somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনাব সার্জন, আপনার অভিনয় আর ছলচাতুরির উদ্দেশ্য কি????

২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হোরাস একটা পোস্ট দিছেন আজকে , বিবর্তনবাদ নিয়া। বিবর্তন বিষয়ক পোস্ট, তর্ক বিতর্ক হবেই, সেইটাই স্বাভাবিক। কয়েকজন ভালোই তর্ক করলেন। তবে ঝামেলা শুরু হইল একবারে প্রথম থেইকাই, সার্জন নামক একজন ব্লগার হোরাস'কে গ্রাম্য ডাক্তার, মূর্খ এই জাতীয় আক্রমনাত্বক বিশেষনে বিশেষিত করলেন এবং মেডিকেল সাইন্সের ছাত্র না হয়েও হোরাস এই জাতীয় পোস্ট দেয়ায় ঐ পোস্ট গুরুত্ব হারাইছি এহেন দাবি তুললেন। হোরাস শুরুতেই বিনয়ের সাথে বললেন, তিনি মেডিকেল সাইন্সের ছাত্র না ইহা সত্য তবে মূল প্রবন্ধ যেই ব্যাক্তির লেখা তিনি একজন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী, হোরাস নামও উল্লেখ করে দিলেন। এবং তিনি এও বললেন, এপেন্ডিক্সএর কোন গুরুত্ব নাই, এহেন বক্তব্য তিনি দেন নাই, বরং বলছেন যে এই জিনিসের সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি।

যাই হোউক, পোস্টের পরিবেশ আর ভালো থাকলো না, কিছু গালিগালাজ হইল। সার্জন সাহেব নিজেকে বর্ষিয়ান এবং মুরব্বি ব্যাক্তি বইলা দাবি করলেন, সেই হিসাবে কেউ কেউ তার সাথে বেয়াদপি করলো। মাঝখান থেইকা এস এম রায়হান আইসা হোরস’কে মিথ্যাবাদী এবং পুরোহিত বইলা গালি দিল। নাস্তিক ব্যাক্তিদের কাছে এইটা অবশ্যই খারাপ গালি। রায়হান মিয়াও গালি খাইলেন কিছু ব্লগারের কাছে।

কিন্তু এইগুলা আসল কাহিনি না। আসল কাহিনি সার্জন সাহেবের এই পোস্ট । এই পোস্টে তিনি বললেন, ঐ পোস্ট দেইখা তিনি খোচাইতে গেছিলেন, নাস্তিকদের খোচাইতে নাকি তার মজা লাগে। এবং তিনি দাবি করলেন ঐ পোস্টের পক্ষের মন্তব্যকারীরা প্রায় সবাই মাল্টিনিক ধারী এবং তিনি গালিগালাজএর প্রমান স্বরুপ বেশকিছু স্ক্রিনশট দিলেন। পোস্টের শুরুতেই আবারো তিনি আবারো এমন একটা দাবি করলেন, যেটা ঠিক না। হোরাস যা দাবি করে নাই, সেই দাবির দাবিদার তিনি হোরাসকে বানাতে চাইলেন। আমি তার ব্লগে গিয়ে প্রতিবাদ করলাম, বললাম, হোরাসতো এমন কোন দাবি করে নাই, সেইটা সে আপনার মন্তব্যের জবাবেও পরিস্কার করেছে, তাও আপনি এই দাবি কেন করছেন? তিনি যে আক্রমনাত্বক বক্তব্য আগে দেয়া শুরু করেছেন সেটাও বললাম। জবাবে তিনি আমাকে যা বললেন তা দেখে আমি মোটামুটি স্তদ্ধ হয়ে গেলাম। নিচে স্ক্রিনশট দেখেন।

অর্থাৎ, তিনি ঐ পোস্টে গেছেন, এবং আক্রমনাত্বক মন্তব্য করেছেন শুধুমাত্র কিছু ব্লগারকে খুচিয়ে গালিগালাজ করানোর জন্য। উনি এও বললেন উনি যুক্তি তর্ক করতে যান নাই, ওটা তার উদ্দেশ্যও ছিল না। তাহলে যা দাঁড়ালো তা হলো, উনি শুধু কিছু গালিবাজ ব্লগারের মুখোস উম্মোচন করার জন্য এই কাজ করেছেন, তবে গালি দেয়ার প্ররোচনাটা আবার তিনিই জুগিয়েছেন। অর্থাৎ, উনি একজন অত্যন্ত সুশীল ব্লগার, যিনি গালি দেন না, এবং গালিগালাজ সহ্য করেন না। কিন্তু তার একটা মন্তব্য দেখে যতদুর বুঝলাম ব্যাপারটা তাও না, স্ক্রিনশট নিচে দেখন। আর উনি আমাকে এইভাবে অসভ্যের মতো, “১টা গ্যাং মেম্বার” বলে ব্লগারদের কাছে কেন পরিচয় করিয়ে দিলেন সেটা আমার কাছে বোধগম্য না।

লাল রঙে আন্ডারলাইন করা আছে। উনি নিজেই একজন গালিবাজ। গালিবিরোধী বক্তব্য দিতে গেলেও নিজের আসল রুপ লুকাতে পারেন নাই। তাহলে, ওনার মূল উদ্দেশ্য কি? উনি এমন কেন করছেন? বাকি থাকে ওনার আরেকটা দাবি, আর সেটা হচ্ছে, উনি মাল্টি নিকের মুখোস খুলতে চান। এই বিষয়ক কোন প্রমান অবশ্য তিনি এখনো দেন নাই। তাহলে বাকি থাকে কি? আমার কাছে পরিস্কার না। উনি কি করতে চাইছেন। খামোখা ঝগড়া লাগাচ্ছেন কেন? অভিনয়, প্রতারণা এইসবের আশ্রয় নিচ্ছেন কেন?

জনাব সার্জন, আমি একজন মানুষ, কোন বস্তু না। আমি একজন, ১টা না। মুরুব্বি মানুষ নাকি আপনি। একজন মানুষকে কিভাবে সম্বোধন করতে হয় জানা থাকা উচিত।
৫১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×