আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা চড়ুইভাতির মাঠে
রান্না-বাড়ার সওদা করব শিমুলতলীর হাটে।
সেই বাঁশঝাড়তলা আজও আছে, কদমতলার গান
সবাই মিলে জমত যেথায় চড়ুইভাতির প্রাণ।
শুধু আমরা ক'জন পথ হারিয়েছি, চলে গেছি দূরে
মনের মাঝে মন কাঁদে আজও ভাটিয়ালীর সুরে।
মায়ের বকুনি, বাবার শাসন পাবনা আর খোঁজে
সেই রান্নাঘর, উঠোন কোণ, পুকুর পাড় জুড়ে।
চড়ুইভাতির রান্না শেষে সবাই মিলে নাইতে নেমে
পুকুর জুড়ে প্রাণ জাগাতাম সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
আরও আছে এরপরে, গাছের তলায় পাতার পাতে
খেতে বসে ক্ষুধার পেটে
দেখি ভাত হয়েছে গলা-দলা
কখনও বা পোড়া ছ্যাঁচা
তরকারীতে নুনের টানে
ঝালে মরি হাপুস নয়নে।
তবু আজ মনে হয় চড়ুইভাতির সেই রান্না
ছিল যেন অমৃতের স্বাদ, যার তুলনা হয়না।
আজ ফেলে এসেছি সেইদিন মেঠো পথের বাঁকে
অযুত লক্ষ প্রহরের ব্যবধানে তবু আজও সে কাছে ডাকে।
বন্ধুরা, তোরা কি শুনিতে পাস সেই ডাক
হারানো দিনের সেই গান ?
আমাদের দস্যূতার আড়ালে জাগত যেথায় প্রাণ।
যদি পড়ে মনে, বন্ধুরা আয়না আরেকবার
আয়োজন করি দল বেঁধে চড়ুইভাতির মাঠে যাবার।
হয়তো পাবনা ফিরে সেই দিন, সেই ক্ষণ, সেই কলহাস্যতান
তবু যদি জাগে মনে স্বর্ণালি দিনের গান।
আয়না আরেকবার জল টলোমল পদ্মপুকুরে নেমে
মনের খেয়া ভাসিয়ে দিই বাদলা দিনের সুরে।
মনের ভিতর আশাপাখি ডানা ঝাপটায় বার বার
আয়না বন্ধুরা, গাঁয়ের পথে পথ হাটি আরেকবার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




