somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলোকিত বাংলাদেশ সময়ের ব্যাপার মাত্র

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বর্তমানে বিদ্যুতের যেমন চাহিদা বেড়েছে তেমনি সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বিদ্যুতের উৎপাদনও বেড়েছে। একসময় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া ছিল যেন ‘ভাগ্যের’ ব্যাপার। নানা পর্যায়ে ধরাধরি করেই পেতে হতো বিদ্যুৎ সংযোগ। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎদন কম থাকাই এর কারণ। অথচ আজ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এলাকায় বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা
এক কোটি ৭৮ লাখ। আগামী জুন পর্যন্ত নতুন আরো ২২ লাখ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে গ্রাহকসংখ্যা হবে দুই কোটি। আর ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে। আট বছর আগেও বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল মাত্র পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। আর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৫ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ। এই পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। বিদ্যুতের এই সাফল্য প্রভাব ফেলেছে দেশের অর্থনীতিতে। প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ অর্থনীতির দেশের অন্যতম হবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে উৎপাদনক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ৩১টি উপজেলায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ দেশের ৪৬০টি উপজেলার শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৩৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বর্তমানে ১৬টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এক দিনের মধ্যে গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার জন্য। নতুন সংযোগ চাইলে গ্রাহককে এক দিনের মধ্যেই সংযোগ দিতে হবে। এ জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করা হচ্ছে। ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রকেই একসময় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র বলে মনে করা হতো। ওই রকম ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অর্থ পেতেও দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে বাংলাদেশ অথচ ঋণ পায়নি। কিন্তু মাত্র আট বছরের মাথায় পরিস্থিতির এতটাই পরিবর্তন হয়েছে যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের জন্য ১৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ পেতে অসুবিধা হচ্ছে না বাংলাদেশের। শুধু তাই নয়, এ রকম কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এর অন্যতম পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসংলগ্ন এলাকার একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। সরকারি মালিকানাধীন কম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী ও চীনের প্রতিষ্ঠান সিএমসির যৌথ মালিকানায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে।এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট করে উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট হবে সেখানে। ২০১৯ সাল নাগাদ সেগুলো থেকে উৎপাদন শুরু হবে। একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরো দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ও বাগেরহাটের রামপালে। এ ছাড়া মহেশখালীতে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। তবে শুধু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নয়, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু চলছে পুরোদমে। এভাবেই আলোকিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×