somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আর রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধের মধ্য দিয়া মানবিকতার মুক্তি ঘটে...

২৩ শে মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধইরা নিলাম মতিউর রহমান নিজামী জীবনে কোন দুর্নীতি করে নাই, বউ-বাচ্চা আর পার্টির পয়সায় এই দেশে রাজনীতি কইরা চলছেন...ধইরা নিলাম বিদ্যমান সমাজ বাস্তবতায় তার আয় ব্যয়ের হিসাব দুর্নীতির আওতায় পরে না...ধইরা নিলাম জামায়াতের সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ধর্ম রক্ষার তাগীদে, দালালী বইলা কোন আচরন তাগো অভিধানে নাই...ধইরা নিলাম সালেহী ভালো ছাত্র তাহের স্যাররে খুন করনের কোন পরিকল্পনা ছিলো না তার...ধইরা নিলাম জামায়াতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি সব তাগো বিরুদ্ধে দাঁড়াইছে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে...তাইলে কি তার বিরুদ্ধে কোন কথা কওন যায় না!? জামায়াত আর শিবির এই দেশে জায়েজ হইয়া যায়!?

মানুষের ইতিহাস কোনকালেই তার ধর্মের ইতিহাস ছিলো না...তার ইতিহাস নির্মিত হইছে অস্তিত্ত্ব রক্ষার নিমিত্তেই...ধর্মও আসছে তার অংশ হিসাবে, ধর্ম আসছে মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে আসা রহস্যময়তা থেইকা। ধর্ম আসছে শোষক শ্রেণীর সুবিধাবাদীতা থেইকা, প্রতারণার অস্ত্র হিসাবে। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলেও তা পাওন যায়...আর তাই ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মদেরও তৎকালীন ধর্মভিত্তিক শাসকগো বিরুদ্ধে বক্তব্য ছিলো...বক্তব্যের আবরণ ছিন্ন কইরা বিধ্বংসী যুদ্ধ ছিলো। মুহাম্মদও পূর্বতন ধর্মগুলিরে একভাবে নাকচ করে...যেহেতু হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্ম সেমেটিক এলাকার বাইরের ধর্ম তাই তার ইতিহাসে এই দুইয়ের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য নাই, খেরেস্তান বা ইহুদী ধর্মরে যেমনে নিজের ধর্মে একীভূত করেন সেইরম কোন সক্রিয়তা নাই হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপারে...

আমরা বুঝতে পারি মুহাম্মদের ভ্রমণাভিজ্ঞতার ব্যাপ্তি আরবীয় অঞ্চলের বাইরে ছিলো না...হায় দরিদ্র মুখাপেক্ষী আরবেরা বড় নৌকার আবিষ্কার করে নাই ক্যানো সবার আগে! নূহের নৌকার পরিকল্পণা তবে কার ছিলো! মুহাম্মদের সদুদ্দেশ্যের প্রতি আমি প্রায়শঃই মোহিত আবেগ ছড়াই। আরবভূমির যথেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে একজন লোক দাঁড়াইতেছে জাইনাই আমার শ্রদ্ধাবোধ প‌্যারামিটারের পারদ উদ্র্ধমূখী হয়...কিন্তু ধর্মের কিছু নিজস্ব চরিত্র আছে...সেইমতোন ধর্ম পুরুষতান্ত্রিক হয়...ধর্মের কিছু দূর্বলতা আছে...সেইমতোন ধর্ম পারলৌকিক প্রবনতা পায়...ধর্মের কিছু সুবিধাবাদীত্ব আছে...সেইমতোন ধর্ম আগ্রাসী হয়।

ধর্মের বিশ্বাসধর্মীতার বিরুদ্ধে যূগে যূগে কালে কালে বিচক্ষণ ব্যক্তিরা দাঁড়াইছেন স্বমহিমায়...কিন্তু রহস্য ভাঙলে মানুষের আবেগের কমতি দেখা দ্যায়...রহস্যের প্রতি বিশ্বস্ততায় মানুষের দায়িত্বের পরিধী কমে...নিস্কৃতি ঘটে অনেক ইহজাগতিকতা থেইকা...আর এই কারনে বিজ্ঞানের সকল কথাই কোরআনে থাকনের পরেও(?) প্রশ্নবিদ্ধ ধার্মিকেরাই কেবল বিজ্ঞানের পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় অংশ নেন...আল কিন্দী আর আল ফারাবী কিম্বা ইবনে সিনাগো আমরা কেবল মুসলিম নামের ব্যবহারেই আসতে দেখি, তাগো কোরআন সম্পর্কীত প্রশ্নমালা গুলি উহ্য থেকে যায়...বিজ্ঞানের বিস্তৃতি কিম্বা প্রযুক্তির বিকাশ দেখতে হয় নাছারা নাস্তিক ভূমিতে...

ধর্ম আসে তার স্বচরিত্রেই...রাষ্ট্রীয় ভাবে যখন ইবনে খালদুন ভাবেন, তখন তার চিন্তায় সাম্যের রাষ্ট্রীয় চিন্তা আসে...ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের কথা তিনি কন না, তার কথায় প্রতিধ্বনিত হয় ব্যক্তির ধর্ম চিন্তার প্রতিফলন...আর এই কারনে ধর্মভিত্তিক শাসকেরা তারে বন্দীত্ব উপহার দ্যান নিয়তঃ...আমরা খালদুনের মুসলিমত্ব টানি কিন্তু তার ইহজাগতিকতারে উপেক্ষা করতে চাই প্রতিনিয়তঃ...

বাংলাদেশের জন্মলগ্নে এই দেশের মানুষরে মোটা দাঁগেই ধর্মের এই বৈশিষ্ঠ্যের মুখামুখি হইতে হইছে...যারা যুদ্ধ করছে তাগো মাথায় ছিলো মুক্তির স্বপ্ন, সমতার স্বপ্ন, স্বাধীনতার স্বপ্ন...আর যুদ্ধের বিরোধীতা করছে যারা তাগো মাথা জুইড়া ছিলো ধর্মীয় পাগড়ি...হয়তো বা নিজামীরা নির্বোধ ছিলেন...হয়তো বা নিজামী অন্ধ ছিলেন...কিন্তু ধর্মের সুবাস আসলে ঐ পথেই টানে মানুষরে। ধর্ম বিশ্বাসী রাজনীতি মানুষরে এমনেই অন্ধত্ব দ্যায়...তারা আর চোখে দেখে না বিশ্বাসের পর্দা সরাইয়া...ধর্মভিত্তিক মানুষ নিয়া আমার প্রশ্নমালা এতোটা কঠোর নয় যদিও, কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আর রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিয়া ইতিহাসে কোথাও কোন ইতিবাচকতা দেখি না...পারলৌকিক লোভ আর লাভের হাতছানি বাদে...

এই দেশে নিজামীরা-সালেহীরা বর্তমানে আমাগো সেই পুরানা অন্ধত্বের রাজনীতির দিকে টানতেছে...যেই রাজনীতি মানুষরে কখনোই প্রশ্ন করনের অধিকার দ্যায় না...যেই রাজনীতি কখনোই জবাবদিহিতার অবকাশ রাখে না...যেই রাজনীতি মানুষরে পশুর মতোন নির্বোধ কইরা রাখনের চেষ্টা করে...যেই রাজনীতি চিরটাকাল শাসক-শোষকের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হইছে...

আসুন নিজামীগো বর্জন করি মানবিকতার মুক্তি লাভের সংগ্রামে!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৭
২৭টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×