somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক্তধর্ম বিভেদ এবং মনমানুষের গল্প

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার বিকেলে। দুপুরের খাবার খেতে বসব এমন সময় আমাদের একটি সংঘ থেকে কল আসল। আমি রক্ত দিতে পারব কি না জনতে চাইলে বললাম অবশ্যই পারব। আমি বললাম, যারা রক্তের সন্ধান করছে তাদেরকে আমার নাম্বারটা দিয়ে দিন। আমি ১০-১৫ মিনিট পর রওয়ানা দিতে পারব। তারপর খেতে বসলাম। খাবারের মধ্যেই কল এল, একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে।

হ্যালো..... আপনি কি সিপন
জি , আমি সিপন।
রেড ক্রিসেন্টে আসবেন? আপনার নাম্বার ... দিয়েছেন। আপনি কি রক্ত দিতে পারবেন।
জি... ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে আমি রেড ক্রিসেন্টে এসে আপনাকে কল দেব।

দ্রুত খাওয়া দাওয়া শেষ করে রওয়ানা দিলাম। আমার বাসা থেকে খুব বেশী দূরে নয়। তবুও রিক্সা নিলাম। জিন্দাবাজার হয়ে রেড ক্রিসেন্টের সামনে গেলাম। শুক্রবারের শহর, অনেক শান্ত। কোথাও ধূলোর আস্তরন নেই, নেই মাথাল গাড়ির ছুটোছুটি। এমন শান্ত শহরে পায়ে হাটতেই আমার প্রছন্দ। কোন মায়াবীনী থাকলে তাকে নিয়ে নিশ্চয় হাটতে বেরিতাম। এরকম ভাবনা নিয়ে রেড ক্রিসেন্টে প্রবেশ করলাম। উনাকে কল দিলাম। রিং বেজে উঠার শব্দে উনাকে চিনতে পারলাম। দয়া করে উনি আর কল ধরলেন না। কল কেটে দিয়ে আমার সামনে আসলেন। আমি আমার পরিচয় দিলাম। উনিও উনার নাম বললেন। হাত মিলানোর পর উনাকে বললাম, চলুন ভেতরে যাই রক্ত দিয়ে আসি। উনার সাথে আরো একজন বয়স্ক লোককে দেখলাম। উনি পেছনে ছিলেন তাই প্রথমে বুঝতে পারি নি উনিও একসাথে। পেছনের অপরিচিত ব্যক্তিটি এবার বলে উঠলেন, আপনার নাম কি?
আমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললা, আমার নাম তো আপনাদের জানা থাকার কথা।
উনি এবার বললেন, আপনার পুরো নাম বলেন, আমি এবার কিছুটা দ্বিধায় পড়লাম। এক মুহুর্তের ভেতর অনেক কিছু মাথার ভেতর উকি দিয়ে উঠল। উনারা আমার ডাক নাম জানেন। আমার ডাক নাম হচ্ছে সিপন। এটা কোন ধর্মের মানুষের নাম তা সহজে বিচার করা যায় না। আমার মুখে চাপ দাড়ি। আজকাল এটা সবাই রাখে। আমি বুঝলাম যে, উনার প্রশ্ন করার উদ্দেশ্যে হচ্ছে , আমি কোন ধর্মের মানুষ সেটা উনি জানতে চাচ্ছেন।

আমি এবার আরো একটু নরম সুরে বললাম, চাচা আমি একজন মুসলমান! উনি বেশ অসন্তুস হলেন সেটা উনার চেহারা দেখে বুঝাই গেল।আমি তাদের দুইজনের চোখের দিকে খানিকটা দৃষ্টি বিনিময় করে এবার একটু মিষ্টি হেসেই বললাম, দেখেছেন আধুনিক বিজ্ঞানের কি অপার কল্যাণ?
উনারা বললেন, কি?
আমি এবার বললাম, এই বিজ্ঞান কিভাবে হিন্দু মুসলমানের রক্ত পরষ্পর ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রযুক্তি আবিষ্কার করল দেখছেন! পৃথিবীর একপ্রান্তে ইহুদিরা মুসলমান মারছে। আরেক প্রান্তে একজন মুসলাম রক্ত দিয়ে আরেকজন সনাতন ধর্মী মানুষের জীবন রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। এই দৃশ্য দেখতে পাবার কি আনন্দ তা কিভাবে বুঝাব? মহান স্রষ্টা কিছু একটা বার্তা দিচ্ছেন যা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাকে রক্ত দিতে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

তারা এবার বেশ অবাক হলেন। রক্ত দিতে এসে রক্তদাতা বলছে, এই রক্তদানে সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এটা তারা আশা করেন নি। আজকাল অপ্রত্যাশিত ঘটনা যখন আমাদের আশ পাশে ঘটে তখন আমরা অবাক হই না। কিন্তু তারা অবাক হলেন, তাদের এই মুখদৃশ্য আমার বেশ ভালো লাগল।

এবার কিছুটা আক্রমনাত্নক সুরেই বললাম, মহান স্রষ্টা নিশ্চয় এতটা সংকির্ণ নন যে , আমার রক্ত উনার সৃষ্টির ধর্ম নষ্ট করে দিবে। আপনারা নিশ্চিন্তেই আমার কাছ থেকে রক্ত নিতে পারেন।

উনারা এবার বললেন, চলুন ভেতরে যাই। আমি উনাদের সাথে গেলাম। রক্তদাতার ফরম নিজ হাতেই পূরণ করে জমা দিয়ে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। এরই মাঝে উনারা একজন আরেকজনকে কিছু কথা বলছেন যা আমার কানে পর্যন্ত আসছিল। আসলে বৃদ্ধ মানুষটি বেশ কিছুটা কুসংস্কারে আছন্ন। উনার ধারনা হয়ত একজন মুসলামের রক্ত উনার স্ত্রীর ধর্ম নষ্ট করে ফেলতে পারে। কিংবা উনার স্ত্রী হয়ত কট্টর সনাতন ধর্মালম্বী। সুস্থ হয়ে যদি জানেন, একজন মুসলামের রক্তে উনি বেচে আছেন তাহলে হয়ত পারিবারিক অশান্তি আসবে। উনাদের কথাবার্তায় আমি আর নাক গলানো শোভন মনে করলাম না। যুবক মানুষটি বৃদ্ধ মানুষটিকে বারবার চুপ করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। তারা হয়ত পিতা পুত্র। কি আসে যায় তাতে? আমি এবার এসব থেকে মনোযোগ তুলে নিলাম। এগুলো আমার কাছে মনে হল, অপ্রাসঙ্গিক ...।

আমি এবার আমার কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চাইলাম। চেয়ারে বসে খানিকটা চোখ বন্ধ করে দূরে এক অজানা দ্বিপ মনের পর্দায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলাম। মায়াবীনীকে এই দ্বীপে খুজে বের করতে হবে। যার চোখ দুটি টানাটানা। ব্রুযোগলে মিলনে তৃপ্তির রেখা। হাসিমুখে প্রশান্তির ছায়া। কিছুটা আবছা ছায়া মনে এসে ধরা দিল। এমন সময় আমার সিরিয়ালের ডাক এল। রক্ত দিতে গেলাম। হাতে সুই ডাকানো হল। রক্ত দ্রুত চলে যাচ্ছে ব্যাগে। দূর থেকে রক্ত গ্রহীতার আত্নীয় আমাকে এবার দেখছেন। তাদের মাঝে আর কোন তর্ক নাই। হয়ত তারা আগামী ভবিষ্যত তারা দেখতে পেলেন। হয়ত বৃদ্ধ মানুষটি এবার বুঝে গেছেন, এটাই মহান স্রষ্টার ঠিক করে রাখা নিয়তি। যা মেনে নেয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই।

রক্ত নেয়া হল। আমি উঠে বসলাম। বৃদ্ধ লোকটি এবার আমার পাশে এসে আস্তে করে বললেন, কিছু খাবেন? আমি হাসি মুখে বললাম, জি না চাচা। এই চাচা শব্দটি এতো মধুর করে উচ্চারণ করা চেষ্টা করলাম যেন উনি আবারো বিভ্রান্ত হোন। তিনি তাই হলেন। আংকেল বলতে পারতাম। কিন্তু আংকেল কেমন যেন পরপর লাগে। চাচা ডাকটার মধ্যে একটি সম্পর্কের ছায়া পড়ে। উনার চোখে বিন্দু বিন্দুু জলের আবাশ পেলাম।
-বললেন, ঠান্ডা কিছু এনে দেই।
-আমি বললাম, আমি এসব খাই না চাচা।
-তাহলে কিছু একটা খান।
-আমি একটু আগেই খেয়ে এসেছি। দয়া করে আমাকে এখন কিছুই দিবেন না।
-আপনি কি করেন?
- আমি ওয়েবসাইট তৈরি করি চাচা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে / ইন্টারনেটে তাদের কোম্পানীর নামে ওয়েবসাইট বানায়। আমি এগুলোর কাজ করি।
- আপনি কোথায় থাকেন?
- আমি লামাবাজার থাকি।
এই বলে আমি বেড ছেড়ে উঠলাম। ফিল্টারের একগ্লাস পানি খেয়ে। তাদের সাথে হাত মিলায়ে বললাম, এবার আমাকে যেতে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর কাউন্টারে আপনাকে রক্ত দিয়ে দেবে। কিছু টেস্ট আছে যা শেষ হলেই আপনাকে রক্ত দিয়ে দিবে। কোন সমস্যা হলে আমাকে কল করবেন। আমার ছোট ভাইয়ের রক্তও অ পজেটিভ। যদি আরো রক্তের প্রয়োজন হয় তবে বলবেন। আমার পরিবারের আমাদের সাত ভাইয়ের সবার একই গ্রুপের রক্ত। আমার বড় ভাইয়ে সব মেয়েরই একই গ্রুপের রক্ত। প্রয়োজনে গ্রাম থেকে তাদের নিয়ে আসব। আপনার রোগী স্রষ্টার ইচ্ছায় ভালো হয়ে উঠবেন। কোন চিন্তা করবেন না।

উনাদের কথা বাড়ানোর সুযোগ না দিয়ে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে আসলাম। চৌহাট্টার পথ ধরে দাড়িয়াপাড়া হয়ে এবার লামাবাজারের পথে হাটা শুরু করলাম। রক্ত দেয়ার পর অনেক হালকা আর ভালো লাগছিল। মনে হল আমার মনের দ্বীপে একবছর ছুটি কাটিয়ে এলাম। চৌহাট্টা পয়েন্টে যাওয়ার আগেই একটি মেয়েকে দেখলাম , একটা মটর সাইকেলের পাশে দাড়িয়ে আছে। হয়ত উনার সঙ্গের মানুষটি পাশের ব্যাংকে গেছে উনাকে মটর সাইকেল পাহারায় বসিয়ে। মেয়েটি বার বার ব্যাংকের দিকে উকি দিচ্ছে দেখে আমি বিষয়টি নিশ্চিত হলাম। আচ্ছা যে ব্যাংকে গেছে সে কি এই মেয়েটির ভাই? আমার তো তাই মনে হচ্ছে! আচ্ছা যদি অন্য কেউ হয়?
আচ্ছা এই মেয়েটি কি সেই মেয়ে... যাকে একটু আগে আমার মন মানুষের দ্বীপে দেখেছিলাম। এই মেয়েটির ব্রু যোগলে সংযোগ রেখা। আহা কি মায়াবী তার দুটি চোখ। আচ্ছা .. আমি কি চোখ দুটি একটু দেখব আবার? না .... ভদ্র ছেলের মত মাথা নত করে হেটে যাব ?

মেয়েটির পাশ দিয়ে হেটে গেলাম। ফিরে তাকানোর প্রছন্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফিরে তাকালাম না। বাসায় যেতে হবে। অনেক কাজ করতে হবে। ছোট ভাইকে নিয়ে আগামী মাসে নতুন একটি বাসায় উঠতে হবে। আগামী মাসে অনেক টাকা এক্সটা খরচ হবে। আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষেরা প্রেমিক হওয়া উচিত না। তাদের বাস্তবে বাস করতে হবে। তাই পেছনে ফিরে না দেখে হাটতে থাকি। তাকে আবারো দেখব হয়ত আমার অন্য কোন দ্বীপে! সেখানে সে তার মনের মানুষটিকে নিয়ে সাতার কাটবে। আমি হয়ত তখন পাশে গিয়ে বলব,
-আমাকে চিনতে পারছেন?
মেয়েটি বলবে, না তো.... আপনাকে চিনতে পারি নি।
আমি বলব, চৌহাট্টায় আপনার সাথে দেখা হয়েছিল। অবশ্য কোন কথা হয় নি। আমি আপনাকে চিনি , আপনি আমাকে চিনবেন না। আমার দ্বীপে কি করছেন?
- সাতার কাটছি, আপনার দ্বীপের পানি এতো ঠান্ডা কেন?
- এই দ্বীপের নিচে একটি অগ্নেয়গিরি আছে। বেশীক্ষণ এখানে থাকবেন না।
--- এভাবেই তার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করব। আমাদের গল্প।
এখন মন মানুষের দ্বীপে পড়ে থাকলে চলবে না। অনেক কাজ পড়ে আছে। তাই দ্রুত পায়ে হাটতে শুরু করলাম। পেছনে কিছু একটা রয়ে গেছে জানি। যে রয়ে গেল সে কোনদিনই আমার নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×