somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার অনুবাদে নেরুদা-একদল মাতাল ও মৎস্যকণ্যার উপকথা

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদল মাতাল ও মৎস্যকণ্যার উপকথা
পাবলো নেরুদা


সে যখন সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করল,
সেই লোক গুলো তখন মদপান করছিলো আর জুয়া খেলছিল।
প্রথমবার নদী থেকে আসায়, কোনকিছু তার জ্ঞাত ছিল না,
সে ছিল এক পথ হারানো মৎস্যকণ্যা।
তাদের অপমান ওর আলোকিত শরীরে পিছলে যাচ্ছিল,
অপমানে নত হয়ে ডুবে যাচ্ছিল তার স্বর্ণালী স্তন!
অশ্রু না চেনায়, সে তা মুছতওে পারছিল না,
আবরন কি, তা না জানায় সে ছিল নিরাভরণ।
তারা তাকে জ্বলন্ত চুরুট আর সিগারেটের স্পর্শে কালচে করে দিচ্ছিল
আর হাসতে হাসতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ছিল!

সে ছিল নির্বাক,কারণ তার কোন ভাষা ছিল না!
তার চোখে ছিল সুবিস্তৃত ভালোবাসার রঙ,
সাদা রঙের পোখরাজ দিয়ে নির্মিত ছিল তার বাহুযুগল,
মৃদু সাঝেঁর আলোয় তার ঠোটঁ দুটো নীরবে কাপঁছিল।
সে আকস্মিক দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল,
প্রবেশ করলো তার নদীতে-
পরিচ্ছন্নতা পেল সে সেখানে!

সেখানে তার রূপ ছিল স্বচ্ছ - প্রবল বৃষ্টিতে পড়ে থাকা সাদা পাথরের মত উজ্জ্বল!



একটিবার ও সে পিছু ফিরে তাকালো না,
সে সামনে সাতঁরে এগিয়ে গেল…

এগিয়ে গেল শূণ্যতার দিকে….
এগিয়ে গেল মৃত্যুর দিকে...

মূল কবিতাঃ

Fable of the Mermaid and the Drunks

Pablo Neruda

All those men were there inside,
when she came in totally naked.
They had been drinking: they began to spit.
Newly come from the river, she knew nothing.
She was a mermaid who had lost her way.
The insults flowed down her gleaming flesh.
Obscenities drowned her golden breasts.
Not knowing tears, she did not weep tears.
Not knowing clothes, she did not have clothes.
They blackened her with burnt corks and cigarette stubs,
and rolled around laughing on the tavern floor.
She did not speak because she had no speech.
Her eyes were the colour of distant love,
her twin arms were made of white topaz.
Her lips moved, silent, in a coral light,
and suddenly she went out by that door.
Entering the river she was cleaned,
shining like a white stone in the rain,
and without looking back she swam again
swam towards emptiness, swam towards death
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২১
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×