somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচারব্যবস্থা ও আদালত বাংলাদেশের সবচেয়ে অন্যতম বড় দূনীর্তির প্লাটফর্ম ----

২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ বিচারক,বিচারপতি চরম দূনীর্তিগ্রস্ত আর কোর্ট কর্মচারীর ১০০ ভাগেই দূর্নীতিগ্রস্ত।
-
এদের বিরুদ্ধে কেন কথা বলা যাবে না? বিচারক বিচারপতি কোট কর্মচারী – সবাই পাবলিক সার্ভেন্ট।এরা পাবলিক সার্ভেন্ট হওয়ার সাথে সাথেই শোষকের ভূমিকা নেয়।পাবলিক সার্ভেন্টরা আর মানুষ থাকে না।বনের পশুর চেয়ে ভয়ানক এরা।দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়াই তো তার চলে,তাদের পরিবার চলে,তার সন্তান সন্তন্তিরা খেয়ে দেয়ে পুষ্টি পায়।পাবলিক সার্ভেন্টর নামে রাষ্ট্র তাদের এইভাবে গ্রাস করার লাইসেন্স দিছে!কেন এইভাবে লুটেপুটে মানুষকে শোষণ করবে?।কিসের বালের মানবিক মর্যাদা এই বালছাল আইন আদালতের।এই আদালত এই বিচারাঙ্গন এই বিচারব্যবস্থা দিযে ১৭ কোটি মানুষের যন্ত্রণা বাড়াইবার কি দরকার?
-

সুপ্রিম কোর্ট মানে উঁচু স্তরের দুণর্তিখোর,হাইকোর্ট মানে তার নিচুস্তরের দূনীর্তিখোর।খোরগিরি চলছেই সর্বত্র।তারা যখন মানবাধিকার মারায়,তারা যখন নৈয়ায়িক পরামর্শ মারায় খুব করুণা করতে ইচ্ছে হয়। কবার নিজের বিবেকরে প্রশ্ন করে দেখেন, এদেশে একজন মানুষের জন্য কয়জন ঘুষহীন বিচারক আর কোর্ট কর্মচারী আছেন!!
-

ভাবলে আদালতের মারে মু দিয়ে যাবেন!অবস্থা এখন এই লেভেলে এসে ঠেকেছে-আপনি খুন করতে দ্বিধা করবেন না কিন্তু আদালতে যেতে দ্বিধা করবেন।তার উপর রয়েছে মাটামোথা আইনজীবী সম্প্রদায়।দেশের ১৭কোটি মানুষের জন্য মাথাপিছু কজন আইনজীবী আছে??বেশিরভাগেই সাংস্কৃতিক চেতনাহীন।দু-চার পাঁচজন বিবেকবান দিয়া কি বিচার করবেন এই শ্রেনীর?কিন্তু তারা ও দেখছি এক একজন বড় কংক্রিট।আদালতের প্রতিটি ইটের মাটিতে গ্রথিত আছে লাখো মানুষের নির্মমতা,গ্লানি,যন্ত্রণা,বিচারহীনতার ক্ষোভ।আদালত প্রাঙ্গন আপনাকে আরো অপরাধ করার প্রবণতার জন্য উৎসাহ দেয়।উৎসাহ না দিলে বারবার কেন আসবেন?কেন সর্বস্ব হারায়ে নিজেরে প্রতিষ্ঠিত করবেন!জীবনে মরার আগে পুর্নবার মরতে চাইলে আদালতে আসেন!
-
এই যে দিনেশেষে আপনাকে এখানে আসতে হবে-সেই সুযোগ সবাই নিচ্ছে।অথচ বিপদে –ভুক্তভোগীদের সাহায্য করাই ব্রতো।তা না করে বিপদকে সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করে শোষণকে বিস্তৃত করছে এই দেশের বিচারব্যবস্থা।অনেকেই বলেন সভ্যদেশের অনেক কিছু নিয়ে কথা বলা যায় কিন্তু বিচারব্যবস্থা নিযে কথা বলা যায় না।ওরে আহাম্মক সভ্যদেশের অসভ্যকারকরা আপনারা সভ্যতার কথা মুখস্থ শিখেছেন,সভ্য হচ্ছেন মুখস্তবিদ্যা রপ্ত করে।সভ্যদেশের ক্ষেত্রে আপনাদের মূল্যায়নও একই রকম।আপনাদের মতোন সভ্য সভাসদের সংখ্যা বেশি বলেই এই রাষ্ট্রের কোনকিছুই আর সভ্য হওয়ার মুখ দেখছে না।এই রাষ্ট্রের মুখ সবসময় গোমড়া থাকে।এই রাষ্ট্রের মুখে হাসি নেই।আছে শুষে খাওয়া আত্মগরিমার ক্লেদ!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×