একসময় চাউলের বাজার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন এই বাজার বড় বড় কোম্পানির সিণ্ডিকেট এর হাতে জিম্মি। বর্তমানে প্রাণ, এসিআই, রশিদএগ্রো মত আট দশটি কোম্পানির হাতে গোটা চালের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আজ পথে বসার যোগাড় নওগাঁ, পাবনা, কুষ্টিয়া এলাকার হাজার হাজার চাতাল বন্দ হয়ে গেছে এরই মধ্যে, আরো হাজার হাজার বন্দ হওয়ার পথে।
আমরা সবাই কমদামে চাউল পেতে চাই। সেই কমদামটা নিশ্চয় দশ টাকা নয়? এককেজি চালের উৎপাদন খরচ যেখানে ২৫-৩৫ টাকা সেখানে ১০টাকায় চাল খেতে চাওয়াও যেমন অন্যায়, আবার কেউ যদি বলেন আমরা ক্ষমতায় আসলে চাউলের দাম দশ টাকা হবে সেটাও অন্যায়। আমরা কেন কৃষকের পেটে লাথি মেরে তাদের উৎপাদিত ফসল এত কম দামে পেতে চাইবো?আমাদের কৃষক ভাল থাকুক আমরাও কম দামে চাউল পেতে চাই,তাই সিন্ডিকেট এর দৌরাত্ম্য কমানো জরুরি। আমার মতে মোটা চালের যৌক্তিক দাম হওয়া উচিৎ ৩৫-৪০ টাকা চিকন চাউলের দাম হওয়া উচিৎ ৫০-৫৫টাকা।
আমরা দশ টাকায় চাউল খেতে চাই না,আমরা চাই আমাদের কৃষক ভাল থাকুক আমরাও ভাল থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২১