somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সনেট কবি
সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

ধর্মহীন ও ইসলাম (পর্ব-২)

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ধর্মহীনরা ধর্মের বাঁধন মুক্ত। অনেকটা বনের পশুরমত। এরা যা খুশী তা’ই করতে পারে।তবে এরা পশুর চেয়েও অধম। কারণ পশুরাও সমকামিতা পছন্দ করেনা, অথচ এরা সমকামিতার সমর্থক।আমাদের সমাজে এদের উপস্থিতি অসহ্য।
ইসলামে সমকামিতা জঘন্য পাপ। এজন্য সমকামিতার সমর্থক ধর্মহীনরা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচন্ড উত্তেজীত। ইসলাম ও মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে তারা নানা কূরুচিপূর্ণ কথা বলে।যার জন্য ঘটেগেছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। তারা তাদের জিহবা সংযত রাখলে হয়ত এসব ঘটনা ঘটতোনা।
ধর্মহীনদের কথা হলো ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত নয়।তাদের সন্দেহের কারণ হিসেবে তারা বলে মহানবির (সা.) বহু বিবাহ ও কম বয়স্কা আয়েশাকে (রা.) বিবাহ।কিন্তু আমার বুঝে আসেনা মহানবির (সা.) বিবাহের সাথে তাঁর নবি হওয়ার কি সম্পর্ক? আল্লাহর বাণীর মধ্যে গড়বড় না হওয়ার জন্য দরকার ছিল সত্যবাদী ও আমানতদার। আর এটা মানুষের মাঝে প্রচারের জন্য দরকার ছিল দৃঢ় মনবল।তো এ তিন গুণ আল্লাহ মহানবির (সা.)মাঝে পেলেন এবং তিনি সেটা পেলেন সর্বোচ্চ মাত্রায়। সেজন্য তিনি বলেছেন, ‘ইন্নাকা লাআলা খুলুকিন আজিম-নিশ্চয়ই আপনি সর্বোত্তম চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত আছেন’। আল্লাহ মহানবিকে (সা.) যে কাজের দায়িত্ব দিলেন তার জন্য এ তিন গুণ দরকার। বিবাহ এ বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত নয়।সংগত কারণে কোরআন প্রচারের দায়িত্ব আল্লাহ যথাযথ ব্যক্তিকে দিয়েছেন।
ধর্মহীনরা বলে কোরআন মোহাম্মদ (সা.) বানিয়েছেন। তো এমন লাভ জনক গ্রন্থ্য অন্য কেউ বানাচ্ছেনা কেন? অন্যরাও এমন বানিয়ে লোকদেরকে পারলে তাতে জড় করুক।আর সেটা কোরআনের মত হওয়ারও দরকার নেই। তারা শুধু সে গ্রন্থ দিয়ে লোক জড়ো করতে পারলেই তো হলো।তারা একটা গ্রন্থ বানিয়ে প্রচার করুক যে এটা আল্লাহর গ্রন্থ, দেখি সে গ্রন্থের দিকে আহবান করে তারা কয়টা লোক জড় করতে পারে? মোহাম্মদ (সা.) একটা গ্রন্থকে আল্লাহর গ্রন্থ বলে সেটা লোকদেরকে বিশ্বাস করাতে পেরেছেন। লোকদেরকে সে গ্রন্থের দিকে জড় করতে পেরেছেন। এটা তাঁর বিশাল সাফল্য এর জন্য তাঁকে দোষারফ করা যায়না বরং ধন্যবাদ দেওয়া যায়।
মহানবির (সা.) কথা বিশ্বাস করে লোকেরা সারাদিন না খেয়ে থাকে। এমন কি লুকিয়েও পানাহার করেনা- এর মানে কি? শুধুমাত্র এ একটি মাত্র গ্রন্থ লক্ষ লক্ষ লোকের মুখস্ত। এমন কি বাচ্চা ছেলে-মেয়েরও মুখস্ত।অন্য কোন গ্রন্থ কেউ মুখস্ত করতে পারেনা কেন?আরো অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার।
তারা নাকি কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার প্রমাণ খুঁজে পাচ্ছেনা। প্রমাণ না খুঁজলে পায় কেমন করে? আর যে জিনিস যে জায়গায় আছে সে জিনিস সে জায়গায় না খুঁজে অন্য জায়গায় খুঁজলে পায় কেমন করে? অনুসন্ধান না করা বা ত্রুটিযুক্ত অনুসন্ধানের কারণে কোরআনিক সত্য তাদের বোধগম্য নয়।ডাস্টবিন থেকে বাচ্চা কেন খাবার খায় এটা তাদের সন্দেহের কারণ। আল্লাহ কেন প্রতিক্রিয়া দেখান না, এটাও তাদের সন্দেহের কারণ। হতেপারে এটা আল্লাহর পরীক্ষার উপলক্ষ।এক পশু জীবন দিয়ে আরেক পশুর জীবন রক্ষায় কাজে লাগে।পোকা-মাকড় জীবন দিয়ে অনেক প্রাণীর প্রাণ রক্ষার কাজে লাগে। ছোটমাছ জীবন দিয়ে বড় মাছের জীবন রক্ষার কাজে লাগে। এসব না হলে জগৎ চলেনা। অসুবিধার মানুষ না হলে সুবিধার মানুষ কি করে বুঝবে তারা কি অনুগ্রহ পেল? আর অসুবিধার মানুষদেরকে পরে পুষিয়ে দেওয়া তো আল্লাহর অসাধ্য নয়।আর এসব দিয়ে বুঝায় যে আল্লাহর অবাধ্য হলে শাস্তি পাওয়া লাগবেনা অথবা আল্লাহ নেই? ধর্মহীনরা কোন কথার প্রেক্ষিতে কোন কথা বলে কিছুই বুঝে আসেনা। যত্তসব বেকুবেরা অহেতুক মহানবির (সা.) বদনাম করে।বাস্তব কথা হলো ইসলামকে আল্লাহ প্রদত্তনয় বলার মত কোন প্রমাণই ধর্মহীনরা উপস্থাপন করতে পারেনি। এজন্য মানুষ তাদের উপর মহা বিরক্ত।ধর্মহীনরা একজন মহামান্যের অহেতুক বদনাম করে মানুষের বিরক্তিভাজন হচ্ছে। তারা মহানবির (সা.) যে সব দোষের কথা বলছে এর দ্বারা এটা বলা যায়না যে তিনি আল্লাহর নবি নন।আর এমন লোককেই যদি আল্লাহর নবি হিসেবে পছন্দ হয় তবে তাতে কার কি? আর কেউ ডাস্টবিন থেকে খাবার খেলেও বলার উপায় নেই যে আল্লাহ নেই। হতে পারে তিনি থেকেও কোন কারণ বসত এসবের প্রতিকার করছেন না। হরিণের আবদনে আল্লাহ যদি সাড়া প্রদান করেন তবে বাঘকে না খেয়ে থাকতে হয়। আর বাঘের আবেদনে সাড়া দিলেতো হরিণের আবেদনে সাড়া দেওয়া যায়না। এসব বিষয় না বুঝে কতিপয় বিপথে আর কতিপয় কূপথে হাঁটে। তবে এরমানে এ নয় যে অপকর্মের জন্য শাস্তি পেতে হবেনা।
কাজেই মানুষের জন্য ধর্মহীনতা নয় বরং ইসলাম সংগত।


বিঃদ্রঃ পোষ্টের ছবির স্থানে ডঃ হুমায়ুন আজাদের ছবি ছিল বিধায় এ সংক্রান্ত কিছু মন্তব্য এসেছে। মাননীয় মডারেটরের আদেশে ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
৩২টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×