somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মের মহাসড়ক আর কবিতা গাওয়া ব্যক্তির স্তুতি....

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জীবন একটা মহাসড়ক বটে।পণ্য চলাচলের জন্য মহাসড়ক আছে ।আছে ধর্মের ও মহাসড়ক। কি ধর্ম সেটা পরে বিবেচ্য। কর্ম ধর্ম সবার উপরে নাকি থাকে কিন্তু কি কর্মে ধর্ম হবে সেটাই বড় কথা।চোর,ডাকাত,খারাপ-ভাল সবাই সবার মত ধর্ম কর্ম করে ।লালন এর কথা- সময় গেলে নাকি সাধন হয় না।তবে এখানে হয় ,এদেশে হয় ।এ বছর না হলে পরের বছর ,পরের বছর না হলে তার পরের বছর ,সে বছর না হলে তারও পরের বছর কোন সমস্যা নেই।সময় এখানে বয়ে যায় না ।স্থিরতাই বুঝি পরম ধর্ম।উন্নয়নের জন্য নাকি যোগাযোগ ব্যবস্থা এক অত্যাবশকীয় শর্ত।সে দেশটা সড়ক পথকে প্রাধান্য দিল।নৌ-রেল বিকল হয়ে গেল।এত প্রাধান্য দিতে গিয়ে সে সড়ক হযে উঠল গলার কাঁটা ,মরণ ফাঁদ।আর এখন রমজান মাস ,রমজান এলে এদেশে সংযমের বদলে যমদূত নামে।মন্ত্রী -শান্ত্রীরা হয়ত ক্যামেরা ,সুটেড বুটেড হয়ে দৌড় ঝাঁপ করবে ধর্মের মহাসড়কে।ধর্ম যেমন মনুষ্য চেতনে অচলায়তন সৃষ্টি করে ঠিক তেমনি সড়ক-মহাসড়ক গুলো অচল হয়ে উঠে।আর তাতে আমজনতার নাভিশ্বাস উঠে।উচিলার কোন শেষ নেই।কিন্তু তাদের এই কর্মের ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবেন না।গলা চেপে ধরবে আছে নানা আইন কানুন।অনলাইনে ও কিছু লিখতে গেলে ডর লাগে।পাছে শান্ত্রীরা এসে বলে হুঁশিয়ার!! এইতো কিছুক্ষণ আগে আমার এক পরিচিত পেশাদারি জায়গায় তার কান্নার যেন কোন শেষ নেই।চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়গিয়ে তার একটা ভাল চাকরির ভাইভা দেয়ার কথা ।আর তাতে সর্বনাশটা হয়ে গলে ।এককালে ৫ ঘন্টার যাত্রা ১২ ঘন্টা লাগল ফলাফল যা হওয়ার তাই হল।গত ৭-৮ বছর ধরে এই মহাসড়কের কথা বলতে বলতে মানুষের গলা শুকিয়ে যাওয়ার জোগাড়। কি দূভোগ এর সড়ক বটে।ভাঙা চোরা ,শ্ৃঙ্খলাহীন ,যানজট,যত্রত্ত্র পার্কিং কি অরাজকতা বলে বোঝানো যাবে না।২০১০ এর দিকে আমি ও এরকম একটা যন্ত্রণার মধ্যে পড়েছিলাম।চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ বাসস্টেশন থেকে বাসে উঠেছি রাত ১১.৩০ মিনিটে আর সকাল ৭.০০টা বাজে তখন ও আমি সীতাকুন্ড পার হতে পারিনি।কি অসহ্য যন্ত্রণার ভেতর আমাকে পড়তে হয়েছে! শুধু দু-একটা ঘটনা নয় অহরহ মানুষের নানা স্বপন মরে যাচ্ছে এই মহাসড়কের অরাজকতাকে কেন্দ্র করে এটা হল উন্নয়নের অরাজকতা।মানুূষ নানা কাজে বিপদে আপদে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়ায় জীবনের তাগিদে।আর তাগিদের নাম হল তাগাদা ।কে কাকে তাগাদা দিবে ? এই যন্ত্রণা কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না।আশা আকাঙ্খার এই দোলাচলে আমাদের কষ্টের জীবন শুধুই লম্বাই হতে থাকে।সব মানুষের কি আর দুই একদিন আগে ঢাকা থাকার সার্মথ্য নাও থাকতে পারে ।এর মধ্যে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই।তাহলে কেন? কেন এই কাজ এক দশকে ও শেষ হয় না।কোন বিদেশের উদাহরণ দিতে চাই না।দিনে দিনে হাজার খানিক মাইল অতিক্রম করে কাজ শেষে আর নিজবাসে ফিরে আসব এমন স্বপন্ আমরা দেখি না!! কিন্তু দোহাই কাকে বলব? .......জনাব শান্ত্রী তিনি তো মাঝে মাঝে কবিতা গান ,কবিতা গাওয়ার দায়িত্ব নিয়ে আন্তঠেলাঠেলি সংযোগ নিয়ে ব্যস্ত সাহেব ।আর নিজেদের সংযোগ যে আলগা হয়ে গেছে সেদিকে আর খেয়াল নেই!ঈদ আসলে তার সপ্তাহখানিক দৌড়ঝাঁপ করার জন্য ভাল পুস্টিমান খাবার নিয়ে হয়ত মাঠে নামবেন তিনি।বর্ষার জলে একাকার হবেন ,কাদামাখা রাস্তায় শুভ্র পরিহিত হয়ে আবেগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।তাতে কি লাভ।যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ ।রাবণদের অত্যাচারের কাহিনী দশকের পর দশক চলছেই ...।কোন নিস্তার নেই।ঘাঁট হয়েছে এবার পরিত্রাণ চাই।নিজেদের এতটুকুন আত্মসম্মান বোধ থাকলে আমাদের রেহাই দেন।আর মানুষকেও তার আকাঙ্খা গুলো এভাবে মাটি হবার বেড়া তৈরী না করে তাদের মুক্তি দেন।এটাই কামনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×