somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঙ্গিবাদ দমনে বির্তক নয় প্রয়োজন সহযোগিতা ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে আলোচনা ও সমালোচনার মূলে ই এখন জঙ্গিবাদ । মিডিয়ার থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার চায়ের দোকান কোথাও বাদ নেই এই আলোচনা । বাদ থাকবেই বা কেন এ দেশ , আমাদের বাংলাদেশ এটা তো সবারই , সব ধর্ম বর্ণ ও জাতের মানুষের । আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ও সবার ভূমিকাই ছিল সমান মুষ্টিমে কিছু পাকিদোসরদের ছাড়া । আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি পাকিদোসরেরা যেমন আমাদের স্বাধীনতা চায়নি তেমনি আজো আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে ও পারনি । নানা ভবে নানা সময় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে নানা ভাবে বিকলঙ্গ করার চেষ্টায় লিপ্ত ঐ পাকিপরাজিত শক্তি । আজ আমাদের যে মূল সমস্যা জঙ্গিবাদ তাও ঐ পরাজিত শক্তির ই চেষ্টার ফসল । সাম্প্রতি দেশে বড় দুটি জঙ্গি হামলা আমাদেরকে ভীষন ভাবে চিন্তিত করেছে এর মধ্যে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা আর্ন্তজাতিক ভাবে আমাদের অনেকটা হেয় করেছে কারণ ঐ হামলায় নিহতদের অধিকাংশ ই বিদেশী নাগরিক । গুলশানের হামলায় আমাদের পুলিশ বাহিনীর দুই জন গুরুত্বপূর্ণ অফিসারকে ও জীবন দিতে হয়েছে । এর পর ই ঈঁদের খুশির শুরুতেই শোলাকিয়া হামলায় ও সাধারন মানুষের সাথে জীবন দিতে হয়েছে পুলিশকে । এর পর থেকেই আমাদের মনের ভিতর অনেকটা ভয় কাজ করেছে জঙ্গি দমনে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য ও করেছেন এনিয়ে।

যাই হউক আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কল্যানপুরের অভিযান অনেকটাই আমাদের সেই ভয় কাটাতে সক্ষম হয়েছেন । কেন জানি সমালোচকরা এই অভিযানকে ও সমালোচনার বাহিরে রাখতে পারেনি ।রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার যে বন্যা বইছে তার ঢেউ এসে লেগে আমাদের মিডিয়া জগতেও সমালোচনার মূলেই ছিল অভিযানের সাফল্য নিয়ে । এমন কি আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোন কোন নেতা ও কল্যাণপুরের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । অবশ্য আমার কাছে মোটে ও বোধগম্য নয় জঙ্গি দমনের মত একটা গুরুত্বপূর্ন অভিযান নিয়ে কেন এত বিভ্রান্তকর সমালোচনা ? কল্যাণপুরের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের অহেতুক সমালোচনা দেখে অবশ্য আমাদের পুলিশ বাহিনীর একজন পদস্থ কর্মকর্তা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এক অভিমানী স্ট্যাটাস। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির ২৮ জুলাই ২০১৬ সংখ্যায় ঐ পুলিশ কর্মকরতার স্ট্যাটাস ছাপা হয়েছিল " পুলিশের কেউ মারা যায়নি - এতেই তো আপনার যত আপত্তি তাইনা , বন্ধু ? " শিরোনামে । পুলিশ কর্মকর্তার ঐ অভিমান আসলেই বাস্তব, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা বারবার মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে তার বিনিময়ে জুটবে নানা অহেতুক সমালোচনা। এ ধরনের অহেতুক সমালোচনা মোটে ও কাম্য নয় ।

তবে আজকের এই সমালোচনার জন্য কিন্তু আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কম দায়ী নন । পূর্বে তাদের অনেক কর্মকান্ড ই নিজেদেরকে অপেশাদারিত্বের প্রমান এনেছে।উদাহরন হিসেবে বলতে পারি হলি আর্টিজানের হামলার ঘটনাই, ঘটনার দিন পুলিশের অনেক আগেই আক্রমণকারীদের ছবি প্রকাশ করে দিয়েছিল তথা কথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস তদের ওয়েবসাইডে । তাদের দেয়া নামের ভিত্তিতেই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন কিছু যাচাই বাছাইয়ের আগেই হুট করে হামলাকারীদের কি সব উদ্ভট নাম প্রকাশ করে দিল অথচ পরবর্তীতে তাদের পরিচয় মিললো সম্পুর্ণ ভিন্ন । যে হামলা সমগ্র বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো পুরি কি দায়িত্ব হীনতার পরিচয় দেয় নি ? নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা ই বা বাদ যাবে কেন ওই তালিকা প্রকাশ করার মাত্র দুই দিনের মাথায় দেশের সংবাদকর্মীরাই খুঁজে বের করলেন কথিত নিখোঁজদের প্রায় সবাইকে অথচ আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায় সবাইকে জঙ্গি হিসেবে পরিচয় করে দিয়ে তারা যেমন সমালোচিত হয়েছেন তেমন ই আমাদের ও আতংকিত করেছেন ।

তবে কল্যানপুরের ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোপুরি ই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন । ঐ হামলায় নিহত জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশের আগেই তারা জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করেছেন । যাতে জঙ্গিদের সঠিক পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব হয় । তার পর ও কল্যাণপুরের অভিযান নিয়ে আহেতুক সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন কেউ কেউ । কোন জঙ্গি মোনায়েম খানের নাতি কোন জঙ্গি আওয়ামীলিগ নেতার ছেলে এনিয়ে বিতর্কের অন্তনেই ।আবার কিছু উগ্রবাদির মন্তব্য আবার সম্পুর্ন ই ভিন্ন তারা জঙ্গিদের জঙ্গি বলে মানতেই নারাজ । যারা কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের জঙ্গি বলে মানতেই নারাজ তাদের কে বলবো , আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতৃক সরবরাহকৃত ঐ একটি ছবি ই কিন্তু তাদেরকে জঙ্গি প্রমানে যথেষ্ট । ঐ ছবিটিতে আমরা দেখেছি নিহত জঙ্গিরা তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস এর পোষাক পরে আইএসের পতাকা পিছনে রেখে অস্ত্র হাতে আমদেরকে জানান দেয়ার চেষ্টা করছিল গুলশানের পর আবার নতুন বড় কোন অঘটনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি ।তথাকথিত আইএস কতৃক গুলশান হামলার সময় হামলাকারীদের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল কল্যাণপুরের অভিযানে নিহতদের ছবি ও ছিল একই ধরনের । কল্যাণপুরের অভিযানে নিহত জঙ্গিরা কে কি এনিয়ে সমালোচনা বা ঐ অভিযান নিয়ে বিতর্কের জন্ম না দিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদের অপশক্তির হাত থেকে কি ভাবে দেশ জাতি তথা সমগ্র বিশ্বকে রক্ষাকরা যায় তা নিয়েই ভাবাটাই উত্তম । সেই সাথে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিদমনে কিভাবে পুরোপুরি স্বার্থক হতে পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরোপরি সহযোগিতা করা তাদেরকে উৎসাহিত করা । যতে আমরা ধর্মীয় উগ্রবাদের অপশক্তি তথা জঙ্গিবাদ মুক্ত আগামী বাংলাদেশ আগামী পৃথিবী পাই ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×