ছোটবেলায় প্রতি শীতে গ্রামে দাদাবাড়ি গিয়ে দেখতাম বাড়ির এঁটো খাওয়া কুকুরটি একসাথে ৫/৬ টা বাচ্চা দিয়েছে। ঐ বাচ্চাগুলো খুব যন্ত্রণা করত। তাই আমার চাচারা সেগুলোকে বস্তায় ভরে খালের ওপারে রেখে আসত। কিন্তু শীতকালে খালে পানি থাকে না। তাই ঐ বাচ্চাগুলো আবার হেঁটে হেঁটে চলে আসত। বাচ্চাগুলো সারাদিন ছাইয়ের গাদায় একটা আরেকটা উপর ঢলাঢলি (
আসলে শৈশবে কিছু ছেলেমেয়ে থাকে ভীতু টাইপ, যারা মুরগী জবাই দেখলে কেঁদে কেটে ভাসিয়ে দেয়।
আবার কিছু থাকে প্রচন্ড ডানপিটে। এদের ভয়ডর কমই থাকে। এরা খেলতে গিয়ে মারমারি করে, গাছে ঢিল ছোড়ে, ডাল ভাঙ্গে, পুকুরে নেমে দাপাদাপি করে, বীজতলা মাড়িয়ে দেয়, বেড়া ভেঙ্গে ফেলে- পাড়া প্রতিবেশী এদের জ্বালায় অস্থির থাকে। এরা কুকুর, বিড়াল, হাঁস-মুরগী, পশুপাখি, গরু-ছাগল ইত্যাদির বাচ্চা নিয়ে খেলা করে। খেলতে গিয়ে বা বলা যায় দুস্টামি করতে গিয়ে নিরীহ প্রাণীটিকে ঘটনাক্রমে হয়ত মেরেও ফেলে। আমি তো ছোটবেলায় গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে পুকুরে থাকা ঢোঁড়াসাপ পর্যন্ত তুলে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি।
এখন দেখি ঢাকার বিভিন্ন স্কুলের সামনে লেয়ার মুরগীর ছোট ছোট বাচ্চা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার আশে পাশের বাসার অনেক স্কুল পড়ুয়া পিচ্চি ঐ মুরগীর বাচ্চাগুলো কিনে নিয়ে আসে। ওগুলোকে খাওয়ায়, গোসল করায় (আবার রোদে শুকায়
শিশু বয়সে ন্যায় অন্যায় বোঝার ক্ষমতা কতটুকু থাকে?
তাহলে যারা সিস্টেম ইন্জিনিয়ারের ঐ পোস্টে মাইনাস দিয়েছেন বা তাকে নিষ্ঠুর অভিহিত করেছেন, তারা অতি প্রতিক্রিয়াশীল কিনা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
ব্লগার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারের লেখাটির লিঙ্ক এখানে-
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




