“ক্ষ্যাপছে!” বলে সে অশ্লীলভাবে গা দুলিয়ে হাসতে থাকে
“কেন?”
ইবলিশের কথা বলার সময় থুতু ছিটানোর অভ্যাস আছে। তাই একটু দূরে থেকে বাতচিৎ করতে হয়। ফলে পুরো ঘটনা জানা গেল না। তবে যা শুনলাম তাতেই আমার খাবি খাওয়ার যো! ইবলিশের চরিত্র কোন কালেই ভালো ছিল না। চান্স পেলেই হুরপরীদের সাথে টাঙকি মারতে বসে। তো সেদিন সপ্তম আশমানের হেভেনলী কান্ট্রিক্লাবের পিছনের ঝোপটা খালি পেয়ে, ওই আরকি যা হবার তাই। ঈশ্বর আবার ঠিক সেই দিনই ইউরেনাসকে বল বানিয়ে গল্ফ খেলতে গেছেন। পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। মুস্কিল হল ঝোপের মধ্যে কনসেন্সুয়াল সেক্স নিয়ে মোকদ্দমা করা যায় না, তাই ইবলিশ সেযাত্রায় বেচে গেছে । কিন্তু তারপর থেকে মহেশ্বর বড়ই বিচলিত। ঈশ্বর বাই ডিফল্ট সর্বোজ্ঞ । তাদের চিন্তাটিন্তা করতে হয়না । অনভ্যাসের কারনে চিন্তা করার মতো কিছু হলেই তাঁর দাপাদাপি শুরু হয়।
“তো কি নিয়ে চিন্তিতরে ভাই?”
ইবলিশ এবার আরো জোরে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে থাকে, তার ঠোটের কোনা দিয়ে দুফোটা হলুদ রঙের তরল বেরিয়ে আসে, “হালায় যে কিলিব হেইডা ভুইলা গেসিল! এহন কয় ক্যামনে কি!!!”
ইবলিশ এইবার পেটে হাতদিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে হাসে।
হায় হায় ! বলে কি? এতো মহাবিপদের সংকেত, স্বয়ং স্রষ্টা হিম সেল্ফ ইজ আ হিজড়া!
দুনিয়া গোল্লায় যাক, মানুষ মরুক । আপাতত ঈশ্বর নিজের প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে ভাবিত। এই সময় তাকে না বিরক্ত করাই মঙ্গল
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০০৭ রাত ১:৪৯