somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুঁদা পুয়া (দীর্ঘ স্ব-আলাপ বিষয়ক) //

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১.
আমি ও কতিপয় পুঁদা পুয়া
’পথ ছেদনকারী’।
মুততে বসতাম কেয়া ঝোঁপের পাশে
অমনি বর্ষা হয়ে যেত,কেয়াবনে ফুল ফুটত।
সাধারণ বিজ্ঞান বলে,চোদাচুদি ছাড়া ফুল ক্যামনে ফোটে?
আমি ও কতিপয় বন্ধু ভীষণ রকম বদ ছিলাম!
যেদিকেই তাকাতাম এক্কেবারে শেষ, ইমোশনাল লুক দিয়ে শেষ করে দিতাম!
রবীন্দ্রনাথ হুক্কা টানতেন,জীবনানন্দ কেন কুয়াশা খাইতেন
সাহসী বিভূতি রাত একটার পর কেমনে আরণ্যকের বনে
মেটাফিজিক্সের ভুত-পরীর কাছে ধরা খাইলেন: এইসব।
ভয়ানক ইমোশনাল পুঁদা পুয়া ছিলাম আমি ও কতিপয়।
আমাদের দেখে বৃক্ষরা পালাই যেত,পাখিরা উড়াল দিত
ঘাসেরা মুখে মাক্সপড়ে নিত
ভীষণ ভয় পেত!এরকম ভয়ের ভুতের রাতে খরানার শাদা শাদা রাস্তায় লুঙ্গি তুলে দৌড়ায়ছিলাম।
আমরা কতিপয় আসলে কোনকিছুই মানতাম না।
না সমাজ,না রাষ্ট্র,না ধর্ম কোন কিছুই মানতাম না।
’চোদানির পুয়া’ বলে শুধু দৌড়াইতাম।
’মেনে নাও’ এমন কিছুর সর্বোচ্চ বিরোধিতা করতাম।
নতুন দৃষ্টিভঙ্গি,নতুন পৃথিবী,নতুন ভাবনার বিস্তার বাড়াইতাম খালের পাশে বইসা বইসা..।
যদি কখনো কিঞ্চিৎ বিরতি হইত তাইলে বৃক্ষরা অস্থির হইত,পাখিরা উইড়্যা চইল্যা আসত বাহুর কাছে
নদীরা উতলা হইয়া পাড় ভিজায় দিত
বাবলা পাতা কিলবিল করত
মাঝির হাত অবশ হয়ে যাইত
নৌকা উল্টায় যাইত।
জোছনার উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে যাইত মেঘেরা আঁচল দিয়া তারে ঘিইরা রাখত।
পূর্ণিমার রাইতে খোলা জমিতে গু ছাড়তে বইস্যা প্রথম ধরা খাইছিলাম রাতচরা পাখির হাতে
সেই থিইক্যা
হাগা ছাইড়া দিছি….।
কিন্তু শেষ ধরা খাইলাম পড়ন্ত বিকালে এক মাজারে নারীর কান্নার আওয়াজে
বিভূতির মতোন কি ধরা খাইলাম!
নারী এতো কাঁদতে পারে!এতো এতো আরশ কেঁপে উঠছিল মনে হয়।
সেই থেকে পীরের পুন মারতে মারতে রক্ত বের করে ফেলছিলাম!
কারণ এভাবে সম্ভ্রম হারাতো হতাশাশ্রয়ী নারীরা।
তবু আমি ও কতিপয়ের মি ও মিনস পোদারামি আরো বাড়াইতে লাগলাম…
’ইফ’পাইলেই হইত।দীর্ঘপথের এক বিরামহীন যাত্রার মতোন।
ইমোশনাল আর নিঠুর বাস্তবতার ফারাক তখনো বুঝতে পারি নাই।
ইমোশনাল মানুষ এক ফালতু বাজে মানুষ।
এরা সমাজের কলঙ্ক,পরিবারের বোঝা,রাষ্ট্রের উচ্ছিষ্ট প্রকৃতির মরা গোরু।
যারা মেনে নিয়েছে তারা কোনমতে টিকে আছে!
নিঃশ্বাস ফেলছে;’মরি নাই’বলে ইখারে সংকেত পাঠায়।
যারা পুরাই মাইন্যা নিতে পারছে তাদেরো নতুন দৃষ্টি জেগেছে…নবরুপের দৃষ্টি।
চাকচিক্য শানশওকত,দান খয়রাতের প্লেটে ছেড়ে দেয়ার কৃষ্টি জেগেছে বহুদুর পর্যন্ত।
সফল … মাথার তেল দিয়ে সিঁথি পরা নোবেল মানুষ।সামাজিক আইকন।সফলতার ভাবুক বিলগেটস।
আমি ও কতিপয় এখনো সেই পুঁদা পুয়া রয়ে গেলাম।
’ক্যানে চলর’ ’বাচি আছস’ বাড়িত ন’যস?
আমি ও কতিপয় যাদুগোপাল ছিলাম!
নন্দনকাননে ফুল দেইখতে দেইখতে একদিন ঝরে পড়ছিলাম
শাঁখের করাতের উঠানে…;
আচমকা শঙ্খের ভেতর খানিকটা সমুদ্রের গজর্ন শুনি।।

২.
আমি ও কতিপয় পুঁদা পুয়া ছিলাম
বন্ধুর মায়ে কইত,কি বালের পোলা বিয়াইলাম সারাদিন ঘরে পইড়্যা থা!
উগগ্যা মাইয়ার লগেও প্রেম করিত ন পারছ?
এক শরতমাধবী বনের রাতে এক নারী কিরুপে হাত স্তনে উঠাই দিল
বিগব্যাং হইয়া গেল!রুপবতী রাত কিরাম পাল্টে গেল!
পরস্পর কিরুপে পাইলাম…পাইলাম…সমস্ত সম্মানে আত্মস্থ করে পাইলাম
সবুজের আড়ালে সবুজ উন্মুক্ত মিলন।
সেই ভূতিরাম অনুভুতি তার মায়েরে কইলে তিনি হাসতে হাসতে ধোঁয়া হইয়া হাওয়াই মিঠাই হইয়া গেল।
নারীর সাথে প্রেমিকার সাথে উদ্ভিজ্জ আলাপ বাড়াই দিলাম।
বাড়া ভাতে ছাই মাইক্কা দিলে পেটে খিদা আলোক হয় তেমনি খিদা বাইড়্যা গেল।
পোলা একদিন তার মায়েরে কয়? বিশ্বে এমন কোন পোলা আছে যে বিয়ার তিনমাসের মইধ্যে বাপ হয়?
মায়ে এবারো হাসতে হাসতে খিল!
শুধু তার বাপের নাম ধইরা ডাক পাড়ে।
মা-বাপের জোড়া।তাদের স্নেহের প্রেমের আস্পর্ধা।
আমরা পলাই যায় নাই।
নারী-প্রেম-প্রেমার্থ-তুলনা-মর্মাথ-মমত্ব কিরুপে পৃথিবীর বুকে বিস্তার হইত
শিল্পের রুপ পাইত সেই মোহময় তর্কবির্তক মহাকাব্যে মিলালাম।
আমি ও কতিপয় প্রকৃতি ও নারীর রুপ আবিষ্কার করলাম নবরুপে
শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়,প্রেমকলাময় যৌনতায় স্নেহের ক্রিয়ালাপে।
সমাজ যেখানে নারীর লইয়া হা-ডু-ডু প্রথা খেলে সেখানে গন্ধমের বালছাল আলাপ ছাইড়া
বিশাল শৈলশ্রেনীতে হারাইলে যেরাম লাগে সেই লইয়া বাঁচতে শুরু করলাম
জীবনরে নতুন জীবন রুপে চিনতে পারলাম।
নারীর শেকড় বটবৃক্ষের মতোন সেই মতেই নারী জগতমতে স্বাধীন
তারে শেকলপড়ার গল্প ঘরে ঘরে শুধু হাহাকার বাড়াইছে,শান্তি সুখ বিলাপকলহ বাড়াইছে…বাড়াইছে…।
আমরা কতিপয় সবসময় বাড়বাড়ন্ত,প্রথাবিমুখ
’মেনে নাও’কে তুড়ি মেরেছি সর্বোত্তম মানবিকতার স্বার্থের ভেতর।
রঙিন আলোকে শেঁকেছি আলোক ছাঁচ দিয়েই;আবেগ দিয়েই।আবেগহীন মানেইতো মৃত্যু।

৩.
ছোট ছোট পরিবর্তনকেই পরিবর্তনের সুত্র ভাবছি
পাল্টাবতো নিজেকেই,অন্ধত্ব রুখে দেয়ার মত নিজের সততাই বিপ্লব ভাবছি।
এইযে তোমাদের মতোন যারা ডেকেছো,বলেছো---পুঁদা পুয়া,ফালতু,থার্ডক্লাস,ভোদাই,বাল
দেখো দেখো কতো সুন্দর চোখ নিয়া চারপাশ সুন্দর কইরা লই!
একখান দীঘি যে মানুষ এপাড় থেকে এপাড়ে জীবনরে শেষ করেছে
বনের বন্দি পশুর মতোন,না পাইনি কোনদিন মনুষ্যত্বের আলোক;
অন্ধকার চক্রেই জৈবচক্রের মতোন ধাপ গুনেগেছে…
শিখেছে তারা কলহ-বিবাদ,হিংসা-অপরাধ,মুখরোচক গীবত!
তারা জীবনে শুনেনি পাখির গান, দেখেনি বৃক্ষের ধ্যান,বুঝেনি জলের প্রাণ
স্বাদ পায়নি…পায়নি…!
তারা গোসল করে সাফ হওয়ার জন্য
সাবান লাগায় পরিষ্কার হওয়ার জন্য
প্রতিবারই কাঁদা লাগায়। … হৃদয় বৃত্তি তার সহজে আসে না।
সমাজ সংসার রাষ্ট্র করে একাকার…. নিরাকার…সহজাকার…মূর্তকার….মূর্তহীন
পাইনাকো আলোকের খুব কাছের আঙুলের ফাকে থাকা সহজ সন্ধান!
কতিপয় পুঁদা পুয়া বিষয়ক কিছুই না…যা খুব নগণ্য সহজ করে পাওয়া।।














সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×