শফিকের মনে অনেক দু:খ, এইচ এস সি পরীক্ষায় ফেলের পর ওর গার্লফ্রেন্ড ওকে ছেড়ে চলে গেছে।
যদিও শফিক ফেসবুক এবং আস্তাগফিরুল্লাহ সাইট বাদে ইন্টারনেটের অন্য কোন ইউজ জানে না, তবুও গুতাগুতি করে সে "ব্লু হোয়েল" গেম খেলার ব্যবস্থা করে ফেলল।
বুকের আগুন নেভাতে শফিক একটানা খেলতে লাগল। একদিন গেমের অ্যাডমিন তাকে আদেশ দিল, হাত কেটে তিমি মাছের ছবি আঁকতে হবে।
শফিক নাইন্টি'স কিড; ছোটবেলায় বিটিভিতে ফেরদৌসি আপার মুখে "তিমি মাছের নাম তো জানো, জানো কি তার পরিচয়' গানটা শুনেছে অনেকবার। সেই মাছের চেহারা মনে করে রান্নাঘর থেকে একটা ধারালো ছুরি নিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসল সে। কিছুক্ষণ ইতস্তত করে একটানে হাত কেটে নকশা করার কাজটা সেরে ফেলল।
মেঝেতে রক্ত জমতে শুরু করেছে।
কিন্তু এডমিনকে ছবি পাঠানোর সাথে সাথে ওকে গেইম থেকে ডিসকোয়ালিফাই করে দেয়া হলো। এডমিন ওকে টাকলা ভাষায় ম্যাসেজ পাঠাল, 'shafik tumi kala parana'।
রাগেদু:খে শফিক নিজের হাতে সদ্য আঁকা নকশার দিকে তাকিয়ে উপলব্ধি করল, জিনিসটা মোটেও তিমি মাছের মতো দেখাচ্ছে না। দেখতে বরং অনেকটা সসেজ কিংবা অন্য কিছুর মতো...
তখন শফিকের মনে পড়ল, ছোটবেলায় ড্রয়িং পরীক্ষায় ডাবল জিরো পাওয়ার কথা। এইচ এস সি'র বায়োলজি পরীক্ষাতেও বোধহয় প্রাণিকোষের ছবিটা অন্ডকোষের মতো হয়ে গিয়েছিল...
রাগেদু:খে শফিক ব্লু হুয়েল খেলা বন্ধ করে ঘুমাতে গেল। কারণ ..... ঘুমে থাকলে হিসাব থাকে না।
#উপদেশ: ব্লু হোয়েল খেলার আগে আঁকাআঁকি শিখে নেয়া ভালো।