নীল সমুদ্রকে দেখি আমি বুকে অজস্র নক্ষত্র নিয়ে বসে থাকতে রাত্রির দেহে । গুচ্ছ বৃক্ষ ডানা নুয়ে জল সেবন করে হেরে যাওয়া শেকড়ের অনুরোধে ! ওরা এভাবে প্রকাশ করেছে প্রেমের যন্ত্রণা । আত্মাকে জীবন দিয়েছে মৃত্যুর কুঁড়েঘর সেজে ।
আমি তো শুধু বলেছিলাম সেদিন, 'তোমাকে ভালোবাসি'
অতঃপর সন্ধ্যা কাঁদলো, রাত কাঁদলো, সূর্য কাঁদলো এই স্বপ্নচূড়া হৃদয়ে । আমার ভোর হলো অজানা কোন তল্লাটে- জনহীন একাকি মানব শরীর, গলে পড়ছে মৃত্তিকা কণা । যে পথে এগিয়ে গেছি সে পথে ছড়িয়ে পড়েছে হৃদয়ের কর্পূর ঘ্রাণ । চেয়ে দেখার কেউ ছিলো না, প্রক্ষালিত করার কেউ ছিলো না, লজ্জা ঢেকে এই অসহায় হৃদয়ের সৎকার করার কেউ ছিলো না......... অনুভবের অদ্ভুত ঢঙ- রঙে মেখেছে !
দু'হাতের রৈখিক জমিনে ছাই নিয়ে দৌঁড়াচ্ছি আমি দিব্যি, রঙিন জল উড়ে যাচ্ছে বিহঙ্গের চোখে, সর্বাঙ্গে তৃপ্তিভরে নিচ্ছি দুঃখ । সেই যোজন দূর থেকেও সে শুনেছে হৃদয়ের অকৃত্তিম তৃপ্তির আদান-প্রদানের শূন্য দৃষ্টির হাহাকার । সে দেখেছে শূন্য দৃষ্টির ইতিহাসে শুধু তার অস্তিত্ব, পাতা পুড়ে পুড়ে হচ্ছে ছাই......
না পাওয়ার আসক্তিতে ভাসিয়ে দেয়া ঠিকানাহীন অতি যতনের শূন্য তরী....
......অতঃপর ক্ষণিকের তীব্র আশংকাগুলোকে ভেঙ্গেচুরে ফিরে এলো সেই তরী, সে চিঠি লিখেছে,
প্রিয়তম......
সেই চিঠিতে কর্পূরের ঘ্রাণ ছিলো । আজ এই তল্লাটে দুটি হৃদয় একসাথে...... অনুভবের অদ্ভুত ঢং- রঙে মেখেছে !
ছবি কৃতজ্ঞতা- নেট ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭