১ম অংশ- Click This Link
২য় অংশ- Click This Link
৩য় অংশ- Click This Link
৪র্থ অংশ- Click This Link
৫ম অংশ- Click This Link
৬ষ্ঠ অংশ- Click This Link
৭ম অংশ- Click This Link
এক সময় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একই রাষ্ট্র ছিল । তখন ভারতের আকাশে চাঁদ দেখা গেলেই রোযা ও ঈদ পালন করা হতো । ৪৭ এর পর পাক-ভারত আলাদা হয়ে যায় । তখন থেকে দু’দেশের আকাশও আলাদা হয়ে গেল । ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্দে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয় । তখন থেকে ‘বাংলাদেশের আকাশ’ নামে একটি আকাশেরও জন্ম হয়েছে । মহান আল্লাহ কি এভাবে পৃথক পৃথক রাষ্ট্রের জন্য পৃথক আকাশ তৈরি করেছেন ? নি:সন্দেহে ‘না’ ।
এভাবে পবিত্র ইসলাম ধর্মের ১৪৪১ বৎসরের ইতিহাসে অত্র মাসয়ালার উপরে কুরআন, সুন্নাহ্ এবং ফিকহের ইজমা বা ঐক্যমত থাকা সত্বেও তাৎক্ষনিক সংবাদ দেওয়া-নেওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা পারিপার্শিক অবস্থার প্রেক্ষিতে যতদূর পর্যন্ত সংবাদ পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে ততদূর এলাকায় আমল করেছেন । তাদের এ আমল সমসাময়িক পরিস্থিতিতে ছহীহ ও যুক্তিপূর্ণ ছিল । অপর দিকে বর্তমানে সে ওজর বা সমস্যা না থাকায় এবং তাৎক্ষনিক সংবাদ দেয়া-নেয়ার ব্যবস্থা থাকায় আমাদেরকে অবশ্যই মূল মাসয়ালা অনুযায়ী আমল করতে হবে । এটাই ফিকহের সিদ্ধান্ত এবং বিবেক ও সময়ের দাবী ।
আল্লাহপাক বলেন-‘প্রত্যেক সংবাদের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে প্রকাশের জন্য’ (৬:৬৭)
আমরা যারা পূর্বে না জানার কারনে, দ্রুত প্রচার ব্যবস্থা না থাকার কারনে ভুল করেছি তাদের প্রতি অনুরোধ রইল বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখুন এবং প্রয়োজনে আপনার পরিচিত শরিয়া জ্ঞানীদের নিকট মৌখিক না জেনে কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল চেয়ে লিখিত চান কিভাবে সমাধান করা যায় ?
আল্লাহপাক বলেন- ‘জ্ঞানীরাই চিন্তা-ভাবনা করে’ (সূরা ইব্রাহীম-৫২)
আমার সংগ্রহটি গ্রহণযোগ্য হলে জন সচেনতার জন্য প্রচার করার অনুরোধ জানাচ্ছি । আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ বুঝার তৌফিক দিন ।
**আমীণ**
কিছু তথ্যঃ-
এ বিশৃঙ্খল অবস্হা সম্পর্কে ১৬ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে এক প্রেস রিলিজে ৫৭টি দেশ নিয়ে গঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্হা (ও.আই.সি) এর মান্যবর মহাসচিব একমেলেদ্দীন ইহসানোগলু বলেন,
এ বছর (২০০৬) ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময়ের পার্থক্য ৩ দিন পৌছেছে । আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষত: জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির যুগে এই অবস্হা দু:খজনক ।
ইসলামী উৎসবগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে । এসব উৎসব বিশ্বের সব মুসলিমের হৃদয়ে ঐক্যের বার্তা পৌছে দেয় । এই ঐক্য এসব উৎসবের নির্যাস হিসেবে প্রকাশ পায় । কিন্তু এসব উৎসব বর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য ও বিভেদের উপলক্ষ্য হিসেবে উপস্হিত হয়েছে । এতে মুসলিমদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে না । এটি একটি বড় ধরনের ভুল । কারণ এসব ধর্মীয় উৎসব ধর্মের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরে যেয়ে একঘেয়েমি ও কুপমন্ডুকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে ইসলামী সম্বেলন সংস্হা (ও.আই.সি) ১৯৮০-র দশক হতে লিখিতভাবে এ বিষয় নিয়ে সোচ্চার । ও.আই.সি এ বিষয়ের উপর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন সম্বেলনে এ বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছে । মুসলিম দেশগুলোতে একটি একক ক্যালেন্ডার অবলম্বন করার জন্য হিজরী ক্যালেন্ডারকে ধর্মীয় ও বিজ্ঞানের মুলনীতি প্রয়োগ করে পরিমার্জিত করতে হবে । এব্যাপারে ব্যবস্হা নিতে ইসলামী আইনবিদ্যা কেন্দ্রকে অনুরোদ করছি । পরিমার্জিত এ হিজরী ক্যালেন্ডার বিশ্বের সব মুসলিমকে রোজা ও অন্যান্য উৎসবগুলোতে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করবে । এ বিষয়ে বিভক্তি ও অনৈক্য দুর করতে মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও নেতৃস্হানীয় কর্তাব্যক্তিদের এক সাথে কাজ করতে আহবান জানাচ্ছি । জেদ্দা: ২৮ অক্টোবর ২০০৬ দেখুন:
Click This Link 2006/hilal.htm )
বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ এবং সকল মুসলিমের প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ব মুসলিম সংগঠন ও, আই, সি-এর ফিকহ একাডেমী ১৯৮৬ সনের ১১-১৬ অক্টোবর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে শতাধিক শরীয়াহ্ বিশেষজ্ঞের সর্ব সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, “বিশ্বের কোন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলে সকল মুসলিমকে ঐ দেখার ভিত্তিতেই আমল করতে হবে”
(দেখুনঃ http://www.newmoonbd.com/oic_decision.php
সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার বিষয়ে ও.আই.সি এর বিভিন্ন প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে । দেখুন
http://www.oic-oci.org/home.asp
1. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/11/11 icfm-cultural-en.htm (RESOLUTION No. 14/11-C)
2. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/12/12 icfm-cultural-en.htm (RESOLUTION NO. 8/12-C)
3. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/13/13 icfm-cultural-en.htm (RESOLUTION NO. 11/13-C)
4. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/14/14 icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO. 19/14-C)
5. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/15/15 icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO.17/15-C)
6. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/16/16 icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO.13/16-C)
7. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/17/17 icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO. 16/17-C)
8. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/18/18 icfm-cult-en.htm (RESOLUTION 18/18-C)
9. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/19/19 icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO. 24/19-C)
10. ISTANBUL, REPUBLIC OF TURKEY 24-28 MUHARRAM 1412H, 4-8 AUGUST 1991
11. Click This Link resolution.htm
আল-কুরআন- তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি কর না (আশ শুরা আয়াত ১৫);
তোমাদের নিকট যে জ্ঞান পৌঁছেছে তারপরও যদি তোমরা তাদের (কুরআন-হাদিস বহির্ভূত কারো কথা) মনের ইচ্ছা ও বাসনার (দলিল বিহীন মতবাদ) অনুসরণ কর তাহলে নিশ্চিত রুপে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে (বাক্বারা আয়াত ১৪৫);
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


