বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ টিপাইমুখ অভিমুখে গত ২৪ ডিসেম্বরও’০৯ ঢাকার মুক্তাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে তিন দিন ব্যাপী লংমার্চ কর্মসূচী ২৬ ডিসেম্বর’০৯ জকিগঞ্জের আটগ্রাম লুৎফুর রহমান হাইস্কুল মাঠে বিশাল জনসভায় মাধ্যমে বেলা ২.২০ ঘটিকায় লংমার্চ নেতা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে।
সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই লংমার্চ কাফেলা নিয়ে সকাল ৮ ঘটিকায় সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠ থেকে লাখো জনতার মিছিল সহকারে টিপাইমুখ অভিমুখে রওয়ানা দিয়ে সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে পৌঁছেন। এখান থেকে হাজার হাজার গাড়ী বহর নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে রওয়ানা করেন। বেলা ১.১০ঘটিকায় আটগ্রামে পৌঁছেন। ১.২৫ ঘটিকায় আটগ্রাম লুৎফুর রহমান হাইস্কুল মাঠে বিশাল জনসভা শুরু হয়। আয়োজিত এ বিশাল জনসভায় তিনি ভাষন দেন। পীর সাহেব চরমোনাই যখন বেলা ২.২০ মিনিটে ভাষন শেষ করেন তখন ও লংমার্চের গাড়ীর বহরের সর্বশেষ গাড়ি জনসভার স্থান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীরা জনসভায় অংশগ্রহন করতে পারেনি। সিলেট থেকে আটগ্রাম পর্যন্ত সড়কে সাধারন মানুষ পীরসাহেব চরমোনাইর লংমার্চ কাফেলাকে হাত উচিয়ে স্বাগত জানাতে থাকে। সড়কের সেতু দুর্বল থাকার কারনে বিভিন্ন স্থানের জানজটের সৃষ্টি হয়।
জকিগঞ্জের আটগ্রাম লুৎফুর রহমান হাইস্কুল মাঠে বিশাল জনসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়া বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিললাহ আল মাদানী,মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম,আলহাজ্ব ডা.মোখতার হোসেন,মহাসচিব প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা ইউনুছ আহমদ,লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এ টিএম হেমায়েত উদ্দিন,আন্দোলনের যুগ্ন মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন,সিলেট বিভাগ উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এ্যাড.আবেদ রাজা,কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা ইমতিয়াজ আলম,মাওলানা মকবুল হোসেন,মাওলানা কেফায়েতুললাহ কাশফী,মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী,মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কবির,ইশাছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-নভাপতি বরকতললাহ লতিফ,সিলেট জেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারী নাজির আহমদ,মাওলানা মুখলেছুর রহমান,মাওলানা বেলাল আহমদ ইমরান। সিলেটবাসীর প থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবদুল গনি। বিশাল জনসভা পরিচালনা করেন,মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম ও কে এম আতিকুর রহমান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই লংমার্চ পরবর্তী বিশাল জনসভায় বলেন,ভারত আর্ন্তজাতিক সকল আইন লঙ্গণ করে টিপাইমুখে বাধঁ দিতে যাচ্ছে। তা আমরা করতে দিবনা। টিপাইমুখে বাধঁ দিলে ও তা আমরা ভেঙ্গ চুরমার কওে দিব। টিপাইমুখে বাধের বিরোদ্ধে ১৫ কোটি মানুষের প থেকে সরকারের প্রতিবাদ কর্মসূচী গ্রহনের কথা ছিল কিন্তু তাদেও ব্যার্থতার কারনে আমাদেরকে মাঠে নামতে হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আগামী মাসের ভরত ছফরে টিপাইমুখে বাধঁ হবেনা এমন সুসংবাদ নিয়ে আসতে হবে। এমন সংবাদ নিয়ে আসতে ব্যার্থ হলে দেশ প্রেমিক জনতাকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব,ইনশাআল্লহ।
পীর সাহেব চরমোনাই লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের অর্থ,পরিশ্রম,অংশগ্রহণ ও অমানবিক কষ্টে তিনদিন ব্যাপী যে লংর্মাচ সফল হয়েছে এলংমার্চ ইসলাম,ঈমান ও দেশ রার সংগ্রাম নতুন কওে সুচনা হল।
তিনিবলেন,দলমত নির্বিশেষে ইসলাম,ঈমান ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী পরিষদেও সদস্যদের ইসলাম বিরোধী লাগামহীন বক্তব্যেরত প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,উনাদের কথায় মনে হয় তারা সৃষ্টিকর্তা আললাহর চেয়েও ভাল বুঝেন। মুসলমানদের ভোট নেয়ার জন্য বর্তমান সরকার নির্বাচনেরপূর্বে ইষলাম বিরোধী কোন আইন করবেনা অঙ্গীকার কওে এখন ইসলামের বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইসলামী শিা নিষিদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
পীর সাহেব বিরোধী দলকে টিপাইমুখবাধঁ,নাস্তিক্যবাদী শিানীতিসহ ইসলাম ও দেশের বিরোদ্ধে সরকারের সকল ষড়যন্ত্রেও বিরোদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহবান জানান
http://nation.ittefaq.com/issues/2009/12/25/
টিপাইমুখ লংমার্চ লংমার্চ কর্মসূচীর মাধ্যমে ইসলাম ঈমান ও দেশ রার সংগ্রাম নতুন করে শুরু হল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।