somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকার চিঠি -৪

২৮ শে জুন, ২০১১ ভোর ৪:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঈদ মোবারক ।দেরী হয়ে গেল লিখতে । ঈদের পর পার্টি লেগেই থাকে ।এসব ঈদ পার্টি , হেন তেন নিয়ে এত ব্যাস্ত ছিলাম । আজ ও সময় করেছি বহু কষ্টে । আজ লিখতে না বসে পারলামই না । সন্ধ্যার খবরে শুনলাম আজ পূর্ণিমা ।জুপিটার ও নাকি দেখা যাবে । জানালার পর্দা ফাঁক করে দেখে নিলাম । আমার পূর্ণিমাগুলো এখন এমনই । ঈদের পরের দিন শনিবার রাতে এই পূর্ণিমাটা হ'লে ঘটনাটা অন্যরকম হতো । কি হয়েছিল জানো , আমাদের এক বন্ধুর বাসায় ঈদ উপলক্ষে বিরাট পার্টি ছিল । সেজে গুজে মহা উতসবে মেতে উঠেছে সবাই । হঠাৎ করে ইলেকট্রিসিটি চলে গেল । আমার আমেরিকার জীবনে এমন কখনো হয়নি । ঝড় বুষ্টির দিনে দু 'এক সেকেন্ডের জন্য কখনো যে যায়নি তা নয় । কিন্তু এমন কখনো ই না । গেল তো গেল আর এলো ই না । অনেকে ই হায় হায় করছিল । আমার এত ভালো লাগছিল !মনে হলো সাত রাজার ধন ফিরে পেয়েছি । আমেরিকান রা এজন্যই বোধ হয় ক্যাম্পিং এ যায় । তাবু খাঁটিয়ে জন্গলে গিয়ে থাকে ।প্রকৃতির কাছাকাছি - প্রাকৃত জীবনে । ছোটবেলায় এমন কত হতো !তখন জেনারেটর, ই.পি .এস. কিছুই ছিলনা ।আজ ও তেমন । মোমের আলোয় ঈদের ডিনার । বারান্দায় গিয়ে বসা ।অন্ধকারে ই গান, গল্প আড্ডা । কি নষ্টালজিক ! শুধু এমন পূর্ণিমা ছিল না । । আজ মনে পড়ছে সেই রাতের কথা । গভীর রাতে একদিন তুমি ফোন করে বললে...বারান্দায় যাও দেখ কি বিস্ময় । একে বলে ‘কাক ভুল ভোর জোছনা ‘। আমি গিয়েছিলাম । আহ ! জীবনে ঐ একবারই দেখেছি সেই পাগল করা জোছনা আর কাকের উল্লাস ।কাকের কী দোষ । আমি ও ভেবেছিলাম ভোর । প্রকৃতির বুকে আর আমার এ ছোট্ট জীবনে । আমিও হেসেছিলাম ।আমিও ও ভসেছিলাম । মেতেছিলাম উল্লাসে ।বুঝি ভোর হ’লো । এখন ই হাসবে সূর্য্ তারপরে ই চাঁদ । এখন জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি - আকাশ জুড়ে ‘ডিনার প্লেট ‘ এর মত চাঁদ । হ্যাঁ , খবর পাঠক এমন ভাবে ই বলেছিলেন ।

কেমন কাটলো তোমার ইদ? খুব শখ , একবার ঈদের সময়ে দেশে যাব ।সে সুযোগ আর হলো কোথায় ! এখানে ঈদ মানেই অন্য যে কোন একটি দিন । অফিস আদালত স্কুল কলেজ সব নিয়ম মাফিক ই চলে । তবে হ্যাঁ , ধর্মীয় কারণে ছুটি চাইলে যে পাওয়া যায় না তা কিন্তু না । কিন্তু ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে কি হয় তা তো তুমি জানই । একটু আগে থেকে না জানালে ছুটি পাওয়া কঠিন । ঠিক আগের রাতে ফোন করে বললে কি আর হয় ! তাই অনেকে ইচ্ছা থাকলে ও ছুটি নিতে পারে না । এ নিয়ে বিড়াম্বনার ও শেষ নেই ।সে যা ই হোক । আমি মসজিদে গিয়েছিলাম । আমার বাসা থেক খুবই কাছে । প্রতিটি মোড়ে মোড়েই যে বিশাল বিশাল মসজিদ আছে তা নয় । তবে ঈদের জামাত বলতে গেলে মোড়ে মোড়ে ই হয় । কমিউনিটি সেন্টার , সিভিক হল, জিম, পার্ক্ আনেক কিছুই ব্যাবহার করা হয় মসজিদ হিসাবে ।সরকার থেকে পুলিশ মোতায়নের ও ব্যাবস্থা করা হয় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ।সকালে দু তিনটি জামাত হয় । আমি দ্বিতীয় জামাতে গিয়েছিলাম । কত বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মিলন মেলা । ভালোই লেগেছিল ।দেশে কখনো ঈদের জামাতে যেতাম না । এখানে যাই ভালো লাগে । তবে দেশে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যেতাম ।সে সুযোগ এখানে নেই । বন্ধু বান্ধবদের নিয়েই জীবন এখানে । বেশীর ভাগ মানুষ ই নামাজ শেষ করে নিজ নিজ কাজে চলে যায় । ছুটির দিনগুলোতে ঈদ পূণর্মিলনী করে দুধের সাধ ঘোলে মিটায় ।

আমি ঠিকই ঘুরতে বের হয়েছিলাম । হালকা রং এর একটি কোটা শাড়ি আর হালকা গহনায় সেজেছিলাম ।নিজেকেই কেমন হালকা হালকা মনে হচ্ছিল । উহ! সবাই এত দূরে দূরে থাকে ! আর যেখানেই যাই একই প্রসংগ , গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ ।তোমার মনে আছে ২০০১ সালের কথা ? আজ থেকে ৯ বছর আগে মুসলমান নামধারী কিছু সন্ত্রাসী আমেরিকার প্রাণ কেন্দ্রের সেই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিল । সাথে সাথে কত হাজার হাজার মানুষের জীবন ও । আজ তার ই আশে পাশে এই মসজিদ আর মুসলিম কালচারাল সেন্টার নিয়ে যত তর্ক্ বিতর্ক্ ।আমেরিকাতে এমন ঘটনা বিরল ।মানুষের মাঝে জমে ছিল এত ঘৃণা ! এত ভয় ! ওখানে তো মসজিদ ছিলই । একটি বিরাট কাপড়ের দোকানকে মসজিদ হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছিল । এখন ওটাকে বড় করা হবে । সাথে একটি কালচারাল সেন্টার । মুসালম সংস্কৃতির চর্চা ও প্রতিফলণ হবে । ১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট ।তা নিয়ে কেন এত হৈ চৈ ! এটা কি শুধুই একটি অজুহাত নয় ?পুন্জিঞভূত ঘৃণাকে বের করে দেবার এ একটি অজুহাত ও একটি সুযোগ । তা যা বলছিলাম । নানাজনে নানা কথা বলছিল ।অনেকে ই মনে করছে -- এখন মুসলসানদের উচিত হবে সরে দাঁড়াণো । পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা যে তারা শান্তি প্রিয় জাতি ।অনেকে আবার ল্জ্জা আর ভয়ে একাকার । এই বুঝি মুসলমানদের কপাল পুড়লো । খেয়ে পড়ে শান্তিতে আছে এখানে । তা আর হবে না ।আমি ভেবে পাই না এত হীন মণ্যতা কেন ? এটা তো পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশ নয় । এটা আমেরিকা । সব ধর্মের স্বাধীনতার ভিত্তিতেই তৈরী হয়েছে এ দেশ ।আমাদেরকে নিজেদের হীণ মন্যতা বোধ থেকে বের হয়ে আসতে হবে । আরো আগেই মুসলিম সমাজের মাথা উঁচু করে কথা বলা উচিত ছিল । উচিত ছিল - সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করা এবং নিজেদের স্বরুপ প্রকাশ করা । এখানকার মুসলমান রা ও আর সবার মতই আমেরিকান । ভালোবাসে এ দেশকে । এ দেশের অর্থনীতি ,অগ্রগতি তথা উন্নতি তে ভূমিকা রাখছে । নিজেদের কে আশ্রিত মনে করার কোন ই কারণ নেই ।তুমি হয়তো বলবে, মুসলমান রা আদৌ করেছে কি না তার নেই ঠিক । অত গভীর আলোচনায় এখন নাই বা গেলাম! সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত এটাই জানে । সেদিন আটলান্টার একটি খবরের কাগজে পড়লাম - ক্যাথলিন পার্কার , আমার খুব প্রিয় একজন কলামিস্ট ,সমস্ত আমেরিকানদের হয়ে ক্ষমা চাইছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে । প্রেসিডেন্ট ওবামার মত এ কলামিস্ট ও জোর গলায় বলেছেন অন্য যে কোন ধর্মাবলম্বীদের মত মুসলমানদের ও অধিকার আছে প্রার্থনা করবার । তা যে কোন সময়ে এবং যে কোন স্থানে ।ঘৃণা প্রকাশ করেছেন কোরাণ পোড়াণোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কে । আমার কি মনে হয় জানো? মনে হয় - এই মসজিদ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হবে মুসলমানদের অধিকার । যেমন করে হয়েছিল আমেরিকান কালোদের ।যাদের কে একদিন ‘নিগ্রো’ বলে পায়ে ঠেলা হ’তো । এমন কি ভোট দেবার অধিকার ও ছিল না যাদের । দেখ , আজ তাঁরা কোথায় চলে এসেছে ।বারাক ওবামার দিকে তাকিয়ে দেখ । একদিন আমরা ও । শুধু দরকার একতা -- দশের লাঠি একের বোঝা । কি তোমার মনে হচ্ছে - আমি শুধু স্বপ্নই দেখি । পাহাড়ে ওঠার । ঐ যে একবার সিলেটে গিয়ে তুমি বলেছিলে - ‘তুমি তো শুধু পাহাড়ে ই উঠতে চাও ‘ । কি ভেবে কেন যে তুমি বলেছিলে জানি না । তবে আমার সব উদ্যম নস্ট হযে গিয়েছিল ।সেই পাহাড়ে আর আমার ওঠা হয়নি । কোন পাহাড়েই আমি আর উঠি নি । পাহাড় আমাকে অতটা আকর্ষণ্ ও করেনা । আমাকে টানে সমুদ্র। । সমুদ্রের বিশালতা ।তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানো, কখনো কখনো এই সমুদ্রকে ও মনে হয়েছে - কত ছোট । কী জানি , আমার ভিতরে তখন কিসের এত বিশালতা ছিল - কষ্টের , যন্ত্রণার না পাওয়ার না কি হাহাকার ! মুক্তির হাহাকার ! জানি না । তবে খুব শখ । একদিন । শুধু একদিন তোমাকে নিয়ে আমি দাঁড়াব আটলান্টিকের পাড়ে । দেখব কী বলে আটলান্টিক আমাকে । কতটা বিশাল , কতটা উচ্ছ্বল হয়ে সে আসে আমার কাছে । এক একটি ঢেউ কি ঐশ্বর্য্য এনে লুটিয়ে দেয় আমার পায়ে। শুধু একদিন শুধুই একদিন ।

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবি বারের পরে যে সোমবারটি আসে সেদিন হলো ছুটির দিন । পুরো উইকেন্ডকেই বলা হয় লেবার ডে উইক এন্ড । একসাথে তিন দিন ছুটি । মানুষ পাগলের মত বীচে বা সমুদ্র সৈকতে যায় ।এর পর ই এস যাবে শীতের আমেজ । পানিতে নামা যাবে না । দুপুরের কড়া রোদে চিত হয়ে বালুতে শুয়ে শুয়ে সূর্য় পোড়া রোদ মাখে সারা গায়ে ।জ্বলে যায় পুড়ে যায় সব জ্বালা যন্ত্রণা ।সেই অন্গার সমুদ্রের জ্বলে ধুয়ে যেন এক শুদ্ধতম নতুন জীবন নিয়ে ফিরে আসে সবাই। এসেই আবার নতুন উদ্যমে লেগে যাওয়া কাজে ।প্রায় তিন মাস গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আবার স্কুলে ফেরে ছেলেমেয়েরা । দোকানে দোকানে ব্যাক টু স্কুল সেল বা মূল্যছাড় । কেনাকাটার ধুম পড়ে যায় । পুরো একটি সপ্তাহ কাপড় চোপড় সহ স্কুলের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিনা ট্যক্সেই কেনা যায ।এখানকার অর্থনীতির এই গতি অসাধারণ । এরা জানে- কিভাবে মানুষকে দিযে খরচ করিয়ে নিতে হবে । মানুষ ও করছে । ঘুরছে অর্থনীতির চাকা । স্কুলের পালা শেষ হতে না হতেই আসে নতুন পর্ব্ । নতুন সাজে এখন আমেরিকা ।হ্যালুইনের সাজে ।বিক্রি হচ্ছে হ্যালুইনের বিচিত্র সব পোষাক, মুখোশ, বেশ ভূষা আর ক্যান্ডি ।

৩১ শে অক্টোবর উদৃযাপিত হয় এ অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হ্যালুইন । এখন মূলত বাচ্চাদের ই উৎসব । ভূত প্রেত পরী পশু পাখি প্রজাপতি কত না সাজে সাজে আমেরিকা ! বাচ্চারা এমন অদভুত সব সেজে সেজে যায় বাড়ি বাড়ি, বা শপিং সেন্টারে ক্যান্ডি সংগ্রহ করতে ঠিক যেমন ছোটবেলায় ঈদের দিনে আমরা দল বেঁধে যেতাম পাড়ার সব বাড়িতে তেমনই । উচ্ছ্বাস ও আনন্দ ।এখানে এটাকে বলা হয় -’ ট্রিক অর ট্রিট ’। কেউ ওদের খালি হাতে ফেরায় না ! অমন্গল হবে যে ! একান্তই যদি কেউ ভুলে যায় ক্যান্ডি কিনতে - বাড়ির সব আলো বন্ধ করে রাখে । ওরা আসে না । প্রথমবার আমি তাই করেছিলাম । প্রথমত: ক্যান্ডি কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম এবং দ্বিতীয়ত : এটা আমার মন:পুত কোন অনুষ্ঠান ছিল না । আমি পছন্দ করি বা না করি , এটা এখন আমেরিকার সংস্কৃতি হয়ে গিয়েছে । এমনকি খৃষ্টান ধর্মের একটি অংশ বললে ও ভুল হবে না । যদি ও এ সংস্কৃতি এসেছে আইরিশদের কাছ থেকে । বছরের এই একটি দিনকে ওরা বেছে নেয় । বিশ্বাস করে যে প্রেতাত্মারা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য ওপার থেকে আসেন এপারে । । সাথে করে নিয়ে যান সব অমন্গল । তাই তো এমন সব ভৌতিক আর কাল্পনিক সাজ গোজ । সব দেশের ই পরীর সাজ এক রকম , ভূতের সেই বিভীষিকাময় চেহারা ।আর মানুষের অদৃশ্য জগতের প্রতি ভীতি ও একই রকম ।বাজারে ক্যান্ডি কেনার হিড়িক দেখলে তুমি বুঝতে । মানুষ পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন - কত অসহায় মনে করে নিজেকে । নিজের ও পরিবারের অমন্গলের ঝুঁকি কেউই নিতে চায় না । আমরা শুধু ভাবি আমাদের দেশের দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষই কুসংসাকারে বিশ্বাস করে আর ওরাই শুধু এখনো অন্ধকারে আছে । আমি এখনো প্রভাবিত হইনি । ক্যান্ডি দু একবার কিনেছি ঠিকই - দোকান ভর্তি এত থরে থরে সাজানো বাহারি সব ক্যান্ডি- কিনতে কার না ইচ্ছে করে বল । ঐ পর্য়ন্ত ই । বিলানো হয়নি কখনো । আলো বন্ধ ছিল ।প্রেতাত্মা অভিশাপ দিবে এ ভয়ে নয় ।খালি হাতে ফিরে গেলে বাচ্চাগুলোর মন খারাপ হয়ে যাবে এ ভয়ে । তবে কতদিন য়ে পারব বলা মুশকিল । মেয়ে বড় হচ্ছে । তখন ওর মন খারাপ হবার ভযে কি করব জানি না । ভাববো এটা নিয়ে । তোমার কি মনে হয় ? কি করা উচিত ? ভূত প্রেত এগুলো মিথ্যা - এটা শুধু ক্যান্ডি কুড়াণোর দিন এটা বললে কি কোন লাভ হবে ? না , এটা নিয়ে আসলেই আমাকে একটু গবেষণা করতে হবে । অবশ্য এখন বলতে গেলে এটা শুধুই একটি ’ফান ডে’ । গতবার ২০০৮ এ প্রেসিডেন্ট ওবামা ইলেকশনের এত ব্যাস্ততার মাঝে ও অক্টোবরের শেষ দিনটিতে ছোট মেয়ে শাশার হাত ধরে পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন ক্যান্ডি সংগ্রহ করতে । । মেয়ের যে কি আনন্দ । হাঁটছে তো না যেন চন্চ্ঞল এক হরিণী লাফিয়ে লাফিয়ে পথ পেরোচ্ছে বাবার হাত ধরে । নভেম্বরে ই প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে । সব কাজ ছেড়ে বাবা এসেছে শুধু তার ই জন্য ।টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখার পর আমার বুকটা ভরে গেল । আমি দেখলাম একজন সত্যিকারের বাবা । যে নিজের সন্তানের জন্য ভালো বাবা হতে পারে না সে কিভাবে হবে একজন পরিপূর্ণ্ মানুষ !কিভাবে নেতৃত্ব দিবে আমেরিকার তথা সারা পৃথিবীর ।

আমরা কি আমাদের দেশের নেতা নেতৃদের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখি
? সে ব্যক্তি জীবনে কতটা সফল ?কতটা দায়িত্বশীল, সহানুভূতিশীল , কতটা নির্ভরযোগ্য ও কতটা অনুসরণ যোগ্য ?

অনেক কিছু লিখে ফেললাম ।তুমিও নিশচয়ই এই এস. এম .এস.আর টেকস্ট মেসেজের যুগে এমন লম্বা চিঠি পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছ । ভালো থেকো ।


আটলান্টা
২২ সেপ্টেমবর, ২০১০ ।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×