দেশপ্রেম যে একটা অসুখ –
এমনটা বললে যে কেউ একজন আরেকজনকে দেশদ্রোহী ঘোষনা করতে পারে।এখানে আজকাল দেশদ্রোহী ঘোষণা করা মুড়ি খাওয়ার মতোন্ ব্যাপার।তবু বলতে হয়,আজকাল ইঙ্গিতপূর্ণ কথা কেউ বুঝে না।কাপড় খোলার মতোন খুলে বলতে হয়।
এই যে এখন রাষ্ট্রে যে লুটপাট চলছে তা কিন্তু এই দেশপ্রেম দিয়েই চলতেছে!দুনিয়াটা ছোট আবার খুব ছোট নয়।একেক দেশের মানুষের একেক রকম ভাবনা।এই ধরুন-পশ্চিমা বিশ্বে দেশের পতাকা দিয়া জামা কাপড় জুতা মোজা ব্রা পেন্টি জাইঙ্গা সব বানায়।ওরা দেদারসে তা পরিধান করে।কিন্তু এটার সাথে দেশপ্রেমের সম্পর্ক তারা খুঁজে পায় না।এই যে খুঁজে পাই না তার মানে কি মনে করেন তাদের দেশপ্রেম নাই।তারা কি রাষ্ট্র দেশ এসব বোঝ না।বোঝে না আচার বিচার কালচার। বোঝে না।
বাংলাদেশেও কামিজ টিশার্ট রাষ্ট্রীয় পতাকার রঙে চলে।কিন্তু জুতা মোজা ব্রা জাইঙ্গা তে চলে না।কাপড় তে কাপড়ই।প্রতীক প্রতীকই।কামিজে চালাইতে পারেন।শার্টে চালাইতে পারেন অন্যকোথাও চালালে অপরাধ।এই যে বিচারকরা আপনাদের বিচার ঠিক আছে তো?আপনাদের দেশপ্রেম রাষ্ট্রীয় আকাঙ্খা ঠিক আছে তো??
পতাকা কি? স্রেফ একটা পরিচিত চিহৃ বা প্রতীকমাত্র।
এটাকে খুব সরলভাবে ব্যাখা করার প্রয়োজন নাই।ওই যে বললাম দেশপ্রেম একটা অসুখ!কে কারে কেমনে অসুখে ধরে কে বলতে পারে?? দুনিয়ার শুরুতে রাষ্ট্র ছিল না।এখন শত শত রাষ্ট্র।পাঁচশবছর পর এই রাষ্ট্র বলে কিছু নাও থাকতে পারে।দুনিয়াটা তখন একটা রাষ্ট্র হবে- এমনটা অমূলক নয়।যেখানে সীমানাবিহীন,পাসর্পোট বিহীন রাষ্ট্রবিহীন চেতনা মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেছে।
রাষ্ট্র – একটা বৈষম্য।এখানে সব নাগরিক কখনো সমান মর্যাদা পায় না।নানাকারণে মানুষ বিরাগভাজন হয়।এই যে হয় তার পেছনে একটা কারণ থাকে।কারণ ছাড়া কোন কিছু নাই।
বাংলাদেশের কোন জায়গায় নাকি এক নাগরিক জাতীয় পতাকা হাতে নিয়া স্যান্ডেল দিয়া পিটাইতেছে –আর এমন ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।সবাই এর ফাঁসি চাচ্ছে।
আজ পটিয়া থেকে এটা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে – বঙ্গবন্ধুর ছবি ডাস্টবিনে এবং তার দলের হাতেই বঙ্গবন্ধুর এই পরিণতি হয়েছে।যেমনটা হয়েছে পঁচাত্তরে তার নিজ দলের আস্থাভাজন মানুষের হাতে।বঙ্গবন্ধুর করুণ পরিণতি।
দেশপ্রেম যে একটা অসুখ—পতাকা,সার্বভৌমত্ব,মানচিত্র, সংবিধান এসব রাষ্ট্রীয় বিচার বড় হলেও নাগরিক বিচারে আর দুনিয়ার তামাম মানবতার বিচারে খুব বড় নয়।
দুনিয়ায় চরম পরম বলে কিছু নেই।সবই আপেক্ষিক।
রাষ্ট্রও তাই।
রাষ্ট্র ও আপেক্ষিক।
তাই কোনকিছুকে চরম জায়গা থেকে ভাবতে নাই।
চরম কখনো মৌলবাদ নয়।
চরমত্ব কখনো কখনো আকাঙ্খা।উৎকর্ষতার বিচার।ঠিক তেমনি নিকৃষ্ট ও বটে।চরমত্ব মানুষকে পিছিয়ে দিতে পারে।চরমত্ব মানুষকে ভয়ানক অসুখের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
যারা ফাঁসি চাচ্ছেন।জেল চাচ্ছেন।পুলিশ চাচ্ছেন।বিচার চাচ্ছেন---
আগে বুঝুন
আপনি কেন চাচ্ছেন? সেটা আপনার কোন অসুখ কিনা?
অথবা যে করেছে তার অসুস্থটা কোন জায়গায়।তার সেরে উঠার পাথেয় হতে পারে মেডিকেল সবোর্চ্চ বিচারে।কোন অবস্থাতেই জেলখানায় নয়।
আর কয়টা জেলখানা আপনাদের দরকার?আর কতো ফাঁসি আপনাদের দরকার? ফাঁসি তো দিচ্ছেন স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অপরাধ কমাইতে পারতেছেন??
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩