হিজাবের ব্যবহার আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।মেয়েগুলা কত্ত ভালো হয়ে গিয়েছে।যারা আগে হিজাবের কথা বললে অগ্নিচোক্ষে তাকিয়ে থাকত এখন তাদের হিজাব ছাড়া চলেই না।আমি এটাই জানতাম।যাই হোক,
তো বাসে যাচ্ছিলাম ভলান্টিয়ারিং এ ধানমন্ডি।তালতলা থেকে এক যুগল বফ গফ উঠে আমার সামনের সিটে বসেছে।বেচারা বফের সাথে তার গফের মে বি অনেক দিন পর দেখা হইছে।বফ তার গফের মাথায় হিজাব দেখে উৎসুক হয়ে প্রশ্ন করল,
বফঃআরে তুমি হিজাব পড়া শুরু করলা কবে থেকে??
গফঃএই তো দুই তিন মাস হল।কেন খারাপ লাগছে?
বফঃনা,মোটেও না (জানি কথা টা ডাহা মিথ্যা)।কিন্তু হঠাৎ?নামায রোজা শুরু করলা নাকি?আগের মিটেও তো চুল খোলা দিয়া আসছ।টাকু হয় গেলা নাকি??
গফঃ(রেগে গিয়ে) কি?এই দেখ।(বলে হিজাবের ফাক থেকে খুব সম্ভবত তার কুন্তল বের করে বফ কে দেখিয়েছিল।)
বফঃসরি,তো বলো না কেন পড়েছ??বাসা থেকে পড়তে বলেছে??
গফঃআরে না।নিজেই গিয়ে কিনেছি।আম্মু তো অবাক।
বফঃআচ্ছা।তো??পড়ার কারন?
গফঃআরে তুমি বোকা নাকি বুঝ না?এখন শীত কাল না?রাস্তায় কত ধুলাবালি উড়ে।ঐগুলা চুলে লাগলে তো চুলের শাইন নষ্ট হয়ে যায়।আর পরশু বললাম না তোমাকে,আমি পার্লারে গেছি।সেদিনি তো চুল স্ট্রেইট *****(বাল ছাল কি জানি কয়েক পদের নাম কইল মাথায় ঢুকে নাই) ********* করায়া আনছি।সে জন্য বাহিরে হিজাব পড়ি।চুল ভালো থাকে।
আমি শুনে কিছুক্ষন সাকা চৌধুরি হয়ে ছিলাম।আই মিন চো**।আর এটাই মুলত হিজাব পড়ার কারন।ইসলাম রক্ষার জন্য নয় হিজাব পড়ে চুলের প্রটেকশনের জন্য,ত্বকের প্রটেকশনের জন্য।এই তো দুই দিন আগে কিছু নায়িকা বাণিজ্যমেলায় হিজাব পড়ে গিয়েছে যাতে কেউ তাদের চিনতে না পারে সে জন্য।হিজাব পর্যন্তই সই ।সে পর্যন্তই ঢাকা থাকে বাকিটা ওয়েসস্টার্ন কান্ট্রির ন্যায় উন্মুক্ত।তারা হিজাব পড়েই খারাপ কাজ করে বেরায় আর দোষ গিয়ে পড়ে যারা ইসলামিক দৃষ্টিতে হিজাবের মান রক্ষা করে পরিধান করে তাদের উপর।হেনস্তা হতে হয় তাদের।সাথে মান ইজ্জত যায় হিজাবের।পবিত্রতা রক্ষার জন্য হিজাবের সৃষ্টি হলেও এখন উপর্যুক্ত মেয়েদের জন্য হিজাব তার পবিত্রতা হারাচ্ছে,সাথে স্বকীয়তাও।ভদ্র মেয়েরা হচ্ছে বলির পাঠা আর যারা হিজাব পূঁজি করে খাচ্ছে তারা হিজাবের দোহাই দিয়ে পরাগ পার করছে।
কিছু করার নাই,এর জন্যে হবে না কোনো জাগরন মঞ্চ হবে না আন্দোলন।শুধু আড় চোখে তাকালে বলবে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গী খারাপ।
যাক ভাই চুপ করেই যাই।