৫১) ফিরে পাওয়া মুখ
আত্মার কাছে যে থাকে সেই আত্মীয়।
কবে শুনেছিলাম সেই কথা।
সেটাই হৃদয়ে থিতু হয়ে বসে থাকে পরম বিশ্বাসে।
ছেলেবেলার অস্পষ্ট মুখ সহোদর
সামান্য জ্বরে যে পারি দিলো তেপান্তরে।
প্রতিদিন জন্মদিনে একটা বয়সের অন্তরালে
ওকে খুঁজেছি।
যদি খুঁজে পাই একদিন।
ক্যালেন্ডারের পাতায় জন্মদিন এসে চলে গেছে বহুবার।
অনেকগুলো ঝরাপাতার দিন।
যতবার চোখের সামনে সেই ঝাপসা মুখ,ছেলেবেলার।
বৃষ্টির মত ঝাপসা দু'চোখ।কেন মানুষ চলে গেলে
আর ফিরে আসে না কোনদিন?
আজ বহুদিন পর অনেকগুলো সোনালী দিন পেরিয়ে
ওর জন্মদিনে একা একা ওকে ভাবি।
আর বিষণ্ন নীল পায়রার মত দুখী হতে থাকি।
খুব ইচ্ছে করে ওর চুলের এলোমেলোতায় হাত রাখি।
এবং কি আশ্চর্য্যজনক ভাবে
আজই ম্যাজিকের মত কিছু ঘটে।
প্রার্থণার হাত ধরে ও এসেছিল আজ।
আমার বুকের মধ্যেকার অনুভবে বেড়ে উঠা ভাইটি
ছেলেবেলার অস্পষ্ট মুখটার আদলে বেড়ে উঠা মুখ।
সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে হাতছানি দিয়ে ডেকেছিল আমায়।
দিনান্তের শেষ প্রহরে উচ্ছল পায়রার আনন্দ নিয়ে
ওর দিকে ছুটেছিলাম তাই।
এত আনন্দ!এত সুখ!
এত ভালোবাসা! এতটাকাল কোন সে যাদুর বাক্সে ছিলো বন্দী।
জীয়ন কাঠির ছোঁয়ায় পেলো জীবন ।
এই সেই আত্মীয়তা।
সেই যে আত্মার কাছের পরম আত্মীয়!
যদি হৃদয়টা কাজ করে ঠিকঠাক।
জীবনের সমারোহে দু'চোখের দৃষ্টিতে সুনীল সমুদ্র দেখি।
দেখি দিগন্ত বিস্তৃত ওই আকাশ
এটুকুই বলতে পারি
নিজের ক্ষমতার বাইরে কোন প্রতিশ্রুতি নয়।
যেনো গান হয়ে বাজি।
যেনো সুর হয়ে ছুঁয়ে যাই।
অনেক ভীরে খুঁজে পাওয়া প্রিয় সহোদরের জন্য
"দিয়ে গেনু বসন্তের এই গানখানি...।"
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৪