somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের মুখোশ উন্মোচন এবং আওয়ামী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিদের মিথ্যাচার

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি ও ই-মেইল অ্যাকাউন্টস এবং কম্পিউটার হ্যাকের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসছে ট্রাইব্যুনালের সাথে ভারতের কানেকশান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে বিদেশে একজনের কথোপকথনের রেকর্ড এবং ই-মেইলের ডকুমেন্টচলে গেছে লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের কাছে।

বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি ও ই-মেইল অ্যাকাউন্টস এবং কম্পিউটার হ্যাক করে দি ইকোনমিস্ট এসব তথ্য হস্তগত করেছে বলে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেছেন।

ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক গতকাল নিজেই বিষয়টি ওপেন কোর্টে প্রকাশ করে একটি আদেশ পাস করেছেন। বিচারপতি নাসিম জানান তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কাছ থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে এবং বিভিন্ন আদেশের সময় সহায়তা নিয়েছেন বিচারপতি নিজামুল হক। সেই জিয়া উদ্দিন হচ্ছেন BORD OF ADVISORS The Indian Campaign on the International Criminal Court.
আর সেই আহমদ জিয়াউদ্দিন থেকেই সহায়তা নিয়েছেন নিজামুল হক।

বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কিনা—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।

ইকনোমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা।

তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন—

‘গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।
.................... আমাদেরও ইয়ে ছিল যে, গোলামকেই প্রায়োরেটি দিতে হবে। সাঈদীর কেসটা খুব লাইট ওয়েট কেস......

.................... সাঈদীর কেসটা ডিফারেন্ট। এই সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশী না। এডা আমাদের দরবারের মতই। ’


১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, ‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’

আওয়ামী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিদের পোষ্ট দেখে মনে হলো, তাদের চোখ নেই কান নেই তারা বোধহীন প্রাণী। এসব নির্বোধ প্রাণীদের কথাশুনে কিছু প্রশ্ন চলে আসে-

=> একজন বিচারপতি গোপনে কারো সাথে আলাপ করতে পারেন কিনা? বিচারকদের আচরনবিধি অনুযায়ী এটা আইন লংঘন করে কিনা?

=> বিচারবিভাগের উপর বিশেষ করে আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় সরকার কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারে কিনা?

=> যেখানে বিচারপতি বলছেন, সাঈদীর মামলার সাথে আইনের কোন সম্পর্ক নাই। সেখানে আবার কিসের বিচার? সেখানে বিচারক আর মাস্তানের মাঝে পার্থক্য কোথায়?

=> কোন মামলার জাজমেন্ট বিচারক ব্যাতিত অন্য কেউ লিখতে পারেন কিনা? অবিটার ডিক্টা বা আদালতের পর্যবেক্ষন কি একজন সিভিলিয়ান লিখতে পারেন কিনা?

=> কোন বিচারক যদি কোন দলীয় আদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হন, তাহলে তিনি বিচারক হিসাবে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন কিনা?


উপরের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে-
..........না
...........না
...........না

কোথায় রুল অব ল' কোথায় আইনের শাসন। যেখানে বলা হয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান?

কোথায় ইকুইটি এন্ড জাস্টিস? যেখানে বলা হয়েছে ন্যায় পরায়নতাই আইনের মুল দর্শন!

জনগনের শেষ আশ্রয় স্থল আদালতে যদি দলীয় সন্ত্রাসী বসানো হয়, তাহলে কোথায় দিয়ে দাঁড়াবে জনগন? যদি বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যায়, তার পরিপ্রেক্ষিতে যে নৈরাজ্য তৈরী হবে, তার দায়ভার ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকারকেই বহন করতে হবে।

এরপর প্রশ্ন আসবে, আইনের কিছু টার্ম উল্লেখ করে কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি এবং ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগের পাচাটা গোলাম, যারা মুলতঃ রাজাকারের বংশধর তাদের কথাগুলো শুনে সাধারন মানুষগুলো বিভ্রান্ত হবে না?

না। সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। তবে ফ্যাসীবাদী স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের পাচাটা গোলামরা মনে মনে সুখ পাইতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ জেনে গেছে আসল সত্য।

যুদ্ধপারাধ ট্রাইবুনাল নামে যে তামাশা চলছে, তাহলো শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম মিথ্যাচার। জামাত শিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে, ভারতের চাপে ভারতের গোলামরা টাইবুনাল নামে ক্যাঙ্গারু কোর্টের আয়োজন করেছে।

কিন্তু মিথ্যাবাদী এবং প্রহসনের এই ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে। রাজপথেই সকল অন্যায় অত্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬
২৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×