সমস্ত উপদেশ, সতর্কবানী, এমনকি হুমকিও অগ্রাহ্য করে আজ ইরাকের স্বায়ত্বশাসিত কুর্দী অঞ্চলে গনভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।। যা প্রত্যাশিত ভাবেই “হ্যাঁ” হিসাবে তাদের স্বাধীনতার ঘোষনা হয়েই আসবে।। যা একই সাথে ইরাক, ইরান, এবং তুরস্কের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।। কারন গনভোট ইরাকী কুর্দীদের হলেও এই কুর্দীরা বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় সংযুক্ত ইরান ও তুরস্কের সীমানায় বসবাস করছে।। যা স্বভাবতই তাদেরকেও টেনে নিয়ে আসবে।। ফলে কুর্দী নেতা মাসুদ বারজানীকে এই তিনটি দেশের প্রতরোধ ছাড়াও জাতিসংঘ এবং আমেরিকারও সতর্কবানীর সম্মুখিন হতে হচ্ছে।।
বিশেষ করে উল্লেখিত তিনটি দেশ কোনভাবেই এই অঙ্গহানী মেনে নেবে না।। আর এটা এমন এক সময়ে যখন মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চলগুলি ভাঙ্গা-গড়া সহ প্রচুর রক্তপাতের শিকার।।ফলে পুরো পরিস্থিতিটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে।।সুদান,সিরিয়া,ইয়েমেন,লিবিয়া,ইরাকসহ দেশগুলি বৃহৎ শক্তির “রিডিভিশনল” খেলায় জড়িত হয়ে দিয়েছে অনেক মূল্য।। কখনো ধর্মের নামে কখনো স্বাধীনতার নামে, কখনো বা স্বৈরাচার উৎখাতের নামে ঝড়েছে লক্ষ লক্ষ প্রান।। পঙ্গুত্ব বরন করেছে এরও বেশী।। আর আশ্রয়হীন হতে হয়েছে প্রতিটা দেশেরই প্রায় এক তৃতীয়াংশকে।।এ যেন এক উন্মাদ প্রতিযোগীতা!!
“বসন্তবিলাশ” আজ উন্মোচিত।। উন্মোচিত সুপার পাওয়ার গুলির খেলাও।। সাথে মোড়ল দেশটির ভূমিকাও।।এসব দিক বিচার করলে বোধহয় বলা যায়, কায়েদা ভ্যানিস।। আইএস মরনশষ্যায়।।খেলা শেষ হবে কেন? অনেক মাঠের ওগুলো অংশমাত্র।।তাহলে এখন কি করা যায়। আমি চাট্টিবাট্টি গোল করে ফিরে যাবার জন্যতো আসি নি!! অসম্ভব একটি ভাবনা!! তুমি একটা বিরাট পরিকল্পনার অংশ।।সেখানে আমি উপস্থিত থাকবো না কেমন করে!! তবে এই থাকাটাকেও একটা স্বচ্ছ আবরন দিতে হবে যে।। প্লানমাফিক কাজ করে যাও বাকীটা আমিই করবো!! বিশ্বকেও তো দেখাতে হবে আমার উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা!! কি নিদারুন ভদ্রতা!!!! জলে নামবো তবু বেনী ভিজাবো না।।
ইরান এবং তুরস্ক ইতিমধ্যেই তাদের স্ব স্ব সীমানায় সামরিক মহড়া দিতে শুরু করেছে।।বিপাক দেখে সব শত্রুতা ভুলে সৌদী আরব এবং ওআইসি ও রেফারেন্ডামের বিপক্ষে মত দিয়েছে।। আর এতো কিছু উপেক্ষা করেই কুর্দীনেতা মাসুদ বারজানী বলেছেন, এটা আমাদের শহীদদের পুরষ্কার।। এবৎ এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবো।।ঈঙ্গিত আইএসের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমানে কুর্দীযোদ্ধাদের অংশ গ্রহন এবং আত্মত্যাগ।। জবাবে ইরাকী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেছেন, এটা অসাংবিধানিক এবং আঞ্চলিক ও ইরাকের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকী স্বরূপ।। প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।।এতসব হুমকীর পরও রয়ে গেছে খোদ কুর্দীস্তানের প্রস্তাবিত রাজধানী কিরকুক নিয়ে বিরাট সমস্যা।। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ কুর্দী, আরব ও তুর্কমেনরা।।সুতরা বলাই বাহুল্য যে আরেকটি এথনিক ক্লিন্জিং!! এবং গোত্রগত সংঘাত আর গৃহহীন, মৃত্যু পঙ্গুত্ব সথে রিফিঊজি !!
ইরাকী কুর্দীরা (সামগ্রীক ভাবে বলা যায় কুর্দীরা) যেকোন দেশেই অবহেলিত।। অত্যাচারীত।। বিশেষ করে ইরাকে।। সাদ্দাম থেকে আইএস।।তাও সাদ্দামের পতনের পর শুধুমাত্র ইরাকী কুর্দীরাই একটু সন্মানজনক স্বায়ত্বশাসনের মর্যাদা লাভ করেছে।।এটাকেই বৃহত্তর পরিস্থিতিতে নেয়া সম্ভব শুধু মা্ত্র আলোচনা এবং মতৈক্যের মাধ্যমে।। তা না হলে সংঘাত আসন্ন এবং ফলাফল আন্তর্জাতিক শক্তির নামে সুপার পাওয়ারের হস্তক্ষেপ এবং স্থায়ী অবস্থান।। একটু খেয়াল করবেন “ভৌগলিক অবস্থান”!!
এযে কোন স্বাধীনতাকামী লোকের মত আমিও সুযোগের সন্ধানে থাকবো এটাই স্বাভাবিক।। এবং রণনীতির অংশও এটা।। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্য এবং এর কাছের অংশগুলির পরিস্থিতি ভিন্ন।। এখানে জাতির চেয়ে গোত্র বড়।। ফলাফল আবারও সেই আন্তর্জাতিক বাহিনীর অবস্থান।। এবং এটাও হবে মানবতা রক্ষার নামেই!!