জন্য
শফি উল্লাহ্ নিজের জায়গা জমি সব কিছু বিক্রি করে দেয় ।
একমাত্র বাড়ি ছাড়া আর কিছুই ছিল না, কিছুদিন পরে আবার টাকা পয়সা
আয় করে উপরের দিকে উঠতে লাগলো, আবারো সন্তানের কারনে শফি উল্লাহ্
কে পথে বসতে হচ্ছে, সামনে কি হবে সেটা একমাত্র আল্লাহ্ জানে ।
মূল কথা কাউকে ধোঁকা দিয়ে নিজেকে চালাক ভাবার কোন কারন নেই ।
আর যদি আপনি সেই ধোঁকা নিজের জন্মদাতা পিতা মাতাকে দিয়ে থাকেন,
তাহলে একবার ভেবে দেখবেন হয়তো আপনার অবস্থাও শফি উল্লার মত হয়ে
যেতে পারে,কাউকে ঠকিয়ে নিজেকে বড় মনে করবেন না,উপরে আরেকজন আছেন।
আর কখনো অন্যের হোক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন না,
একদিন আপনাকে এর মাশুল দিতে হবে, হতে পারে সেটা মৃত্যুর আগে বা পরে ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪