ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে লাশের পাহাড় তো জমে উঠেছে। তার মধ্যে কমপক্ষে ২৪টি অবোধ শিশুকেও মেরে ফেলা হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা কামান দাগিয়ে আর যুদ্ধবিমানে করে গাজায় বোমা ফেলছে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার ও কনফারেন্স রুমগুলোর ওপর- যেসব বাড়ি হামাসের আদেশ-নির্দেশ দেয়ার আর সভা করার জায়গা। এটা করতে গিয়ে তারা একটি হাসপাতাল আর একটি স্কুলও বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো পটকা নয়, কিংবা সাউন্ড গ্রেনেডও নয়। এগুলো মারণাস্ত্র। বোমা। মানুষ মারার জন্য মারা হয়। মানুষ মরে। অতএব গাজাতেও মানুষ মরেছে, মরছে, আরও মরবে। বোমা হামলা চলছে আসলে নিরস্ত্র অসহায় উন্মূল উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ওপর।এত মারার পরেও ইসরাইল সন্তুষ্ট নয়। এখন স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। আরও আরবকে মারা হবে।
গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ইসরাইলি সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ। রকেটগুলো খুঁজে বের করা। আকাশ থেকে বোমা মেরে তাদের ধ্বংস করাটাই ছিল সবচেয়ে সুবিধার আর আরামের। কিছু হয়তো তথ্য থাকলে সম্ভব, কিন্তু খুঁজে বের করে ধ্বংস করা ছাড়া ইসরাইলের কাছে আর কোনো সামরিক কৌশল নেই। অতএব গাজায় একটি বড়সড় সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা পুরামাত্রায় রয়েছে। কিন্তু সেটা ইসরাইলের জন্য খুব সুখের হবে না।হামাস অপারেশন কাস্ট লিডের সময়ের চেয়ে এবার অনেক বেশি প্রস্তুত বলে বাইরে থেকে মনে হচ্ছে। ইসরাইলের মারকাভা ট্যাংক উড়িয়ে দেয়ার জন্য হামাসের হাতে অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল রয়েছে। সামনাসামনি স্থল যুদ্ধে হামাসের সঙ্গে পেরে ওঠা দুঃসাধ্য। গাজার ফিলিস্তিনিদের কিছুই হারানোর নেই। তারা মরবে, কিন্তু মেরেই মরবে। আর এটাই ইসরাইলের জন্য বিপজ্জনক বার্তা। তাছাড়া স্থল অভিযান খুবই ব্যয়বহুল। এর পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করাও সহজ নয়।আরবদের হত্যাই ইসরাইলের যুদ্ধনীতি- এই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের স্থল অভিযানের পরিণতি শেষমেশ কী দাঁড়াবে, আমরা এত দূর থেকে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারি না। তবে এটা বলা যায়, বিশ্বব্যাপী ইসরাইলি নীতির বিরুদ্ধে যে জনমত গড়ে উঠেছে, তাতে হামাসেরই জয় হয়েছে। সেটা রাজনৈতিক দিক। কিন্তু যুদ্ধ ক্ষেত্রের ফলাফল বাইরের মতামত দিয়ে স্থির হবে না। আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে স্থল অভিযানের ফল কী দাঁড়ায়।যারা রাজনীতিকে সমর নীতির দিক থেকে এবং সমর নীতিকে রাজনীতির পাল্লা দিয়ে মাপজোখ করতে পারেন, হামাসের রাজনীতি ও যুদ্ধনীতি থেকে তারা অনেক কিছুই শিখবেন। যদি নিরপেক্ষ জায়গা থেকে তারা বাস্তবতা বিচার করেন, তাহলে হামাসকে প্রশংসা না করে তারা পারবেন না।চরম ও পরম শক্তিশালী একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে দাঁড়িয়ে কীভাবে লড়তে হয়, হামাস তার দুর্দান্ত নজির স্থাপন করেছে। এটা স্বীকার না করে উপায় নেই। আর এটাই মানবেতিহাসে সব সময়ই ইতিহাসের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। ছাই থেকে পাখা মেলে উড়াল দেবার মতো।মানুষের ডানা নেই, কিন্তু তার স্বভাবের মধ্যে ডানা আছে। তার পালকগুলো নড়ে ওঠে প্রায়ই। মজলুমের লড়াই যেমন অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যুগে যুগে হয়েছে আগামীতে ও হবে কিন্তু হামাসের এই লড়াই সেই সব মজলুমের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আলোচিত ব্লগ
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন