somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যখন বাঁদর ছিলামঃ সোহেল ভাই দ্যা লিজেন্ড,ডাব চুরি ,কাল হার্টস আর জাহিদের বাবা

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোহেল ভাই দ্যা লিজেন্ডঃ শেষ পর্ব

ডাব চুরি
প্রায় মধ্যরাতে আমরা এক অবিশ্বাস্য নৌকাভ্রমনে বের হলাম। নদীর চরে টিমটিমে আলোতে টং দোকানের গরম মিষ্টি!আহ! অমৃত ছিল যেন। মাঝনদীতে জ্যোৎস্নায় প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্যে হাবুডুবু খেলাম। চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক। জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনটাই বোধহয় কাটিয়ে আসলাম। সেই অপূর্ব রোমান্টিক পরিবেশে সোহেল হেঁড়ে গলায় গান ধরল।
আজকের মতো মাফ করে দে,বন্ধু। সোহেলকে থামিয়ে দিলাম আমি।
আমার রূঢ় আচরণে সোহেল থমকে গেল। আর আমরা থমকে গেলাম নৈঃশব্দের গলে গলে পড়া সৌন্দর্যে।
সেখান থেকে ফেরার পথে সোহেল ডাব গাছে একান্ত ব্যক্তিগত মেশিনের পানিবর্ষন করে আসল। প্রতিদান নগদে নিতে ডাব খাবার ইচ্ছাও পোষন করল।
"বন্ধু, ডাব পেড়ে দে না"
অভিজ্ঞ গেছো মাহমুদকে ধরল সে।মাহমুদ বিনয়ের সাথে তাকে সিটিএন জানাল।
তখন আমরা সোহেলকে কথার জালে পেঁচিয়ে গাছে উঠিয়ে দিলাম।
গাড়ির চাকায় পাম্প দিলে চাকা ফুলে যায়। আমাদের সম্মিলিত পাম্পে সোহেল শুধু ফুলল ই না উপরে ওঠা শুরু করল। আর আমাদের অবাক করে দিয়ে অনভিজ্ঞ গেছো সোহেল গাছের অর্ধেকটা উঠে গেল। পরে আবিষ্কার করলাম সোহেল গাছের মাঝখানে স্থির হয়ে আছে। ইব্রাহিম বলল,কি হয়েছে, সোহেল । লজ্জাবনত মুখে জানাল সে,আর তো পারিনা,বন্ধু।/:)
তাহলে নেমে আয় . . . . বিয়ের পরই ডাব খাস। ;)আমি বললাম।
কিভাবে নামব . . .হতাশাগ্রস্ত দেখাল তাকে।:((:((
লাফ দে . . . .
সাচ্চু ভুতের গল্প শুরু করল . . . ."সামনের তেতুল গাছে একবার এক . . . . . ."
হঠাৎ ধুপ করে শব্দ হলো ।
না ভুত না, সোহেল লাফ দিয়েছে।ভুতথেরাপিই কাজে দিল . .
:P;):P

কাল হার্টস
বাসায় ফিরে কার্ড খেলতে বসে মহাবিপদে পড়লাম সোহেলকে নিয়ে।কারন সোহেল ভোদাইকে ব্রীজ খেলা শেখানোর চেয়ে মনে হয় পদ্মায় একটা ব্রীজ বানিয়ে দেয়া সহজ । ভয়াবহ সব চাল দিতে লাগল। তার পার্টনার সাচ্চু রাগে-দুঃখে ওয়াকআউট করলে পরে আমরা হার্টস খেলা শুরু করলাম।এখানেও LC সোহেলের রাণীর প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ পেল। রাণীকে পরম আবেগে নিজের করে নিতে লাগল সে।এর মাঝেই সে তার মোটা মাথাটা খাটাতে লাগল।ধীরস্থির বিরক্তিকর খেলা চলতে লাগল। এর মাঝে একসময় দেখলাম একটা কার্ড হাতে নিয়ে ভাবছে গভীরভাবে।
আমি বললাম খেল।
কি খেলব?
আরে ভোদাই হার্টের খেলা, হার্টস চাল দে।
আরও সিরিয়াস হয়ে বলল ও, চিন্তা করতেছি কোনটা খেলব,হার্টের লালটা নাকি কালটা।X(X(

জাহিদের বাবা

রাতে শোবার সময় সোহেল আবার হিসেব নিকেষে বসল। শত্রু না খুজে পেয়ে তার ঘুম যে হারাম হয়ে যাবার যোগার ।রুদ্ররোষ থেকে বাঁচতে নিজেদের পক্ষে ওকালতি শুরু করলাম আমরা।কম্পিউটার সাইন্টিস্ট সাচ্চু জটিল প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হলেও সোহেলের ব্রেন প্রোগ্রামিং করে নিজের অনুকুলে নিতে ব্যর্থ হলো।
"সময়মত হবে প্রতিশোধ।" সোহেলের হুমকিতে ভয়ে ভয়ে সাচ্চু শুতে গেল। আর আমি আর মাহমুদ ঘুমানোর আগে পরের দিনের প্লান ঠিক করে নিলাম।সকাল সকাল উঠে প্লান বাস্তবায়ন শুরু করলাম।মাহমুদ সাচ্চুকে ডেকে বলল,"সোহেল ওঠার আগেই বাথরুম সেরে আয়। সোহেল জানলে তোর রক্ষা নাই।"
সাচ্চু যাবার পর সাথে সাথে সোহেলকে কাঁচা ঘুম থেকে উঠালাম।
জানালাম সাচ্চু বাথরুমে,প্রতিশোধ নেবার জন্য এরচে ভাল সুযোগ আর পাবিনা।আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার হাসি দিল সে।
বাথরুমের ছাদ না থাকায় মাটির ঢিলা গুড়া করে উপর দিয়ে ছিটিয়ে দেয়ার পরামর্শও দিলাম তাকে।সাথে এক বালতি পানিও নিল ও। প্রতিশোধটা যেন কড়ায়গন্ডায় মেটে।বালতি হাতে সোহেল বাথরুমের দিকে এগিয়ে চলল বিজয়ীর ভংগিতে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাহমুদ তার উপস্থিত বুদ্ধির চুড়ান্ত খেল দেখাল। জাহিদকে দেখেই বলল তোমার বাপ এতক্ষন বাথরুমে কি করে? ;)কনফিউজ হয়ে গেল সোহেল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় আর হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে গেল ! এরই মাঝে সাচ্চু বেরিয়ে আসল। কাহিনী বুঝতে দেরী হলো না তার।মুচকি হেসে আদেশ করল যেন . . .
আমিই জাহিদের বাপ। নে সালাম কর।
সোহেল হা করে তাকিয়ে থাকল ।অস্পষ্ট একটা গালির শব্দ কানে আসল. . . .শালা!!!. . . :-*:-*:-*

নস্টালজিক বান্দরবেলার আগের পর্বসমূহ . . . .
১ম পর্ব-আমের দেশে
২য় পর্ব-সোহেল এবং ঐশ্বরিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×