কিছুক্ষণ আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন সঙগ্রামের বহুপথ হাটা রাজনৈতিক বন্ধু আর সচলায়তন সদস্য ফারুক ওয়াসিফের লগে কথা হইলো…সে তার সোর্স মারফত খবর পাইছে আসলেই সচলায়াতনের বাংলাদেশ এক্সেস বন্ধ কইরা দেওয়া হইছে…বিটিআরসি’র সেই সোর্স জানাইছে উপরের নির্দেশেই সচলায়তনের এই এক্সেস বন্ধ করা হইছে। আমি ফারুক ওয়াসিফের সাথে বাক্যালাপ করি, সচলের প্রতিবাদী লেখকগো সম্পর্কে খোঁজখবর নেই, কিন্তু আমার মনে পইড়া যায় সেইসব দিনের কথা যখন আমার এক্সেস বন্ধ কইরা দেওয়া হইছিলো সচলায়তন থেইকা…মনে পইড়া যায় তখনো সচলায়তনের বাঘা মডারেটররা কোন জবাব দেওনের প্রয়োজন বোধ করে নাই আমার প্রশ্নের…কোন নোটিশ ছাড়াই তারা সেই সিদ্ধান্ত নিছিলো…
এই দেশে সচলায়তন ব্যান খাওনের সংবাদে আমি তাই খুশি হই! মনে হয় ভালোই তো হইলো, ইতিহাস এমনেই পুনরাবৃত্তি দেখে! কিন্তু আমার বাস্তব চরিত্রতো আসলে এইরম ছিলো না! আমি তো কখনোই নিজ স্বার্থে কোন প্রতিবাদের ক্ষেত্র ছাড়ি নাই! যুদ্ধ কইরা শেষ দেখতে চাইছি যে কোন অন্যায় শাসনের! কিছু দিনের ব্যক্তিগত জীবন চর্চা কি আমারে এতোটাই আচ্ছন্ন কইরা ফেলতে পারলো!? পুঁজিবাদের করালগ্রাস আসলে এমনই হয়…আর তাই ফিরা আসি নিজস্ব চেতনায়…মনে হয় কন্ঠরোধের হুইশেল বাজানো দারোয়ান, সে যেইখানেই থাকুক, তারে নিশ্চিত পরিত্যাজ্য জানি আর মানি।
আমার যেই রিয়েলাইজেশন ছিলো সচলায়তন সম্পর্কীত তারে আরো আকড়াইয়া ধরি…শোভনীয়তার বেড়া দিয়া, মুখোশ পইরা চলা মধ্যবিত্ত আসলে এমনই, তারা কখনো যুক্তি-তর্ক কিম্বা ঝগড়াতে যাইবো না বা যায় না…তারা সোজা অগ্রাহ্য করার নীতিতে থাকে আর তক্কে তক্কে থাকে ক্ষমতা পাওনের…যেই ক্ষমতা তার শত্রুর মুখ বন্ধ কইরা দিতে সহযোগিতা করবো। ঝগড়া হইলে তারা উদাহরণ দিবো ভাগ্যাহত নন-এলিটগো, যারা ঝগড়া করে…যাগো উচ্চস্বরে এলিটিস্ট মধ্যবিত্তগো বিরক্তি লাগে!
এতো কথা কইলাম কারন আমি নিজে কথা কইতে চাই প্রাণ খুইলা…কোনরম চৌকিদারের চোখসম্মুখে লাঠি ঘুরাইন্যা হুমকীর পরোয়া করতে চাই না…আর এই দশা অন্য কারো হোক সেইটাও আদৌ মাইনা নিতে পারি না! তাই অতীতের মতো এখনো প্রতিবাদ করতে চাই! জরুরী অবস্থার নামে মানুষের বাকশক্তি রহিত করনের বিরোধীতা করি! কথা কইতে চাই উচ্চরবে! মনের কথা, প্রাণের কথা!
চলেন সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করি! কথা কওনের অধিকার কাইড়া নেওনের চক্রান্ত রুখি!