আমার প্লেনে চড়ার ভাগ্য বরাবরই সুপ্রসন্ন। প্রায়ই দেখি কিভাবে যেন কোন না কোন স্বর্ণকেশী ললনার পাশে সিট পেয়ে যাই(বউ শুনলে খবর আছে)। যাইহোক, এবারো দেখি সোনালি চুলের এবং শ্বেতবর্ণের এক একবিংশ যৌবনা এসে আমার পাশে বসে পড়ল। হাই-হ্যালোর পর্ব সেরে নাম বিনিময় হল। তার নাম শার্লট (যার ইংরেজী বানান Sharlotte কিংবা Charlotte হবে)।
নাম ধাম জানার পর এবার দেশ জানার পালা। তাও জানা হল- সোয়াজিল্যান্ড। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সুইজারল্যান্ড। মাত্র বলতে গেছি, ওয়েল আই হ্যাড আ ফ্রেন্ড ফ্রম সুইজারল্যান্ড... আমাকে সে তৎক্ষণাৎ থামিয়ে দিয়ে হেসে বলল, ইয়া আই নো, এভ্রিওয়ান ডাজ দ্য সেইম মিস্টেক। ইটস নট সুইজারল্যান্ড। ইটস সোয়াজিল্যান্ড। ডু ইউ নো হোয়ার ইজ ইট?
আর একবার লজ্জিত হলাম। আমি সত্যিই জানতাম না সোয়াজিল্যান্ড জায়গাটা কোথায়। যতদূর সম্ভব লজ্জিত না হবার ভান করে বললাম, মাই জিওগ্রাফি নলেজ ইজ টেরিবল, ইউ নো।
সে বলতে লাগল, ইটস ইন বিটুইন সাউথ আফ্রিকা এন্ড মোজাম্বিক। হোয়ার আর ইউ ফ্রম?
- আই এম ফ্রম বাংলাদেশ। ডু ইউ নো হোয়ার ইজ ইট?
- অবভিয়াসলি। ইটস ইন সাউথ এশিয়া। বিসাইড ইন্ডিয়া। রাইট?
- নো, ইন্ডিয়া ইজ বিসাইড বাংলাদেশ। (হো হো হাসির রোল পড়ে গেল)
- আই হ্যাড মাই ক্লাসমেট ফ্রম বাংলাদেশ। দ্যাটস হোয়াই আই নো। উই স্টাডিড টুগেদার ইন বার্লিন।
গল্প চলল আরও কিছুক্ষণ। এক সময় দুইজনেই কানে হেডফোন গুজে মুভি দেখতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
এয়ারপোর্টে নামবার পর লাগেজের জন্য বেল্টের সামনে দুজনেই অপেক্ষারত। আমার লাগেজ আসতে দেরি হল। কিন্তু খুব শিগ্রি তার লাগেজের দেখা মিলল। শুকনো হাসি আর তারচেয়েও শুষ্ক বাই বলে সে এক্সিট গেটের দিকে জনতার ভিড়ে হারিয়ে গেল।
পাক্কা আধাঘণ্টা বাদে আমার নিজের লাগেজ প্রাপ্তির পর যতক্ষণে ট্যাক্সি ধরলাম ততক্ষণে আমার মনে পড়ল, আহারে পুরা নামটা জানতে পারলেও at least ফেসবুকে সার্চ দিয়ে দেখা যেত।
ছিছিছি। এসব কী ভাবছি? আমি না বড় হইছি!!! :p :p
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪০