হালকা কিছু বলতে চাই ।
উদাহরন দিবো
ঘটনা ১ : খেলাফতের পতনের চার বছর পর গঠিত হয় ইখওয়ানুল মুসলিমিন । এটা কোন জংগী সংগঠন ছিল না । এরা অস্ত্র হাতে জিহাদ করছিল না । গনতন্ত্র দিয়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল । দেশও শান্তিপূর্ন । কিন্তু গোটা মিশরের মাটি থেকে আজ লাখো শহীদের আত্না ফরিয়াদ
করছে । কারন কি ??? [প্রমান হলো মিশরের হক্কপন্থিরা শান্তিতে ছিল না]
অথচ আনসার বায়াত আল মাকদিস; মিশরে সশস্ত্র জিহাদ শুরু করার সময় বেশি নয় । কিন্তু এই ক্ষুদ্র সময়ে মুজাহিদদের হাতে অসংখ্যবার এটাক হয়েছে তাগুত বাহিনি । অনেক তাগুত মারা গেছে।
তাগুতের অনেক ক্ষতি হয়েছে । আপনার কাছে ইখওয়ান আদর্শবাদী আর আল মাকদিস সন্ত্রাসী । কারন ইখওয়ানের দ্বারা তাগুত ও কাফেরের ক্ষতি নেই বললেই চলে । বিপরীতে আনসার আল মাকদিসের দ্বারা তাগুত কাফেরের কোটি কোটি ডলার নষ্ট , জানমাল যাচ্ছে তাই তুমি এদের বলবে সন্ত্রাসী ।
অথচ নিরব থেকেই বেশি অশান্তির কোপানলে পড়েছে ইখওয়ান এবং একক ভাবে। বীপরিতে আনসার নিজেরা আক্রমনের স্বীকার হলেও তাগুতকেও নাকানি চুবানি দিচ্ছে। এখানে চুপ থেকেও
অশান্তি না থেকেও অশান্তি। চুপ থাকলে মুসলিমদের একক ক্ষতি আর চুপ না থাকলে উভয়ের ক্ষতি]
...........
ঘটনা ২ : প্যালেস্টাইন ইসরাইলে একটা রকেট হামলা করলে ইসরাইল পাল্টা বিমান হামলা চালায়। আর চুপ থাকলে বুলেডেজার দিয়ে বাড়ি ভেঙ্গে দেয় দখল করে। চুপ থাকলে ফিলিস্তিনের একক ক্ষতি। আর চুপ না থাকলে উভয়ের ক্ষতি। [প্রমান ফিলিস্তিনে শান্তি ছিল না]
.........
ঘটনা ৩ : শান্তিপুর্ণভাবে দাবী আন্দোলনের জন্য হেফাজতের ৫ মার্চ রাতে ঢাকা দখল। ফলাফল : চুপ করে থাকলে একক ক্ষতি, চুপ না থাকলে উভয়ের ক্ষতি।
...........
এরকম হাজার’টা ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে যা উদাহরণ হিসেবে নয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকছে। এরপরেও শান্তিপুর্ণ ভাবে তারা আন্দোলন করতে চাই । অতঃপর জামাতী ভাইয়েরা না বুঝলে শরীয়াহ এর নাম ভাঙানো বাদ দিয়ে লাভ জিহাদ শুরু করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০