তুমি শুধু লালসালু নও
মহাগ্রন্থের শ্রেষ্ঠ কিছু মন্ত্রখচিত শতরঞ্জি দিয়ে ঢাকা
কংক্রিট অথবা মাটির ঢিবি ছাড় আর কি ।
তুমি ধারণ করে আছো -মনুষ্যকুলের শ্রেষ্ঠ,
শাহান শাহ, শাহ সুফি, হযরত, কামেল,
দরবেশ, মওলানা, অলি, রুহহানী জগতের তাজ-
অমরত্ব পাওয়া ও অসমান্য শক্তিধর এক মানুষকে।
যে কিনা জীবদ্দশায় ঐশ্বরিক ক্ষমতায়-
যুগিয়েছিল বহু ভক্ত, আশেক -আশেকান,
সাকের - সাকেরান, জাকের - জাকেরান,
যে ছিল রাণী মৌমাছি.....
আর তাকে ঘিরে গুণ গুণ করত প্রেমাষক্ত ভক্তবৃন্দ।
আজ আপনি চোখ বুজেছেন মাত্র-
তুবুও আপনি জীবন্ত : সব দেখছেন ওপার থেকে;
তাইতো আপনার মাজার এখন রওশনী আলোয় জ্বলে আছে-
আর সে আলোতে আপনী পাচ্ছেন সবকিছু দেখতে।
জীবদ্দশায় আপনি অর্জন করেছিলেন
“ক্ষমা” করে দেয়ার এক ঐশ্বরিক ক্ষমতা;
তা আমরা ভক্তবৃন্দ দেখেছি:
আপনার রওশনী বাড়ীতে আল্লার ঘর মসজিদ তৈরীতে-
পাশের বাড়ীর বিধবা রহিমুন্নেছার ভিটাটুকু
মিম্বর তৈরীতে বাধা হল-
তখন আপনি গয়ের জোরে নয় অলৌকিক ক্ষমতায়
তাকে ভিটে ছাড়া করলেন-
আর তাকে ক্ষমাও করে দিলেন,
সাথে বেস্ত নেওয়ার সনদ দিলেন উপহার হিসেবে।
এ তোমার ক্ষমার কী অপূর্ব নজীর !
আর এখন তুমি ক্ষমা করে চলেছ
যত পাপী-তাপী, ছোট-বড়, উচু-নীচুকে,
জ্ঞানী, মূর্খ, ধূর্ত, বোকা, সকলকে ।
অকাতরে তোমার ক্ষমার উদারতা দেখিয়েই যাচ্ছ-
সুদখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, মদ্যপ, খুনিকে,
দেশদ্রোহী, নর-নারী, বারবনীতা ধর্ষককে,
সকলকে ক্ষমার অমৃত সুধা পান করাচ্ছ বিনামূল্যে-
পিতার মত এখনও পথ নির্দেশ করে যাচ্ছ
ওপার থেকে
কামেল পীরের মাজার হয়েছে তোমার রওজা,
তাই এখন তুমি সকলে পিতা-
“কেউ ফেরে না খালি হাতে
খাজা বাবার দরবারে”- এ বলে আমরা ভক্তবৃন্দ
স্তব গাইছি আপনার জন্য ।
তুমি শুধু লালসালুতে আবৃত মাটির ঢিবি নও,
তোমাতে আবৃত আছে, মানুষের ধর্ম, বিশ্বাস, মানবতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য
আর তুমি কালের স্বাক্ষী হয়ে স্তব্ধ হয়ে আছ-
লালসালু কিংবা মন্ত্রখচিত শতরঞ্জিতে..........
২৩/০৩/২০১৮- সকাল বেলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮